নেইমারের বাসায় গিয়ে ইয়ামাল বললেন ‘আমার ভাই’
Published: 20th, June 2025 GMT
দুর্দান্ত এক মৌসুম শেষ করেছেন লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনা ক্লাব বিশ্বকাপে না থাকায় তাঁর হাতে এখন অখণ্ড অবসর। আর এই অবসর সময়টা চুটিয়ে উপভোগ করছেন ১৭ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ উইঙ্গার।
তবে ছুটিতেও নিজেকে আলোচনায় রাখছেন ইয়ামাল। ছুটি কাটাতে তিনি প্রথমে যান ইতালিতে। ‘আজ্জুরি’দের দেশে ছুটি কাটানোর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিও তিনি পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এরপর ইয়ামাল আলোচনায় আসেন স্প্যানিশ মডেল, ইনফ্লুয়েন্সার ও বিমানের ক্রু ফাতি ভাজকেজের সঙ্গে সুইমিংপুলের পাশে ও জলাশয়ে নৌকা নিয়ে ঘোরার ছবি ইনস্টাগ্রামে আপলোড করে। সে সময় ইয়ামালের সঙ্গে ১৩ বছরের বড় ফাতির প্রেম নিয়ে গুঞ্জনও শোনা গেছে বেশ। আর এবার ইয়ামাল আলোচনায় এলেন নেইমারের বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে। কদিন আগেই ইয়ামাল ব্রাজিলে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন। এরই মধ্যে দুজনের একসঙ্গে অবকাশযাপনের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
আরও পড়ুনইয়ামাল কি সত্যিই ১৩ বছরের বড় মডেলের প্রেমে মজেছেন১৮ জুন ২০২৫নেইমারের সঙ্গে ইয়ামালের ছুটি কাটানো নিয়ে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ও গ্লোবো’ জানিয়েছে, সান্তোস তারকা নেইমার গত বৃহস্পতিবার রিও ডি জেনিরোর মানগারাবিতা শহরে নিজের বাসভবনে বার্সেলোনা তারকা ইয়ামালকে স্বাগত জানিয়েছেন। নেইমার নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ইয়ামালের সঙ্গে সময় কাটানোর ভিডিও পোস্ট করেন।
সেই ভিডিওর শুরুতে জিমে ব্যায়াম করতে দেখা যায় নেইমারকে। এরপর নেইমার যান ফুটভলি খেলতে। নেইমারের বল অন্য প্রান্তে পাঠানোর পর দৃশ্যপটে আসেন ইয়ামাল। স্প্যানিশ তারকা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেরত পাঠান নেইমারের কাছে। কিছু সময় খেলার পর দুজনকে দেখা যায় সুইমিংপুলের ধারে। সেখানে খুনসুটিতেও মাতেন দুজন।
সবশেষে নেইমারের সান্তোসের জার্সি হাতে ইয়ামাল এবং ইয়ামালের বার্সেলোনার জার্সিতে নেইমারকে পোজ দিয়ে ছবি তুলতে দেখা যায়। এই ভিডিওর মন্তব্যের ঘরে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে ইয়ামাল লিখেছেন, ‘আমার ভাই।’
আরও পড়ুনমেসির ‘সবুজ’ থাকার কী ক্ষুধা, কেমন সেই ‘অমরত্ব’১ ঘণ্টা আগেইয়ামাল নিজেও স্টোরিতে নেইমার সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে নেইমারের পাশে বসে গলফ কার্ট গাড়িতে চড়তে দেখা যায় ইয়ামালকে
ইয়ামাল অবশ্য আগে থেকেই নেইমারের বড় ভক্ত। গত বছর সান্তোসে নিজের প্রথম মেয়াদে নেইমারের পরা একটি জার্সি পরতে দেখা গিয়েছিল ইয়ামালকে। তবে ভক্ত থেকে এবার যেন আরও ভালোভাবে ভাই–বন্ধুতে পরিণত হলেন তাঁরা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কারাগারে বিয়ে, ধর্ষণ মামলার বাদী ইডেন ছাত্রীকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিলেন নোবেল
চলচ্চিত্রের গান দিয়ে পরিচিতি পাওয়া গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল এবার আলোচনায় এলেন এক ব্যতিক্রমী ঘটনায়। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা ইডেন মহিলা কলেজের এক সাবেক ছাত্রীকে তিনি বিয়ে করেছেন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে বসেই।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির।
এর আগে বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে কারাগারে কাবিননামা অনুযায়ী বিয়ের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে সম্পাদন করে আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়। বিয়ের সময় ভুক্তভোগী ছাত্রী নিজেও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২3 সালের নভেম্বর মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে গায়ক নোবেল ও ইডেন কলেজের ওই ছাত্রীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর গত ১২ নভেম্বর স্টুডিও দেখানোর কথা বলে তাকে ডেমরার নিজ বাসায় ডেকে নেন নোবেল। অভিযোগে বলা হয়, সেদিন নোবেল ও তার কয়েকজন সহযোগী ওই ছাত্রীকে সেখানে আটকে রাখেন এবং পরে ধর্ষণ করেন। এমনকি ওই ঘটনার ভিডিওও গোপনে ধারণ করা হয় বলে দাবি করেছেন বাদী।
অভিযোগ আরও রয়েছে, মেয়েটির মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তা ভেঙে ফেলা হয় এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময় মারধর এবং শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
পরে ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে চিনতে পারে এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চায়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে এবং ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরদিন ডেমরা থানায় নোবেলের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হয়।
বর্তমানে নোবেল কারাবন্দি অবস্থায় আছেন। আর তাঁর সঙ্গে কাবিন করে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়ালেন যিনি, তিনি তাঁর বিরুদ্ধে মামলার বাদী। ফলে এই ঘটনা আইনি ও সামাজিক পর্যায়ে নানা প্রশ্ন এবং আলোচনার জন্ম দিয়েছে।