আজ বুধবার শেয়ারবাজারের লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ মোট ৩২৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এবার দেখে নেওয়া যাক ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে আজ কোন পাঁচটি কোম্পানি শীর্ষে আছে।

১. সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে দেখা যাচ্ছে, আজ সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারের। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। গতকাল সোমবার দিন শেষে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ৩০ টাকা। আজ দিন শেষে শেয়ারটির দাম হয়েছে ৩৩ টাকা। কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ১২ শতাংশ, ২০২২ সালে ১৫ শতাংশ, ২০২১ সালে ১৮ শতাংশ ও ২০২০ সালে ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

২.

জাহীন স্পিনিং
মূল্যবৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে জাহীন স্পিনিং। শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ৬ দশমিক ৩ টাকা। আজ লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম হয়েছে ৬ দশমিক ৯ টাকা। কোম্পানিটি ২০২৩ সালে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

৩. অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেড
আজ তৃতীয় স্থানে আছে অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেড। এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১৮০ দশমিক ৩ টাকা; আজ দিন শেষে দাম বেড়ে হয়েছে ১৯৪ দশমিক ২ টাকা। কোম্পানিটি ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

৪. কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স
চতুর্থ স্থানে আছে কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আজ এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে এর দাম ছিল ২৪ দশমিক ২ টাকা। আজ দিন শেষে দাম হয়েছে ২৬ টাকা। কোম্পানিটি ২০২৩ ও ২০২২ সালে ১০ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

৫. রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স
পঞ্চম স্থানে থাকা রিপাবলিক ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ২৫ দশমিক ১ টাকা। আজ দিন শেষে এই শেয়ারের দাম হয়েছে ২৬ দশমিক ৯ টাকা। এই কোম্পানি ২০২৩ সালে ১১ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ২০২১ সালে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই ক ম প ন র শ য় র র দ ম গতক ল দ ন শ ষ ইনস য র ন স আজ দ ন শ ষ দ ম হয় ছ দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

টিউশনির জমানো টাকায় ভাগ্যবদল

একসময় চাকরির পেছনে ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত রবিউল ইসলামই এখন এলাকার অনেক মানুষের আশার প্রতীক। হতাশা আর দুশ্চিন্তার দিন পেছনে ফেলে এখন তিনি লাখপতি খামারি। টিউশনির জমানো টাকা দিয়ে কেনা ভেড়া শুধু তাঁর নিজের ভাগ্য বদলায়নি, তিনি আশপাশের অনেক পরিবারে এখন অনুপ্রেরণার উৎস। প্রতিবছর শুধু ভেড়া থেকে রবিউল ইসলামের আয় তিন লাখ টাকা।

রবিউল ইসলাম রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কর্শা গ্রামের হাকিমুদ্দিন ও কোহিনুর বেগমের বড় ছেলে। কোনো আবাদি জমি ছিল না, মাত্র আট শতক ভিটেমাটিই ছিল একমাত্র সম্বল। অভাবের সংসারে থেকেও রবিউল থেমে থাকেননি। নিজের পড়ালেখার খরচ টিউশন করে চালিয়েছেন। ২০২০ সালে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজ থেকে মাস্টার্স পাস করেন তিনি।

রবিউল বলেন, ডিগ্রি থাকলেই চাকরি জুটবে—এমন ভাবনা থাকলেও বাস্তবতা দেখিয়ে দেয় ভিন্ন পথ। বিভিন্ন জায়গায় চাকরির জন্য ছোটাছুটি করেও কিছুই হয় না। মন ভেঙে যায়, হতাশায় ডুবে যান তিনি। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি বেড়াতে যান উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে তাঁর দূরসম্পর্কের নানি মমেনা বেগমের বাড়ি। সেখানে শুনেন গ্রামবাসীদের ভেড়া পালনের গল্প। মমেনার একটি কথাই তাঁর জীবন বদলে দেয় ‘ভেড়া তো মানুষকে না খাইয়া থাকতে দেয় না। যারা ভেড়া পালন করেছে, তারাই ভালো আছে।’

নানি মমেনা বেগমের বাড়ি থেকে ফিরে রবিউল সিদ্ধান্ত নেন ভেড়া পালনের। নিজের টিউশনির জমানো ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে আনেন ১২টি ভেড়া। সেই ২০২১ সালের শুরু হয় তাঁর নতুন পথচলা। বর্তমানে তাঁর খামারে ৮৯টি ছাগল ও ভেড়া আছে। প্রতিদিনের যত্ন, খরচ, চিকিৎসা—সব নিজ হাতে সামলান। বছরে তাঁর আয় এখন প্রায় ৩ লাখ টাকা।

রবিউলের মা কোহিনুর বেগম বলেন, ‘আগে ওকে (রবিউল) দেখলে মনে হতো চিন্তায় ডুবে আছে, এখন তো দেখলেই হাসে। ওর এই ভেড়ার খামারটা শুধু ওর না, আমাদেরও গর্ব। ছেলের দুশ্চিন্তা, সংসারে অভাব দূর করেছে ভেড়া।’

কুর্শা গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রবিউল আগে শুধু নিজের মুখে ভাত জোগানোর চিন্তায় ছিল। এখন পুরো পাড়া তাঁকে নিয়ে খুশি হয়। তাঁর ভেড়া দু–একটা করে পাড়ার সব বাড়িতে ছড়িয়ে আছে। তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আমিও ভেড়া পালন করছি, সুখে আছি।’

শুধু সাইফুল ইসলাম নন, তাঁর দেখাদেখি বালাপারা গ্রামের সেরাজুল ইসলাম, মমিনুল ইসলাম এবং ইকরচালী গ্রামের কৃষক শরিফুল, গৃহবধূ আসমা খাতুন, সোলেমা বেগম, মরিয়ম খাতুনও এখন ভেড়া পালন করছেন। সবার মুখে হাসি, সংসারে সচ্ছলতা।
রবিউল বলেন, ‘চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করেছি, হতাশায় ডুবে গিয়েছিলাম। একদিন নানির কথায় সাহস পেয়ে ১২টি ভেড়া দিয়ে শুরু করি খামার। তখন ভাবিনি, ওরাই একদিন আমার জীবন বদলে দেবে। আজ আমি স্বাবলম্বী, বছরে আয় তিন লাখের বেশি। আমার মতো যারা হতাশ, তারা যেন বুঝে—নিজে কিছু শুরু করলেই পথ তৈরি হয়।’

তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কে এম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, একটা সিদ্ধান্ত, কিছু সাহস আর গ্রামের প্রতি মমতা, এর চেয়ে বড় কোনো মূলধন নেই রবিউলের কাছে। তাঁর গল্প এখন শুধু একটি সাফল্যের গল্প নয়, এটি নতুন গ্রামীণ অর্থনীতির ছোট্ট জ্বলজ্বলে আলোকস্তম্ভ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিউশনির জমানো টাকায় ভাগ্যবদল
  • চার বছরের মধ্যে পাসের হার সর্বনিম্ন, অকৃতকার্যের রেকর্ড
  • স্ত্রীকে কেন ‘নিষ্ঠুর’ বললেন রাজকুমার?
  • আমাদের পরাবাস্তব টাউনের দিনরাত্রির দৃশ্য
  • চট্টগ্রামে খাল-নালায় মৃত্যু থামছে না
  • যশোর বোর্ডে এসএসসিতে ৭৫ স্কুলে শতভাগ পাস, ফেল ২ প্রতিষ্ঠানে
  • যশোর বোর্ডে এসএসসিতে শতভাগ পাস ৭৫ স্কুল, ফেল ২ প্রতিষ্ঠান
  • ঢাবি ক্লাবে তালা মারার হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের
  • বাবা-মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন তারকা যুগল
  • ঢাকায় বেলারুশ দূতাবাস খোলার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার