নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের ম্যাচ কবে, কোথায়
Published: 29th, July 2025 GMT
আগামী বছর প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আজ অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে হয়ে গেছে টুর্নামেন্টের ড্র। বাংলাদেশ পড়েছে গ্রুপ ‘বি’–তে । যে গ্রুপে তাদের সঙ্গী টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল ৯ বারের চ্যাম্পিয়ন চীন, দ্বিতীয় সফল দল ২ বারের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া ও মধ্য এশিয়ার দল উজবেকিস্তান।
টুর্নামেন্টের সূচিও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। ২০২৬ সালের ৩ মার্চ এশিয়ান কাপে অভিষেক হবে বাংলাদেশের। ওয়েস্টার্ন সিডনি স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ চীন। ৬ মার্চ একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে। এরপর তৃতীয় ম্যাচটি খেলতে বাংলাদেশকে যেতে হবে অস্ট্রেলিয়ার অন্য প্রান্তে। ৯ মার্চ পার্থ রেকটাঙ্গুলার স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান।
চীন ও উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ এখনো কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি। গ্রুপের তৃতীয় দল উজবেকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দল খেলেছে মাত্র একটি ম্যাচ। সেটিও ১৪ বছর আগে ২০১১ সালে। ঢাকায় এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের সেই ম্যাচে ০-৩ গোলে হারে বাংলাদেশ।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে কোন দল কোথায়* ৯ আগস্ট আপডেট হবে র্যাঙ্কিং। বাংলাদেশের এগোনোর সম্ভাবনা আছে।
আরও পড়ুননারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের গ্রুপে সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন ২ ঘণ্টা আগেগ্রুপের শীর্ষ দুইয়ে থাকলে তো বটেই, তৃতীয় হলেও সুযোগ মিলতে পারে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার। তিন গ্রুপের তিনটি তৃতীয় দলের সেরা দুটিও উঠবে শেষ আটে। এরপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
কোয়ার্টার ফাইনাল শুরু হবে ১৩ মার্চ। সেমিফাইনাল দুটি ১৭ ও ১৮ মার্চ। সিডনির স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ায় ফাইনাল ২১ মার্চ।
বাছাইপর্বে তিনটি ম্যাচই জিতেছে বাংলাদেশ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’