শ্রমিকদের অধিকাংশ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, আইএলওতে সরকারের দাবি
Published: 11th, June 2025 GMT
শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা অধিকাংশই প্রত্যাহার করা হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ কথা জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদর দপ্তর জেনেভায় ১১৩তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলন শুরু হয় ২ জুন। চলবে ১৩ জুন পর্যন্ত। ১৮৭টি দেশের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। গতকাল মঙ্গলবার সম্মেলনের প্লিনারি অধিবেশনে বক্তব্য দেন এম সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় তিনি ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের রাজনৈতিক হয়রানিমূলক অধিকাংশ মামলা প্রত্যাহারের কথা জানান। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
শ্রম উপদেষ্টার এমন দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার ফেডারেশনের (বিজিআইডব্লিউএফ) সভাপতি কল্পনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বড় বড় সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের যে ত্বরিত উদ্যোগ রয়েছে, সে তুলনায় শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারে রয়েছে শম্বুক গতি। বিষয়টি আমাদের আহত করে।’
শ্রম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রম অধিকার সুরক্ষা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং শ্রম আইন বাস্তবায়নে আইএলওর কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায়।
বিজ্ঞপ্তিতে শ্রমিক নেতাদের মামলার ও প্রত্যাহারের সংখ্যা উল্লেখ না থাকায় প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি আজ বুধবার জানান, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ৪৫টি মামলার মধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে ৪৩টি।
শ্রম সচিবের তথ্যের কথা উল্লেখ করে জানতে চাইলে শ্রমিক সংগঠনগুলোর আন্তর্জাতিক জোট ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি) সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার প্রথম আলোকে বলেন, ‘শ্রম সম্মেলনে যাওয়ার আগে তড়িঘড়ি করে কিছু মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে শুনেছি। কিছু হয়েছে বিদেশি ক্রেতাদের (বায়ার) চাপে, কিছু প্রত্যাহার করেছে মালিকপক্ষ। তবে আমার নামে এখনো হয়রানিমূলক মামলা আছে। প্রত্যাহার হলে তো জানতাম।’
বাবুল আখতার আরও বলেন, গাজীপুরের প্রয়াত মেয়র এম এ মান্নানের সঙ্গে কিছু শ্রমিককে আসামি করা হয়েছিল। শ্রমিকেরা এখনো হাজিরা দেন।
সম্মেলনে কারা অংশ নিলেনশ্রম উপদেষ্টার নেতৃত্বে জেনেভায় অনুষ্ঠিত এবারের শ্রম সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে ২৮ জন অংশ নিয়েছেন।
শ্রম উপদেষ্টার পাশাপাশি মন্ত্রণালয় থেকে অংশ নেন শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (শিল্প পুলিশ) গাজী জসিম উদ্দিন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দুই যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান সিকদার ও মোহাম্মদ হোসেন সরকার, শ্রম উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো.
এ ছাড়া অংশ নিয়েছেন জেনেভায় স্থায়ী মিশনের রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম এবং দুই কাউন্সিলর ফজলে লোহানি ও মো. কামরুজ্জামান।
সম্মেলনে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) পক্ষ থেকে যোগ দিয়েছেন ৯ জন। তাঁরা হলেন বিইএফ সভাপতি আরদাশির কবির, সহসভাপতি তাহমিদ আহমেদ, মহাসচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ, সদস্য এ এন এম সাইফ উদ্দিন, আবু দাউদ খান, হামজা সাকিফ তাবানী, ফাইজা মেহমুদ, সৈয়দ তারেক মো. আলী ও বিকেএমইএর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান। আরও অংশ নেন ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক কমিটির (টিসিসি) সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন ও অন্য সাত সদস্য। তাঁরা হলেন শাকিল আখতার চৌধুরী, মো. রাজেকুজ্জামান, আতিকুর রহমান, মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, তাসলিমা আখতার, কোহিনূর মাহমুদ ও শামিম আরা।
টিসিসি ও বিইএফ থেকে দুজন করে চারজনের খরচ সরকার বহন করলেও বাকিরা গেছেন নিজেদের খরচে প্রজ্ঞাপনে এ কথা উল্লেখ রয়েছে।
তিন কনভেনশন অনুস্বাক্ষর হবেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রম উপদেষ্টা প্লিনারি অধিবেশনে বলেছেন, শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএলও কনভেনশন সি১৫৫, সি১৮৭ ও সি১৯০ অনুস্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে। আন্তর্জাতিক শ্রম মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলছে শ্রম আইন সংশোধনের কাজ। শ্রম পরিদর্শনব্যবস্থা জোরদারে নিয়োগ দেওয়া হবে ১২২ জন নতুন শ্রম পরিদর্শক।
জেনেভায় শ্রম উপদেষ্টা বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ন্যায্য বাণিজ্য, অভিবাসনসুবিধা ও কারিগরি বৈষম্য কমানোর ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়ন সহযোগিতার তহবিল কমে যাওয়ায় সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং আইএলওর কাছ থেকে শ্রম খাতের উন্নয়নে আরও কারিগরি সহায়তা আশা করে বাংলাদেশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ায় আইএলওর গভর্নিং বডিকে সাধুবাদ জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ প্রথমেই আইএলওর তিন কনভেনশন অনুস্বাক্ষরের উদ্যোগের বিষয়টিকে স্বাগত জানান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহার হয়ে থাকলে ভালো। কারণ, প্রতিবছর আইএলওতে গিয়ে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ তুলে ধরা দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ আরও বলেন, ‘আশুলিয়া, টঙ্গী—এসব থানায় হাজার হাজার শ্রমিক এখনো অজ্ঞাতনামা আসামি। ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করতে যাওয়ায় তাঁদের আসামি বানানো হয়েছে। তাঁরা বাড়িতে যেতে পারেন না, চাকরিও পান না। এ বিষয়ে সরকারের মনোযোগ চাই।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল সরক র আখত র
এছাড়াও পড়ুন:
ফেস্টুন অপসারণ করায় ইউএনওকে শাসালেন বিএনপি নেতা
ফেস্টুন অপসারণ করায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদকে শাসিয়েছেন এক বিএনপি নেতা। তিনি ইউএনওকে আগের স্থানেই ফেস্টুন লাগিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, “তা না হলে যেটা করা দরকার, সেটাই করব।”
এই বিএনপি নেতার নাম কে এম জুয়েল। তিনি রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক। গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুলে তার বাড়ি।
গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) গোদাগাড়ী উপজেলা সদরের সড়ক বিভাজকে থাকা বিভিন্ন দলের ফেস্টুন অপসারণ করেন ইউএনও ফয়সাল আহমেদ। বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনওকে ফোন করে ধমকান জুয়েল।
কে এম জুয়েলের ফোনকল রেকর্ড পাওয়া গেছে। এতে শোনা গেছে, কে এম জুয়েল বলেছেন- “আজকে একটা ঘটনা ঘটেছে, আমি শুনেছি। আমি ইঞ্জিনিয়ার কে এম জুয়েল বলছি, সম্ভাব্য ক্যান্ডিডেট। আপনার গোদাগাড়ী থানার প্রোপারে যে পোস্টার সরিয়েছেন, এই বিষয়ে কিছুক্ষণ আগে আমাকে ইনফর্ম করা হয়েছে। সেখানে আমার পোস্টার ছিল। জামায়াত-বিএনপির পোস্টার ছিল। আপনি যে হটাইছেন, এর কারণ কী? কোনো পরিপত্র আছে, না ইচ্ছে করেই?”
ইউএনও তখন বলেন, “জনগণ অভিযোগ দিয়েছে।” জুয়েল বলেন, “জনগণ তো অনেক অভিযোগ দিয়েছে। সমগ্র গোদাগাড়ী থানাতে ভর্তি হয়ে আছে পোস্টার। তোলেন, সব তোলেন।”
এ সময় ইউএনও কিছু বলতে চাইলে তাকে থামিয়ে দিয়ে জুয়েল বলেন, “শোনেন, আমি যেটা বলছি লিগ্যাল রাইট নিয়ে বলছি, সেটার সঠিক অ্যানসার করবেন। আপনি কেন ওই জায়গার পোস্টার তুলেছেন, আর অন্য জায়গার তুলছেন না কেন? আমি ঢাকাতে আছি, আমি আসতেছি।”
ইউএনও বলেন, “আচ্ছা ঠিক আছে।” জুয়েল বলেন, “না, আপনি যেখান থেকে পোস্টার তুলেছেন, সেখানে আপনি সাবমিট করবেন পোস্টার।” কথা না বাড়িয়ে ইউএনও বলেন, “ঠিক আছে।”
এ সময় আরো ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপি নেতা জুয়েল বলেন, “কালকে যেন আমরা ওখানে দেখতে পাই, পোস্টার যেখানে ছিল। ঠিক আছে মানে কী? অবশ্যই করবেন। না হলে যেটা করা দরকার সেটাই করব। আপনার এগেইনেস্টে যেরকম স্টেপ নেওয়া দরকার, সেটাই আমি করব। বিশেষ করে আমরা করব। আমার নেতার ছবি তুলেছেন আপনি ওখান থেকে। জাস্ট রিমেম্বার ইট।”
জুয়েল বলতে থাকেন, “নরসিংদী বাড়ি দেখান আপনি, না? কোন দল থেকে আসছেন আপনি? কোন দল থেকে এসেছেন? কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেছেন আপনি? কালকে পোস্টার ভদ্রলোকের মতো লাগাবেন। ফাইজলামি! এহ, বিশাল ব্যাপার। উনি টিএনও হয়ে গোদাগাড়ীতে আসছেন।”
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ফয়সাল আহমেদ বলেন, “ডাইংপাড়া মোড়ে ব্যানার-ফেস্টুন এরকম পর্যায়ে ছিল যে, যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছিল। পাশাপাশি পৌরসভার সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছিল বলে অভিযোগ ছিল। স্থানীয় জনগণ এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পৌরসভা থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে সরানোর জন্য। দুই-তিনবার মৌখিকভাবে ও লিখিত আকারে জানানো হয়েছিল। না সরানোর কারণে ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে পৌরসভায় রাখা হয়েছে।”
তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির একাধিক সভাতেও আলোচনা হয়েছিল। সেখান থেকে সকল রাজনৈতিক দলের পোস্টারই পৌরসভার পক্ষ থেকে সরানো হয়েছে। তবে, বিএনপি নেতা কে এম জুয়েলের ফোনে শাসানোর বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা কে এম জুয়েল বলেন, “ইউএনওর কাছে জনগণ অভিযোগ করেছে, আর আমরা কি মানুষ না? আমরা জানোয়ার? আমার ছবি তুলে ফেলুক আপত্তি নাই। আমার নেতার ছবিতে হাত দিয়েছে কেন? তার কাছে কি নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পোস্টার তুলে ফেলতে? তিন মাসের মধ্যে কি নির্বাচন? উনি জাস্টিস করতেন, আমার কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু গরু-ছাগলের মতো আচরণ করবেন, তা তো হয় না।”
বিষয়টি নিয়ে কোথাও আলোচনা হয়নি, ইউএনও কোনো চিঠিও দেননি, দাবি করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “গতকাল আমার এক লোককে ডেকে ইউএনও বলেছেন, যেখানে পোস্টার ছিল, দয়া করে আপনারা লাগিয়ে নেন। কিন্তু, আমরা তো লাগাব না। ইউএনওকেই লাগাতে হবে।”
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির একজন সদস্য জানান, প্রায় দুই মাস আগে উপজেলা সদরের এসব ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টারের বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উত্থাপন করেন এক ব্যক্তি। এক মাসেও সেগুলো অপসারণ না হওয়ায় পরবর্তী মাসের সভাতেও বিষয়টি আলোচনায় ওঠে। ওই সভায় ট্রাফিক পুলিশ আপত্তি করেছিল যে, ফেস্টুনের কারণে রাস্তার একপাশ থেকে অন্যপাশ দেখা যায় না। এতে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ দুটি সভার মধ্যে প্রথম সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল ছিলেন না। দুই সভার মাঝে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি পুনর্গঠন করা হলে তিনি পরবর্তী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
তবে, কোনো আলোচনা হয়নি দাবি করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল বলেন, “আমি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য। পোস্টার নিয়ে কোনো আলোচনা সভায় হয়নি। ইউএনও আমাদের না জানিয়ে এভাবে ফেস্টুন অপসারণ করে ঠিক করেননি। সেখানে আমাদের নেতার ছবি ছিল।”
ঢাকা/কেয়া/রফিক