নৃশংস হত্যার বিচার দাবিতে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 13th, July 2025 GMT
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ করেছেন।
আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় এই বিক্ষোভ হয়।
ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের একটি দল রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। ‘ঢাকা কলেজ’ ব্যানারে এই মিছিল করেন তাঁরা। মিছিলটি সায়েন্স ল্যাব মোড় ঘুরে আবার কলেজের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় ‘চাঁদাবাজের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘চব্বিশের বাংলায় চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
মিছিল শেষে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুস সালেকিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারা দেশে চাঁদাবাজি লাগামহীনভাবে বাড়ছে। সব অভিযোগ একটি নির্দিষ্ট দলের বিরুদ্ধে আসছে। কিন্তু দলটি তাদের নেতা–কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। যার পরিণাম হিসেবে আমরা মিটফোর্ডের সামনে একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটতে দেখলাম। আমরা এই বর্বর হত্যার সুষ্ঠু বিচার দেখতে চাই।’
বেলা একটার দিকে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি দল। কলেজের সামনে থেকে মিছিল করে তাঁরা সায়েন্স ল্যাব মোড়ে আসেন। সেখানে ১০ মিনিটের মতো অবস্থান করে বিক্ষোভ করার পর তাঁরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালের দিকে চলে যান।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘চাঁদা লাগলে চাঁদা নে, আমার ভাইকে ফিরিয়ে দে’, ‘চব্বিশের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’—এমন নানা স্লোগান দেন।
আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আজিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজার, ফুটপাত, বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির কারণে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। চাঁদা না দিলে পিটিয়ে মানুষ মেরে ফেলা হচ্ছে। আমরা এসব নৃশংসতার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়োগবিধির প্রজ্ঞাপন : প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতিতে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা, ২০২৫–এ পরিবর্তন এনেছে সরকার। নতুন সংশোধন অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা ও বয়সসীমায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শক্রমে এই সংশোধনী জারি করা হয়েছে গতকাল রোববার (২ নভেম্বর)।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ২০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে হবে। পদোন্নতির জন্য প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে অন্তত ১২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুনইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত ৪ ঘণ্টা আগেসরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক—উভয় পদেই প্রার্থীদের কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ছাড়া তফসিল–২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক উভয় পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনকুয়েতে ডেপুটেশনে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বেতন ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা০২ নভেম্বর ২০২৫নতুন বিধিমালার মাধ্যমে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দের পরিবর্তে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে বিজ্ঞান বিষয়ের প্রার্থীরাও সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংশোধিত বিধিমালার ফলে শিক্ষক নিয়োগের মান আরও উন্নত হবে এবং বিজ্ঞান শিক্ষায় দক্ষ প্রার্থীরা সুযোগ পাবেন। এর মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগে নতুন ধারা আনতে চায়।