কোরিয়া সরকারের ১৮২০ বৃত্তি, যাদের সুযোগ
Published: 30th, June 2025 GMT
এখন দক্ষিণ কোরিয়া বিদেশি অনেক শিক্ষার্থীর গন্তব্য। আর এ কারণে প্রতিবছর বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর একটি। জিডিপির ভিত্তিতে কোরিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা সর্বজনস্বীকৃত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নানা বৃত্তিও দেয়।
কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রাবাস শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ। আবার কেউ ক্যাম্পাসের বাইরে এক রুমের ফ্ল্যাটে, বোর্ডিং হাউসে বা কোরিয়ায় পরিবারের সঙ্গে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকার সুযোগও আছে। যদিও দেশটিতে ইংরেজির প্রচলন ব্যাপকভাবে হয় না, তবে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং তরুণেরা বেশ সাবলীলভাবে ইংরেজি বলতে পারেন।
আরও পড়ুনপাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর-পিএইচডির সুযোগ১৭ মার্চ ২০২৫দেশটির অন্যতম একটি বৃত্তি ‘গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ ’। এটি কোরিয়ার গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ নামেও পরিচিত। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পূর্ণ অর্থায়িত স্কলারশিপ প্রোগ্রাম এটি। এ প্রোগ্রামের আওতায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা বৃত্তি নিয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে পড়াশোনার সুযোগ পান। এ প্রোগ্রামের আওতায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের ১ হাজার ৮২০টি বৃত্তি দেওয়া হয়। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ছবি: এআই দিয়ে তৈরি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য শ বব দ য ল
এছাড়াও পড়ুন:
রাজ্জাক-ছফার এক জীবন
মহাকবি আলাওল লিখেছেন, ‘গুরু মুহম্মদে করি ভক্তি, স্থানে স্থানে প্রকাশিত নিজ মনোউক্তি’। ‘যদ্যপি আমার গুরু’ বইটির বৈশিষ্ট্য আহমদ ছফা নিজেই শনাক্ত করেছেন আলাওলের লেখা এই পঙ্ক্তি দিয়ে। ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বইটি প্রকাশের আগে দৈনিক বাংলা বাজার পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে দীর্ঘ চার মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল এই লেখা। অনেকেই সেই সময়ে লেখাটির প্রশংসা করেছিলেন। অনেকেই বলেছিলেন, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের জবানিতে লেখা কথাগুলো আহমদ ছফা নিজে বানিয়ে বানিয়ে লিখেছেন। অবশ্য মুখবন্ধে লেখক দাবি করেছেন, ‘আমার শিক্ষক অধ্যাপক রাজ্জাকের অনন্য ব্যক্তিত্বের মহিমা আমি যেভাবে অনুভব করেছি, অন্তত তার কিছুটা উত্তাপ দশজনের কাছে প্রকাশ করি।’
‘যদ্যপি আমার গুরু’ বই হিসেবে প্রকাশের সময় অধ্যাপক রাজ্জাক বেঁচে ছিলেন। ১৯৯৯ সালের ২৮ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭০ সাল থেকে নিয়মিত অধ্যাপক রাজ্জাকের কাছে যাওয়া-আসা করতেন আহমদ ছফা। তাঁর ভাষায়, তাঁর কাছে অধ্যাপক রাজ্জাক ‘একদিনের জন্যও পুরানো হয়ে যাননি’। অধ্যাপক রাজ্জাকের বহুমাত্রিক দিক পাঠকের কাছে উন্মোচন করেছেন লেখক। সমালোচক-পণ্ডিতেরা এমনটাই মনে করেন।
অধ্যাপক রাজ্জাকের সংস্পর্শে এসে মানুষ হিসেবে চিন্তার কাঠামো-দেখার ভঙ্গি বদলে গিয়েছে—এ কথা নিঃসংকোচেই বলেছেন লেখক। অধ্যাপক রাজ্জাককে পিএইচডির সুপারভাইজার হিসেবে চেয়েছিলেন ছফা। এই অনুরোধ থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্কের ইতি টেনে শুরু হয় গুরু-শিষ্যের জ্ঞানজগতের সম্বন্ধ। যদিও বইটিতে ছফা উল্লেখ করেছেন, প্রচলিত নিয়ম ভেঙে সুযোগ দেওয়ার পরও তাঁর পক্ষে পিএইচডি করা সম্ভব হয়নি। পিএইডি শেষ করতে না পারার কারণ হিসেবে তিনি অধ্যাপক রাজ্জাকেই দায়ী করেছেন।
যদ্যপি আমার গুরু, আহমদ ছফা, প্রচ্ছদ: কাইয়ুম চৌধুরী, প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮