লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠক দেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শরীয়তপুর সদরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এমন মন্তব্য করেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর–১ আসনে (পালং-জাজিরা) প্রার্থী হতে চান তিনি। গণসংযোগের সময় খেলাফত মজলিসের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা শাব্বির আহমদসহ জেলা ও স্থানীয় নেতারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

রাতে খেলাফত মজলিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণসংযোগকালে পথসভা ও স্থানীয় সমাবেশে মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ আশা প্রকাশ করে বলেন, লন্ডনের বৈঠকে যদি শেখ হাসিনা ও তাঁর দুঃশাসনের দায় থেকে জাতিকে মুক্ত করার জন্য একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা নির্ধারিত হয়, যদি রাজনৈতিক সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রূপরেখায় ঐকমত্য হয়, তাহলে দেশের ভবিষ্যতের জন্য তা হবে আশার আলো। পেশিশক্তি, দুর্বৃত্ত, সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজ, চাঁদাবাজ ও নির্বাচনবিরোধী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে সমূলে নির্মূল করতে না পারলে এ দেশে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

আসন্ন নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের বিজয়ী করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আরও বলেন, সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, আল্লাহভীরু ও দায়িত্ববান নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ছাড়া জাতির মুক্তি নেই। ইসলামপন্থী ও দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক শক্তির প্রতি ঐক্যবদ্ধ রূপরেখা ও আন্দোলনের আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুনবাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য ইউনূস-তারেক বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা

জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।

শুক্রবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাসকূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সিলেটের যেসব এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন হয় সেসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হবে কি? -এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শিল্প কারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না সেখানে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়া অপচয়। নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ রাখা উচিত। তবে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেসব এলাকায় স্বল্পমূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চেষ্টা চলছে।

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কূপ থেকে থেকে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে গোলাপগঞ্জে কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার পৌর এলাকার কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি একই উপজেলাধীন কৈলাশটিলা এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএলের প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্টের ডিজিএম জাফর রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট কূপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মরিচক্ষেতে গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
  • কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা
  • নৌকা বানিয়ে বছরে আয় ৫ লাখ
  • এফডিসির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক নাজির আহমদের একটি সাক্ষাৎকার