বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে নারী
Published: 14th, June 2025 GMT
বিয়ের দাবিতে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন এক নারী। শনিবার (১৪ জুন) উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের শ্যামেরঘন গ্রামের উজ্জ্বল চন্দ্র মাহাতোর বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সময় উজ্জ্বল চন্দ্র মাহাতোর সঙ্গে বেলকুচি উপজেলার ওই নারীর পরিচয় হয়। বর্তমানে ওই নারী বিয়ের দাবিতে শ্যামেরঘন গ্রামে দীনেশ চন্দ্র মাহাতোর ছেলে উজ্জ্বল চন্দ্র মাহাতোর বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, “পরিচয়ের এক পর্যায় উজ্জ্বল চন্দ্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উজ্জ্বল আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন। দুই বছর বিভিন্ন সময় আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। তিনি মোটরসাইকেল কেনাসহ বিভিন্ন কাজের কথা বলে আমার কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়েছেন।”
আরো পড়ুন:
লামায় করোনা আক্রান্ত নারী শনাক্ত
ভারতে পাচারের ২৫ বছর পর দেশে ফিরলেন নারী
তিনি বলেন, “বিয়ের কথা বললে পরিবারের চাপে উজ্জ্বল চন্দ্র আমার সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। অথচ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আমার সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি উজ্জ্বল চন্দ্রের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছি।”
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত উজ্জ্বল চন্দ্র মাহাতোর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “মেয়েটির সঙ্গে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। তিনি কি কারণে এখানে এসেছেন তাও আমার জানা নেই।”
সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, “এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ অনশন
এছাড়াও পড়ুন:
সাহেবগঞ্জ এলাকায় ইপিজেড নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণ–অনশন
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকার ফসলি জমিতে ইপিজেড নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণ–অনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ–দিনাজপুর সড়কের কাটামোড় এলাকায় এ কর্মসূচিতে অংশ নেন শতাধিক সাঁওতাল ও বাঙালি নারী–পুরুষ। পরে বিকেল চারটার দিকে কয়েকজনকে শরবত পান করিয়ে অনশন ভাঙান আমন্ত্রিত অতিথিরা।
সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির এ কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির, বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক, ফারুক কবীর, সাঁওতাল নেতা স্বপন শেখ, প্রিসিলা মুর্মু, তৃষ্ণা মুর্মু, বিটিশ সরেন, গৌড় পাহাড়ি, রাফায়েল হাসদা, অলিভিয়া হেমব্রম, বার্নাবাস টুডু, লুইস মুর্মু, খিলন রবিদাস প্রমুখ। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে।
গণ–অনশনে বক্তারা বলেন, গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড নির্মাণ করার মতো সরকারের অনেক জমি পতিত আছে। কিন্তু বিরোধপূর্ণ সাঁওতালদের রক্তভেজা তিন ফসলি জমিতেই কেন ইপিজেড করতে হবে? এ আন্দোলন ইপিজেডের বিরুদ্ধে নয়; বরং বাপ–দাদার জমি উদ্ধারের জন্য তাঁরা আন্দোলন করছেন। এসব জমি উদ্ধার করতে গিয়ে তিন সাঁওতালকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আজও গ্রেপ্তার করা হয়নি। দোষী ব্যক্তিদের বিচার হয়নি।
বক্তারা বিরোধপূর্ণ জমিতে ইপিজেড নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ, তিন সাঁওতাল হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, সাঁওতাল–বাঙালিদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও পৈতৃক জমি ফেরত দেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
রংপুর চিনিকল সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকায় রংপুর চিনিকলের আওতায় ১ হাজার ৮৪২ একর জমি আছে। এই জমিতে উৎপাদিত আখ রংপুর চিনিকলে মাড়াই হতো। চিনিকলে আখমাড়াই বন্ধ হলে সাঁওতালরা দফায় দফায় এই জমি দখল করেন। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ এসব জমিতে উচ্ছেদে গেলে সাঁওতালদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে শ্যামল হেমব্রম, রমেশ টুডু ও মঙ্গল মার্ডি নামে তিন সাঁওতাল নিহত হন। সেই সঙ্গে অন্তত ২০ জন আহত হন।
এ পরিস্থিতিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রংপুর চিনিকলের জমিতে ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ জন্য বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেপজা) ইপিজেড বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিকে চিনিকলের জমিতে ইপিজেড নির্মাণের বিরোধিতা করে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি।