রাঙামাটিতে নারী সমাবেশে অংশ নেওয়া অতিথিদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি
Published: 17th, June 2025 GMT
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় নারী সমাবেশে অংশ নেওয়া অতিথিদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও ছাত্র-জনতা সংগ্রাম পরিষদ।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৯ বছর পূর্তিতে গত বৃহস্পতিবার কাউখালীতে নারী সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে তিন অতিথির ওপর হামলার প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কল্পনা চাকমার অপহরণ দিবসে রাঙামাটিতে সমাবেশ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে বেতছড়ি এলাকায় তিনজন অতিথির ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করে। কাউখালী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো.
সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, ছাত্র–জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা ছিল। পাহাড় ও সমতলে সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা ছিল; কিন্তু আগের মতোই তারা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। রাঙামাটিতে তিন অতিথির ওপর হামলা এ কথাই প্রমাণ করে।
এ সময় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষক অলিউর সান বলেন, হামলার সময় কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুর রহমানকে ফোন করা হয়। তিনি নানা অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরদিন অনলাইনে একটি জিডি করতে চাইলেও করা যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও হামলার শিকার মারজিয়া প্রভা।
এ সময় বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে হামলার শিকার বাসের চালকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, হামলাকারীদের সহযোগিতার জন্য প্রশাসনকে জবাবদিহি করা, কল্পনা চাকমার চিহ্নিত অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার ও বিচার কার্যকর করা, সাধারণ জনগণকে হয়রানি বন্ধ করা ও সাম্প্রদায়িক উসকানি বন্ধ করা ইত্যাদি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
র্যাব পরিচয়ে অপহরণ: চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ থেকে র্যাব পরিচয়ে অপহরণ করা হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। রবিবার (১৫ জুন) দুপুরের দিকে রঙ্গিখালীর গহীন অরণ্য থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযান চলাকালে জব্দ করা হয় দেশীয় অস্ত্র, তিন রাউন্ড গুলি, র্যাবের পোশাক এবং একটি ওয়াকিটকি। এর আগে, সকালে অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা সুমন মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সুমন মুন্সির বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার ডুমরাকান্দি গ্রামে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।
আরো পড়ুন:
দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
উত্তরায় র্যাবের পোশাক পরে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা ছিনতাই
র্যাব-১৫-এর সহকারী পরিচালক আ.ম. ফারুক জানান, গত ১১ জুন রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ থেকে মো. রহিমুল্লাহর ছেলে হাফিজ উল্লাহকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যান সুমন, রাকিব ও শিকদার। অপহরণের কাজে তাদের সহযোগিতা করেন এনায়েত উল্লাহ ও নবী হোসেন নামে দুই ব্যক্তি।
অপহরণকারীরা অজ্ঞাত স্থান থেকে অপহৃতের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে অপহৃতকে হত্যার হুমকিও দেন তারা।
ঘটনার পরপরই র্যাব-১৫ গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান চালিয়ে প্রথমে রঙ্গিখালীর ডাকাত সর্দার শাহআলমের বাড়ি থেকে অপহরণকারী সন্দেহে আফ্রিদি ও আব্দুল গফুরকে গ্রেপ্তার করে। আজ রবিবার সকালের দিকে মরিচা বাজার এলাকা থেকে মূল অপহরণকারী সুমন মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তীতে র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন, পুলিশ ও বনবিভাগের সমন্বয়ে মোট ২৫৬ সদস্যের যৌথ বাহিনী রঙ্গিখালীর গহীন অরণ্যে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। দীর্ঘ অভিযানে একপর্যায়ে আজ দুপুরের দিকে হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করা হয়। অভিযান চলাকালে উদ্ধার হয় একটি দেশীয় অস্ত্র, তিন রাউন্ড গুলি, র্যাবের পোশাক এবং একটি ওয়াকিটকি।
র্যাব জানায়, পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ