গল্পটি এক দশক আগেই লেখা ছিল। কেউ বিশেষ পাত্তা দেয়নি। ‘প্যারাসাইট’ অস্কার জেতার পর হঠাৎ কোরীয় কনটেন্ট নিয়ে মেতে ওঠে তাবৎ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। গল্পটিও কলকে পায়। এরপরের গল্প তো আপনার জানা, ২০২১ সালে মুক্তির পর স্ট্রিমিংয়ের সব রেকর্ড ভেঙেচুরে দেয় ‘স্কুইড গেম’। গত বছর মুক্তি পাওয়া দ্বিতীয় মৌসুম নিয়েও কম চর্চা হয়নি। সিরিজটির তৃতীয় ও শেষ মৌসুম মুক্তি পাচ্ছে আজ শুক্রবার।

আরও পড়ুনঝড় তুলেছে ‘স্কুইড গেম ২’০২ জানুয়ারি ২০২৫

ঋণজর্জরিত সিয়ং গি-হুনকে ঘিরে এগিয়েছে সিরিজের গল্প। মোটা অঙ্কের নগদ পুরস্কারের লোভে যিনি ভয়ংকর শিশুতোষ খেলায় অংশ নেন। বিষয়গত দিক থেকে ‘প্যারাসাইট’ ও ‘স্কুইড গেম’-এর মিল আছে। আর এই সাদৃশ্য নেহাত কাকতালীয়ও নয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় ধনী ও দরিদ্রদের মধ্যে যে পাহাড়সমান অর্থনৈতিক বৈষম্য, পরিচালকদের বারবার প্রেরণা জুগিয়েছে, সেই জ্বলন্ত বাস্তব। তবে এই সোশ্যাল স্যাটায়ারের কেন্দ্রে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার শিশুদের কয়েকটি খেলা। ঋণে জর্জরিত বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বিরাট অঙ্কের অর্থ-পুরস্কার জেতার লোভে অংশ নেয় একটি রহস্যজনক খেলায়, যেখানে প্রতি পদে মৃত্যুর হাতছানি। খেলাগুলোর বেশ কয়েকটি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের দেশেই ছোটবেলায় খেলা হয়। তাই এই শো যতটা দক্ষিণ কোরীয়, ততটাই বিশ্বজনীন। বিনোদনের আড়ালে সিরিজটি দিয়ে পুঁজিবাদকে একহাত নিয়েছেন নির্মাতা।

রেকর্ড ভিউ
দুই কিস্তি মিলিয়ে ‘স্কুইড গেম’–এর ভিউ ৬০ কোটি! এর মধ্যে ২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম মৌসুমই এখনো নেটফ্লিক্সের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় শো। মুক্তির মাত্র তিন দিনের মাথায়ই এটি অ-ইংরেজিভাষী শোয়ের টপ টেন তালিকায় ঢুকে পড়ে। নেটফ্লিক্সে এখন পর্যন্ত এটি তৃতীয় সর্ববৃহৎ মৌসুম। তৃতীয় কিস্তি যুক্ত হলে এই সংখ্যা আরও ফুলেফেঁপে উঠবে সন্দেহ নেই।

‘স্কুইড গেম ৩’-এর দৃশ্য। ছবি: নেটফ্লিক্স.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’

প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।

নতুন কুঁড়ির এ ছবিটি অভিনেত্রী শাওন ফেসবুকে শেয়ার করেছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ