ঝিনাইদহের মহেশপুরে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

রবিবার (৬ জুলাই) সকালে তাদের আটক করা হয়। এ সময় চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- উপজেলার কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা সুমন মিয়া (২৬), শাকিল খান (২৬), নাটিমা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোছা.

সালমা খাতুন (৪৫) ও বগুড়ার নুনগুলা ইউনিয়নের বাসিন্দা লুৎফর রহমান (২৩)।

আরো পড়ুন:

সাবেক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তারে অভিযানের পর বাড়ির পাশে মিলল লাশ

চাঁদাবাজির মামলায় গাজীপুরের সাবেক বিএনপি নেতা স্বপন গ্রেপ্তার

পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মহেশপুর ডিগ্রি কলেজ মোড়ের নিজের মুদি দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন আব্দুস সামাদ।

পথে অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি আব্দুস সামাদের চলন্ত মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি রাস্তার পাশে পড়ে যান। পরে তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল, নগদ ১৫ হাজার টাকা, একটি স্মার্টফোন ও একটি বাটন ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়েরর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল।

মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক ১ 
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক