সংবাদ: কর্মজীবনের শুরুতে অন্য পেশায় না গিয়ে চলচ্চিত্রশিল্পে এসেছিলেন কেন?

নাজির আহমদ: আমার পিতা মির্জা ফকির মোহাম্মদ ১৯৪৭-এর দেশ বিভাগের অনেক আগে থেকেই চলচ্চিত্র পরিবেশন এবং প্রদর্শন ব্যবসা করে আসছিলেন। দেশের অনেক জেলা শহরে আমাদের সিনেমা হল ছিল। ঢাকার সব সাংস্কৃতিক কর্মীর সাথে বাবার ওঠা-বসা ছিল। এছাড়া ছোটকালে পিতার সাথে আমি কলকাতা এবং বোম্বের অনেক চলচ্চিত্র নির্মাণ কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। সে হিসেবে বলা চলে একটি সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেই আমি বড় হয়েছি। ছোট বয়সেই পাড়ায়, স্কুলে, কলেজে নাটক, আবৃত্তি ইত্যাদি করেছি। কাজেই রক্তের মধ্যেই সংস্কৃতির ধারা বহমান ছিল মনে হয়। সে পথ ধরেই পরে চলচ্চিত্র নির্মাণকর্মী হবার প্রেরণা পেয়েছিলাম।

সংবাদ: এ দেশে ফিল্ম ডিভিশন এবং পরে এফডিসি নির্মাণে আপনার সক্রিয় অবদান ছিল বলে আমরা জানি। এ সম্পর্কে কিছু বলবেন কি?

নাজির আহমদ: আমি বিবিসিতে থাকাকালে দেশের বিভিন্ন ডকুমেন্টারি ফিল্ম লন্ডনে বসে তৈরি করতাম। একবার পাকিস্তানের চিফ মিনিস্টার নুরুল আমিন লন্ডনে এসে আমার প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ পদ্ধতি দেখে মুগ্ধ হয়ে আমাকে দেশে এসে ফিল্ম ডিভিশন গড়ে তোলার অনুরোধ জানান। তাঁর পরামর্শমতো ’৫৩ সালে একটি ক্যামেরা সাথে নিয়ে দেশে এসে ফিল্ম ডিভিশন গড়ে তোলার প্রচেষ্টা নিই। পরে এখানে টেন্ডার দিয়ে একটি ক্যামেরা কেনা হয়। ’৫৪ সালের নির্বাচনের জন্য ফিল্ম প্রসেস করার সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলার বাজেট পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু নুরুল আমিন নির্বাচনে হেরে গেলে সে পরিকল্পনা প্রায় বাতিল হওয়ার উপক্রম হয়। পরে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান এ ব্যাপারে সক্রিয় অবদান রাখেন। আমি অপারেটিভ ডাইরেক্টর হিসেবে অনারারি দায়িত্ব নিই এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

নাজির আহমদ, ১৯৪৯, লন্ডন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন জ র আহমদ চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা

জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম।

শুক্রবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাসকূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সিলেটের যেসব এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন হয় সেসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হবে কি? -এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শিল্প কারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না সেখানে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়া অপচয়। নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ রাখা উচিত। তবে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেসব এলাকায় স্বল্পমূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চেষ্টা চলছে।

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কূপ থেকে থেকে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে গোলাপগঞ্জে কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার পৌর এলাকার কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি একই উপজেলাধীন কৈলাশটিলা এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএলের প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্টের ডিজিএম জাফর রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট কূপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মরিচক্ষেতে গ্রেনেড, নিষ্ক্রিয় করলেন সেনাসদস্যরা
  • কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস দেওয়ার সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা
  • নৌকা বানিয়ে বছরে আয় ৫ লাখ
  • লন্ডনে ইউনূস–তারেক বৈঠক ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস