রাঙামাটিতে হামলায় জড়িত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারসহ আট দাবি
Published: 17th, June 2025 GMT
নারী সমাবেশ থেকে ফেরার পথে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারসহ আট দাবি জানিয়েছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদ।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা বলেন, ১২ জুন রাঙামাটির কাউখালীতে কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে নারী সমাবেশ হয়। সেখান থেকে ফেরার পথে ইউল্যাবের শিক্ষক অলিউর সান, অধিকারকর্মী মারজিয়া প্রভা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নূজিয়া হাসিন রাশার ওপর হামলা চালায় স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মী।
তিনি বলেন, হামলাকারী হিসেবে কাউখালী ডিগ্রি কলেজ শাখার ছাত্রদল সভাপতি ইমরান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাঈম হোসেন হিমেল, কর্মী ফাহিমকে চিহ্নিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
অলিউর সান ও মারজিয়া প্রভা বলেন, ‘হামলার পর পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় বিচার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। থানায় জিডি করতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।’
হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদের অন্য দাবির মধ্যে অন্যতম হলো– বাসচালকদের ক্ষতিপূরণ, প্রশাসনের জবাবদিহিতা, সেনা তল্লাশি ও হয়রানি বন্ধ, কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার পুনরুজ্জীবিত করা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা-সেটলার প্রত্যাহার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
র্যাব পরিচয়ে অপহরণ: চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ থেকে র্যাব পরিচয়ে অপহরণ করা হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। রবিবার (১৫ জুন) দুপুরের দিকে রঙ্গিখালীর গহীন অরণ্য থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযান চলাকালে জব্দ করা হয় দেশীয় অস্ত্র, তিন রাউন্ড গুলি, র্যাবের পোশাক এবং একটি ওয়াকিটকি। এর আগে, সকালে অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা সুমন মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সুমন মুন্সির বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার ডুমরাকান্দি গ্রামে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।
আরো পড়ুন:
দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
উত্তরায় র্যাবের পোশাক পরে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা ছিনতাই
র্যাব-১৫-এর সহকারী পরিচালক আ.ম. ফারুক জানান, গত ১১ জুন রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ থেকে মো. রহিমুল্লাহর ছেলে হাফিজ উল্লাহকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যান সুমন, রাকিব ও শিকদার। অপহরণের কাজে তাদের সহযোগিতা করেন এনায়েত উল্লাহ ও নবী হোসেন নামে দুই ব্যক্তি।
অপহরণকারীরা অজ্ঞাত স্থান থেকে অপহৃতের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে অপহৃতকে হত্যার হুমকিও দেন তারা।
ঘটনার পরপরই র্যাব-১৫ গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান চালিয়ে প্রথমে রঙ্গিখালীর ডাকাত সর্দার শাহআলমের বাড়ি থেকে অপহরণকারী সন্দেহে আফ্রিদি ও আব্দুল গফুরকে গ্রেপ্তার করে। আজ রবিবার সকালের দিকে মরিচা বাজার এলাকা থেকে মূল অপহরণকারী সুমন মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তীতে র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন, পুলিশ ও বনবিভাগের সমন্বয়ে মোট ২৫৬ সদস্যের যৌথ বাহিনী রঙ্গিখালীর গহীন অরণ্যে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। দীর্ঘ অভিযানে একপর্যায়ে আজ দুপুরের দিকে হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করা হয়। অভিযান চলাকালে উদ্ধার হয় একটি দেশীয় অস্ত্র, তিন রাউন্ড গুলি, র্যাবের পোশাক এবং একটি ওয়াকিটকি।
র্যাব জানায়, পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ