মুন্সীগঞ্জে লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পড়ে যুবক নিখোঁজ
Published: 16th, June 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জ শহরের হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায় লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে ধলেশ্বরী নদীতে পড়ে এক যুবক নিখাঁজ হয়েছেন। রবিবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। সোমবার (১৬ জুন) দুপুর পর্যন্ত ওই যুবকের সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ যুবককে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জের সহকারী পরিচালক মো.
নিখোঁজ যুবকের নাম রফিকুল ইসলাম (৩০)। তিনি ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার দেওয়ানপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
দীঘিনালায় নদীতে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীতে থিম ওমর প্লাজায় অগ্নিকাণ্ড
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোলার তজুমদ্দিন থেকে ঢাকা সদরঘাটের দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী লঞ্চ ফারহান-৩। রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে যাত্রা বিরতিতে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট নোঙর করে লঞ্চটি। সোহেল নামে এক যাত্রীকে এগিয়ে দিতে লঞ্চ থেকে ঘাটে নামেন নিখোঁজ রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন। তাকে এগিয়ে দিয়ে লঞ্চে উঠার সময় রফিকুল পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যান।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “আজ সকাল থেকে নিখোঁজের সন্ধানে ডুবুরি দল কাজ করছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ যুবকের সন্ধান মেলেনি।”
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ শাখার সহকারী পরিচালক মো. কামরুল হাসান বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শীদের দেখানো জায়গায় বিআইডব্লিউটিএ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। নদীর গভীরতা প্রায় ১২০ ফিট এবং তীব্র স্রোত থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। নিখোঁজ যুবকের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।”
ঢাকা/রতন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ ক ল ইসল ম জ য বক য বক র
এছাড়াও পড়ুন:
দৌলতদিয়ায় ফেরির ধাক্কায় ভেঙে গেছে পন্টুনের কবজা, যানবাহন পারাপার ব্যাহত
তীব্র স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেরির ধাক্কায় ভেঙে গেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ৩ নম্বর পন্টুনের কবজা। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে ঘাটটি। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে দৌলতদিয়ায় শুধু ৪ নম্বর ঘাট চালু আছে। এতে যানবাহন পারাপারে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে এবং সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় ও ঘাট-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল বিকেল থেকে দৌলতদিয়া প্রান্তে পদ্মায় তীব্র স্রোত দেখা দেয়। সন্ধ্যার পর এর তীব্রতা আরও বাড়ে। রাত ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা রো রো ফেরি শাহ পরান দৌলতদিয়ায় পৌঁছে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় ফেরিটি প্রচণ্ড বেগে ৩ নম্বর ঘাটের পন্টুনে ধাক্কা দিলে কবজা ভেঙে যায়। এর পর থেকে ঘাটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে ২৩ আগস্ট থেকে তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটও বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে চারটি ঘাটের মধ্যে কেবল ৪ নম্বর ঘাট সচল রয়েছে। সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী পরিবহন এবং জরুরি কিছু পণ্যবাহী গাড়ি পার করা হচ্ছে। তবে সাধারণ পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে।
দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্টে (৩ নম্বর ঘাট) দায়িত্বরত বিআইডব্লিউটিসির নিরাপত্তা পরিদর্শক ইদ্রিস আলী ভূঁইয়া বলেন, গতকাল রাতে ফেরি শাহ পরান ঘাটে ভেড়ার সময় প্রচণ্ড ধাক্কায় পন্টুনের কবজা ভেঙে যায়। তখন থেকে ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কয়েক দিন ধরে সড়ক অবরোধ করা হচ্ছে। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা থেকে অনেক গাড়ি দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এ কারণেও দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গাড়ির চাপ পড়ছে। আজ মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন তৈরি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির লাইন আরও লম্বা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় চালকসহ যাত্রীদের বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
সৌহার্দ্য পরিবহনের ঘাট তত্ত্বাবধায়ক মনির হোসেন বলেন, ‘শুধু একটি ঘাট চালু থাকায় যানবাহন স্বাভাবিকভাবে পার হতে পারছে না। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা ঢাকামুখী গাড়ি আটকে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে। আমাদের চারটি যাত্রীবাহী বাস চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আটকে আছে। বাসগুলো ফেরিতে উঠতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার মতো সময় লাগছে।’
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে অনেক বেশি সময় লাগছে। গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে ৩ নম্বর ঘাটের পন্টুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন শুধু ৪ নম্বর ঘাট চালু রয়েছে। যাত্রীবাহী বাস ও কিছু জরুরি গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। সাধারণ পণ্যবাহী গাড়ি আপাতত পার করা যাচ্ছে না।