ছায়াসুনিবিড় গ্রামে জাতীয় মানের ফুটবল একাডেমি
Published: 4th, August 2025 GMT
চারদিকে সবুজ অরণ্য। কোলাহল নেই, তবে পাখির কিচিরমিচির আছে। এমন ছায়াসুনিবিড় গ্রামীণ জনপদে গড়ে উঠেছে একটি ফুটবল একাডেমি। প্রায় বিনা খরচায় সেখানে প্রশিক্ষণ পাচ্ছে খুদে ফুটবলাররা। স্বপ্ন দেখছে আগামী দিনের ফুটবলের ‘মেসি-নেইমার’ হওয়ার। এরই মধ্যে কেউ কেউ জায়গা করে নিচ্ছে জাতীয় দলে।
এই ফুটবল একাডেমির অবস্থান যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামে। নাম শামস-উল–হুদা ফুটবল একাডেমি। এই একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ফুটবল খেলে কৃতিত্ব দেখাচ্ছে অন্তত ২০ জন খেলোয়াড়। মেসি-নেইমার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে একাডেমির এক ঝাঁক খুদে ফুটবলার।
চলতি বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ গেমসে অংশ নিতে একাডেমিতে ১৫ দিনের ক্যাম্পে অংশ নেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা। গত ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও ইংল্যান্ডের তিনজন প্রবাসী খেলোয়াড়ও ছিলেন।
নিভৃত গ্রামে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করতে এসে সব সুযোগ–সুবিধা পেয়ে খুশি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী (ছোটন)। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকার বাইরে গ্রামে এমন মানসম্মত একাডেমি পাওয়া সত্যিই খুব কঠিন। এখানে গাড়ির শব্দ নেই। মানুষের কোলাহল নেই। মাঠের সঙ্গে আবাসিক ভবন। প্রশিক্ষণে শতভাগ ফোকাস করা যাচ্ছে। এবারের ক্যাম্পটি ঢাকার চেয়ে ভালো হচ্ছে। কারণ, ঢাকায় একদিকে আবাসন, অন্যদিকে অনুশীলনের মাঠ। যানজটে রাস্তায় অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। এখানে ভালো মানের দুটি মাঠ, আবাসনের ব্যবস্থা, খেলোয়াড়দের অভ্যন্তরীণ ব্যায়ামাগারসহ জাতীয় মানের সব সুযোগ-সুবিধা আছে।
২২ একরের সাজানো একাডেমিহামিদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ২০১১ সালে শামস-উল–হুদা ফুটবল একাডেমির যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে বিদ্যালয়ের মাঠ ভাড়া নিয়ে বছর তিনেক প্রশিক্ষণ চলে। এরপর পাশে জমি কিনে নিজস্ব অবকাঠামোয় ২২ একর ভূখণ্ডে একাডেমির কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে একাডেমিতে ৬০ জন আবাসিক ও ৯০ জন অনাবাসিক প্রশিক্ষণার্থী ফুটবলের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী প্রশিক্ষণার্থীদের আবাসিকে রেখে প্রশিক্ষণ ও লেখাপড়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের অনাবাসিকে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়।
গত ২৪ এপ্রিল হামিদপুর গ্রামে একাডেমিতে গিয়ে দেখা গেল, গ্রামের মধ্যে বিশাল এলাকাজুড়ে একাডেমি। পাশাপাশি দুটি সবুজ মাঠ। একটি মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়েরা ও অন্য মাঠে একাডেমির প্রশিক্ষণার্থীরা অনুশীলন করছে। মাঠের এক প্রান্তে একাডেমির পুরোনো ভবন। অন্য প্রান্তে ছয়তলার ভাষাসৈনিক মুসা মিয়া ভবন নামের নতুন আবাসিক ভবন করা হয়েছে। ভবনে স্থাপন করা হয়েছে ব্যায়ামাগার। অনুশীলনের সময় আশপাশের মানুষ মাঠের চারপাশে ভিড় করেন।
অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ গেমসে অংশ নিতে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয় শামস-উল–হুদা ফুটবল একাডেমিতে। গত এপ্রিলে যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর গ্রামে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল এক ড ম এক ড ম ত এক ড ম র ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
নিয়োগবিধির প্রজ্ঞাপন : প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতিতে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা, ২০২৫–এ পরিবর্তন এনেছে সরকার। নতুন সংশোধন অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা ও বয়সসীমায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শক্রমে এই সংশোধনী জারি করা হয়েছে গতকাল রোববার (২ নভেম্বর)।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ২০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে হবে। পদোন্নতির জন্য প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে অন্তত ১২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুনইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত ৪ ঘণ্টা আগেসরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক—উভয় পদেই প্রার্থীদের কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ছাড়া তফসিল–২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক উভয় পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনকুয়েতে ডেপুটেশনে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বেতন ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা০২ নভেম্বর ২০২৫নতুন বিধিমালার মাধ্যমে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দের পরিবর্তে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে বিজ্ঞান বিষয়ের প্রার্থীরাও সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংশোধিত বিধিমালার ফলে শিক্ষক নিয়োগের মান আরও উন্নত হবে এবং বিজ্ঞান শিক্ষায় দক্ষ প্রার্থীরা সুযোগ পাবেন। এর মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগে নতুন ধারা আনতে চায়।