বিয়ের দাবিতে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন এক নারী। শনিবার (১৪ জুন) উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের শ্যামেরঘন গ্রামের উজ্জ্বল চন্দ্র মাহাতোর বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সময় উজ্জ্বল চন্দ্র মাহাতোর সঙ্গে বেলকুচি উপজেলার ওই নারীর পরিচয় হয়। বর্তমানে ওই নারী বিয়ের দাবিতে শ্যামেরঘন গ্রামে দীনেশ চন্দ্র মাহাতোর ছেলে উজ্জ্বল চন্দ্র মাহাতোর বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। 

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, “পরিচয়ের এক পর্যায় উজ্জ্বল চন্দ্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উজ্জ্বল আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন। দুই বছর বিভিন্ন সময় আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। তিনি মোটরসাইকেল কেনাসহ বিভিন্ন কাজের কথা বলে আমার কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়েছেন।” 

আরো পড়ুন:

লামায় করোনা আক্রান্ত নারী শনাক্ত

ভারতে পাচারের ২৫ বছর পর দেশে ফিরলেন নারী

তিনি বলেন, “বিয়ের কথা বললে পরিবারের চাপে উজ্জ্বল চন্দ্র আমার সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। অথচ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আমার সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি উজ্জ্বল চন্দ্রের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছি।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত উজ্জ্বল চন্দ্র মাহাতোর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “মেয়েটির সঙ্গে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। তিনি কি কারণে এখানে এসেছেন তাও আমার জানা নেই।” 

সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, “এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ অনশন

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনা দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে শুরু হওয়া অনশন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

সকালে শতাধিক শ্রমিক প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হন। একে একে বক্তব্য দেন শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মী। তাঁরা দাবি করেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব সক্ষমতায় সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজন নেই।

স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই ভালোভাবে চলছে। বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করে এই প্রতিষ্ঠান। এমন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। ফলে সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।

কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়েও নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়া চর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁরা বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ কোনোভাবেই এটি সফল হতে দেবে না। বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া মানে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা।

অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার কাউকে না জানিয়ে বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার চুক্তি করেছিল। বর্তমান সরকারও সেটি পর্যালোচনা না করে বাস্তবায়ন করছে। এটি দেশের মানুষের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ ও পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া সেই প্রক্রিয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও এগিয়ে নিচ্ছে।

এর আগে গত ২২ অক্টোবর ইজারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে স্কপ। সমাবেশ শেষে বন্দর এলাকার দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ওই কর্মসূচি থেকেই আজকের গণ–অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৭ অক্টোবর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ
  • বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে