দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে মাহিয়া মাহি, বললেন ‘ঠিক আছে, ধন্যবাদ, বিদায়’
Published: 20th, June 2025 GMT
বড় পর্দায় শেষ দেখা গিয়েছিল ‘রাজকুমার’ সিনেমায়। এরপর কেটে গেছে প্রায় এক বছর। আলোচিত কোনো নতুন কাজ নেই, তবে মাহিয়া মাহি কখনোই বাইরে যাননি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থেকে। ব্যক্তিগত জীবন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব উপস্থিতি। সব মিলিয়ে তিনি ছিলেন শিরেনামে।
তবে এবার একেবারে ভিন্ন এক কারণে আলোচনায় এলো তাঁর নাম। নীরবে-নিভৃতে দেশ ছেড়েছেন এই ঢালিউড নায়িকা। গন্তব্য। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক পৌঁছে নিজের ফেসবুকে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেন মাহি। ক্যাপশনে মাত্র তিনটি শব্দ—‘ঠিক আছে, ধন্যবাদ, বিদায়।’ ছবির লোকেশন দেওয়া নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র। সংক্ষেপে, তবে স্পষ্টভাবে দেশ ছাড়ার বার্তাটিই যেন দিয়ে দিলেন তিনি।
তবে এই সফরের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। গণমাধ্যমকে শুধু জানালেন, “ভিসা পাওয়ার পর আর আসা হয়নি যুক্তরাষ্ট্রে। তাই এবার একটু সময় বের করে এলাম। বাচ্চা তো দেশে আছে, ঘুরে ফিরে আবার যাব।”
চলচ্চিত্রে মাহির যাত্রা শুরু ‘ভালোবাসার রঙ’ দিয়ে, ২০১২ সালে। এরপর একে একে উপহার দিয়েছেন ‘অগ্নি’, ‘পোড়ামন’, ‘অন্যরকম ভালোবাসা’, ‘অবতার’-এর মতো দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র। নিজের প্রাঞ্জল অভিনয় আর সাবলীল অভিব্যক্তির জন্য খুব দ্রুতই জায়গা করে নিয়েছেন ঢালিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের তালিকায়।
সম্প্রতি চলচ্চিত্রে অনিয়মিত হলেও আলোচনায় ছিলেন নানা কারণেই। এবার যুক্তরাষ্ট্র সফর ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। মাহি কি তবে নতুন করে জীবন সাজাতে চলেছেন? ফের কি শুরু হবে নতুন অধ্যায়?
তবে আপাতত এসব প্রশ্নের জবাব সময়ই দেবে। নিউইয়র্কের আকাশে আপাতত একটিই লেখা—‘ঠিক আছে, ধন্যবাদ, বিদায়।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অভ ন ত র য ক তর ষ ট র ন উইয়র ক
এছাড়াও পড়ুন:
ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার
ফের দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
গত জুন মাস শেষে রেমিট্যান্সে আয়ের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ পাওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর গত জুলাইর প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তখন গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর কমলেও আজ বুধবার রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে মাঝে মধ্যে বাজার থেকে ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ। যা অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
ঢাকা/নাজমুল/বকুল