লন্ডনে ইউনূস–তারেক বৈঠক ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
Published: 12th, June 2025 GMT
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠক দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শরীয়তপুর সদরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এমন মন্তব্য করেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর–১ আসনে (পালং-জাজিরা) প্রার্থী হতে চান তিনি। গণসংযোগের সময় খেলাফত মজলিসের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা শাব্বির আহমদসহ জেলা ও স্থানীয় নেতারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
রাতে খেলাফত মজলিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণসংযোগকালে পথসভা ও স্থানীয় সমাবেশে মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ আশা প্রকাশ করে বলেন, লন্ডনের বৈঠকে যদি শেখ হাসিনা ও তাঁর দুঃশাসনের দায় থেকে জাতিকে মুক্ত করার জন্য একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা নির্ধারিত হয়, যদি রাজনৈতিক সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রূপরেখায় ঐকমত্য হয়, তাহলে দেশের ভবিষ্যতের জন্য তা হবে আশার আলো। পেশিশক্তি, দুর্বৃত্ত, সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজ, চাঁদাবাজ ও নির্বাচনবিরোধী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে সমূলে নির্মূল করতে না পারলে এ দেশে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
আসন্ন নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের বিজয়ী করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আরও বলেন, সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, আল্লাহভীরু ও দায়িত্ববান নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ছাড়া জাতির মুক্তি নেই। ইসলামপন্থী ও দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক শক্তির প্রতি ঐক্যবদ্ধ রূপরেখা ও আন্দোলনের আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুনবাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য ইউনূস-তারেক বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব