রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় নারী সমাবেশে অংশ নেওয়া অতিথিদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও ছাত্র-জনতা সংগ্রাম পরিষদ।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৯ বছর পূর্তিতে গত বৃহস্পতিবার কাউখালীতে নারী সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে তিন অতিথির ওপর হামলার প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কল্পনা চাকমার অপহরণ দিবসে রাঙামাটিতে সমাবেশ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে বেতছড়ি এলাকায় তিনজন অতিথির ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করে। কাউখালী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো.

ইমরান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম হোসেনের নেতৃত্বে এ হামলা হয়। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানানো হয় লিখিত বক্তব্যে।

সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, ছাত্র–জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা ছিল। পাহাড় ও সমতলে সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা ছিল; কিন্তু আগের মতোই তারা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। রাঙামাটিতে তিন অতিথির ওপর হামলা এ কথাই প্রমাণ করে।

এ সময় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষক অলিউর সান বলেন, হামলার সময় কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুর রহমানকে ফোন করা হয়। তিনি নানা অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরদিন অনলাইনে একটি জিডি করতে চাইলেও করা যায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও হামলার শিকার মারজিয়া প্রভা।

এ সময় বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে হামলার শিকার বাসের চালকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, হামলাকারীদের সহযোগিতার জন্য প্রশাসনকে জবাবদিহি করা, কল্পনা চাকমার চিহ্নিত অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার ও বিচার কার্যকর করা, সাধারণ জনগণকে হয়রানি বন্ধ করা ও সাম্প্রদায়িক উসকানি বন্ধ করা ইত্যাদি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার