শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে শীর্ষ পাঁচ কোম্পানি
Published: 18th, June 2025 GMT
আজ বুধবার শেয়ারবাজারের লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ মোট ৩২৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এবার দেখে নেওয়া যাক ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিতে আজ কোন পাঁচটি কোম্পানি শীর্ষে আছে।
১. সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে দেখা যাচ্ছে, আজ সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারের। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। গতকাল সোমবার দিন শেষে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ৩০ টাকা। আজ দিন শেষে শেয়ারটির দাম হয়েছে ৩৩ টাকা। কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ১২ শতাংশ, ২০২২ সালে ১৫ শতাংশ, ২০২১ সালে ১৮ শতাংশ ও ২০২০ সালে ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
২.
জাহীন স্পিনিং
মূল্যবৃদ্ধির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে জাহীন স্পিনিং। শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ৬ দশমিক ৩ টাকা। আজ লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম হয়েছে ৬ দশমিক ৯ টাকা। কোম্পানিটি ২০২৩ সালে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
৩. অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেড
আজ তৃতীয় স্থানে আছে অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেড। এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১৮০ দশমিক ৩ টাকা; আজ দিন শেষে দাম বেড়ে হয়েছে ১৯৪ দশমিক ২ টাকা। কোম্পানিটি ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
৪. কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স
চতুর্থ স্থানে আছে কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আজ এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে এর দাম ছিল ২৪ দশমিক ২ টাকা। আজ দিন শেষে দাম হয়েছে ২৬ টাকা। কোম্পানিটি ২০২৩ ও ২০২২ সালে ১০ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
৫. রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স
পঞ্চম স্থানে থাকা রিপাবলিক ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। গতকাল দিন শেষে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ২৫ দশমিক ১ টাকা। আজ দিন শেষে এই শেয়ারের দাম হয়েছে ২৬ দশমিক ৯ টাকা। এই কোম্পানি ২০২৩ সালে ১১ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ২০২১ সালে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই ক ম প ন র শ য় র র দ ম গতক ল দ ন শ ষ ইনস য র ন স আজ দ ন শ ষ দ ম হয় ছ দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
চিম্বুকে ভালুকের আক্রমণে একজন আহত, ৫ বছরে ১০ জন হামলার শিকার
বান্দরবান-চিম্বুক-থানচি সড়কের পোড়াবাংলা পটোসিংপাড়ায় আজ শুক্রবার সকালে ভালুকের আক্রমণে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
বন বিভাগ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০২১ সাল থেকে ভালুকের আক্রমণ বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে ১০ জন আক্রমণের শিকার হয়েছেন। আক্রমণের শিকার ব্যক্তিদের অধিকাংশ ম্রো জনগোষ্ঠীর। ভালুকের কারণে আহত হওয়ার ঘটনায় আবেদন না করায় এই পর্যন্ত কেউ ক্ষতিপূরণ পায়নি বলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পোড়াবাংলা পটোসিংপাড়ার কাইনপ্রে ম্রো (৩৫) পাড়া থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে জুমখেতে কাজ করতে যান। সেখানে জুমের পাশে কলাবাগানে কাজ করার সময় হঠাৎ কালো রঙের একটি ভালুক তাঁর ওপর আক্রমণ করে। ভালুকটি তাঁর পেটে ও মুখে আঘাত করতে থাকে। তাঁর চিৎকারে আশপাশে জুমের লোকজন এগিয়ে আসেন।
আহত কাইনপ্রে ম্রোর ভাই তনরুই ম্রো জানিয়েছেন, আশপাশের লোকজনের এগিয়ে আসা দেখে ভালুকটি কাইনপ্রে ম্রোকে ছেড়ে দিয়ে বনে পালিয়ে যায়। তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে কাইনপ্রে ম্রোকে উদ্ধার করে দুপুরে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পোড়াবাংলা পটোসিংপাড়া জেলা শহর থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে। পাড়াটি রুমা উপজেলার গালেংগ্যা ইউনিয়নে পড়েছে।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আহত কাইনপ্রে ম্রোর পেটে ও মাথায় গভীর ক্ষত আছে। এ জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, থানচি তিন্দু ইউনিয়নে মেনপই ম্রো নামের একজন ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল প্রথম ভালুকের আক্রমণের শিকার হন। ওই একজনসহ ২০২১ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৫ বছরে ১০ জন ভালুকের আক্রমণে আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে থানচিতে দুজন, রুমাতে তিনজন, আলীকদমে একজন ও বান্দরবান সদর উপজেলা চিম্বুক পাহাড়ে চারজন রয়েছেন। কারও মৃত্যু না হলেও তাঁদের মধ্যে কেউ চোখ হারিয়েছেন, কারও হাত–পা পঙ্গু হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা একজন মারমা ও একজন খুমি ছাড়া অন্যরা সবাই ম্রো।
বন বিভাগের বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আবদুর রহমান জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বনাঞ্চল কেটে উদ্যান বাগান ও জুমচাষ করা এলাকাগুলোতে ভালুকের আক্রমণ বেড়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, বাগানের কারণে ভালুক ও অন্যান্য বন্য প্রাণীরা আবাসস্থল ও বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যসংস্থান হারাচ্ছে। জীবনের তাগিদে তারা মানুষের সঙ্গে মুখোমুখি হতে বাধ্য হচ্ছে। বন নির্ভর মানুষকে অন্যভাবে আয়ের সংস্থানের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বনাঞ্চল সংরক্ষণ না হলে বন্য প্রাণীর সঙ্গে সহাবস্থান গড়ে উঠবে না। এভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা না হলে বন্য প্রাণী ও মানুষ কারও জন্য মঙ্গলজনক হবে না।