পাঁচরুখী কলেজের অধ্যক্ষকে পুনর্বহালসহ দুর্নীতি বন্ধে ডিসির হস্তক্ষেপ কামনা
Published: 28th, July 2025 GMT
আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী বেগম আনোয়ারা কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেনকে স্বপদে বহাল এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ কতিপয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করতে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষে প্রায় ৫০০ জনের স্বাক্ষর ও মোবাইল নাম্বারসহ জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে,কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নীলিমা বসু তাঁর অনুগত দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে নানা অনিয়ম করে যাচ্ছেন।অভিযোগকারীরা দাবী করেন,কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে,কলেজের আর্থিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
শ্রেণিকক্ষ ও কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টিকটক ও রিল ভিডিও বানাতে ব্যস্ত থাকেন বলে এলাকার কয়েকজন অভিভাবক এ সংবাদদাতার কাছে অভিযোগ করেছেন।এসব কর্মকাণ্ডের কারণে কলেজের শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগকারীরা দাবী করেন। জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ ছাড়া এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব নয়।
এসব অভিযোগের বিষয় দ্রুত তদন্ত করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নীলিমা বসু ও ননএমপিও শিক্ষক মারুফ, মুহাম্মদ মুফাজ্জল হুসেন, আবু আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী। আড়াইহাজার উপজেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে পুনর্বহাল করলে কলেজের শিক্ষার মান্নোয়ন হবে এবং কলেজের শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে অভিযোগকারীরা মনে করেন।
বহিস্কৃত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, মিথ্যা ও বনোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে। বিগত প্রায় এক বছরেও আমার বিরূদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমান করতে পারে নাই। আমি কতিপয় শিক্ষকের ষড়যন্ত্রের শিকার।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নীলিমা বসু বলেন, আমার বিরূদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কল জ কল জ র শ
এছাড়াও পড়ুন:
বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন
বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) নিয়োগবিধিতে সমন্বিত বিএসসি ডিগ্রি অন্তর্ভুক্ত না করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
ইবিতে ছাত্রীর পোশাক নিয়ে শিক্ষকের কটূক্তি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘অধিকারের নামে কেন এই বৈষম্য?’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি অপরাধ নয়’, ‘ভেটেরিনারি একটাই পরিবার, কম্বাইন্ড ডিগ্রিতে সমান অধিকার’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘ভেটেরিনারি পরিবারে সমান অধিকার’, ‘সমন্বিত শিক্ষা দেশের সম্মান’, ‘আদিম পশু পালনে নয়, বরং সমন্বিত ভেটেরিনারি শিক্ষা দেশের সম্মান’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগবিধি সংশোধন না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ সময় গবি ছাত্র সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগে বৈষম্য করছে। এটি আমাদের প্রতি স্পষ্ট অবিচার। আমরা ইতোমধ্যে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ম্যামসহ বিএলআরআই কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা বারবার বিষয়টি উপেক্ষা করছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।”
আরেক শিক্ষার্থী মো. মাহিদুজ্জামান সিয়াম বলেন, “দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৬ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কোর্স চালু করা হয়। আমরা পশু চিকিৎসা ও পশু পালন—উভয় বিষয়ে সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করি। অথচ বিএলআরআই আমাদের কোনো গবেষণা বা চাকরির সুযোগ দিচ্ছে না। এটি বৈষম্যমূলক ও স্বৈরাচারী আচরণ।”
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেন এবং সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী