মডেল-অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী মন্দিরা চক্রবর্তী। আরিফিন শুভর সঙ্গে ‘নীলচক্র’ সিনেমায় জুটি বেঁধে মন্দিরা এখন পুরোদস্তুর চিত্রনায়িকা। ‘নীলচক্র’ মুক্তির পর নতুন কাজ শুরু করেননি। তবে কথাবার্তা চলছে। 

মন্দিরা তার ক্যারিয়ারে দুটো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এগুলো হলো—‘কাজলরেখা’, ‘নীলচক্র’। এ দুটো সিনেমায় শরিফুল রাজ ও আরিফিন শুভর সঙ্গে রোমান্টিক চরিত্রে দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে। বাস্তব জীবনেও চুটিয়ে প্রেম করছেন মন্দিরা? 

আরো পড়ুন:

দেবের মন্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ শুভশ্রী

ভাঙা প্রেমকে ‘মুছে ফেলা অধ্যায়’ বললেন শমিতা শেঠি

একটি সাক্ষাৎকারে মন্দিরার কাছে এই ফ্রশ্ন রাখা হয়। জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “পৃথিবীতে কোনো মানুষ কী আছে, যার মধ্যে প্রেম নেই। মানুষকে বাঁচতে হলে তার মধ্যে প্রেম থাকা লাগবেই লাগবে। জীবনে এগিয়ে যেতে হলে, ভালো থাকতে হলে প্রেমেও থাকতে হবে। আমি মনে করি, মানুষের জীবনের সঙ্গে প্রেমও হাত ধরাধরি করে চলে। তাই প্রত্যেক মানুষের জীবনে প্রেম থাকা জরুরি।” 

তবে খুব শিগগির বিয়ের পরিকল্পনাও আছে? জবাবে মন্দিরা চক্রবর্তী বলেন, “না না, শিগগিরই বিয়ের পরিকল্পনা নেই। পরিবার থেকেও বিয়ের কোনো চাপ নেই। আপাতত আমার সব মনোযোগ কাজে। কাজ ছাড়া আপাতত অন্য কিছুই ভাবছি না।” 

২০১২ সালে টিভি রিয়েলিটি শো ‘সেরা নাচিয়ে’-তে অংশ নিয়ে রানার-আপ নির্বাচিত হন মন্দিরা। শোবিজ অঙ্গনে এটি তার পথচলার সূচনা। এরপর বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাটকে অভিনয় শুরু করেন। তবে ছোটবেলা থেকেই নাচে প্রশিক্ষণ নেন। কত্থক নাচে তার ঢের দখল রয়েছে।  

মন্দিরা অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ‘প্রতিযোগিতা’। এটি পরিচালনা করেন ওয়াহিদ আনাম। এরপর বিভিন্ন পরিচালকের নির্দেশনায় ছোট পর্দায় কাজ করেছেন। মোশাররফ করিম, তাহসান, আফরান নিশোর মতো তারকাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। 

ছোট পর্দায় কাজ করলেও মন্দিরার সিনেমার বাইরে আপাতত তেমন ভাবনা নেই। তার মতে—“এখন সব আলাপই সিনেমাকেন্দ্রিক হয়। ওটিটিতে যদি তেমন গল্প পাই, নির্মাতা ও টিম তেমন ভালো পাই, তাহলে সেটি নিয়ে ভাবতে অসুবিধা কী।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র মন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২

ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলন কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ২২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে নগরের আম্বরখানাস্থ বাসদ কার্যালয় থেকে তাদের আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। 

বাসদ নেতারা অভিযোগ করেছেন, সকালে নিয়মিত পাঠচক্র চলাকালে হঠাৎ পুলিশ কার্যালয় ঘেরাও করে নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যায়। 

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা দিল শিবির

বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে এগিয়ে নিতে সিকৃবি উপাচার্যের অঙ্গীকার

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আজ (শনিবার) ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা নগরে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করেছিল। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে অভিযোগের সত্যতা মিললে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। গ্রেপ্তারদের নাম পরবর্তীতে জানানো হবে।’’ 

বাসদের সিলেট জেলা সভাপতি আবু জাফর বলেন, ‘‘ব্যাটারিচালিত রিকশার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ (শনিবার) চৌহাট্টা থেকে আমাদের পূর্বঘোষিত ‘ভুখা মিছিল’ কর্মসূচি ছিল। কিন্তু শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতে পুলিশ নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর আমরা কর্মসূচি স্থগিত করি। তবে সব শ্রমিককে তা জানানো সম্ভব হয়নি। সকালে শহীদ মিনার এলাকায় কয়েকজন শ্রমিক জড়ো হন। কিন্তু কার্যালয়ে শুধু পাঠচক্র চলছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২২ নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে গেছে।’’

এর আগে একই ইস্যুতে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) মধ্যরাতে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ী এলাকার বাসা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমনকেও আটক করে পুলিশ।

গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকরা। ওই সময় আনোয়ার হোসেন সুমনসহ কয়েকজন বামঘরানার রাজনীতিকও আন্দোলনে অংশ নেন। আন্দোলনকারীরা ব্যাটারি রিকশা চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরে তা মেনে নিতে রবিবার (২ নভেম্বর) পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। সেই আলটিমেটাম শেষ হওয়ার একদিন আগে সিপিবির সুমন ও বাসদের ২২ নেতাকর্মীকে আটক করা হলো।

শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, ‘‘ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ইন্ধন দিচ্ছে। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে সংঘাতের আশঙ্কায় রবিবারের কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’’ 

গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সিলেট মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরীর উদ্যোগে পরিচালিত এই অভিযানে শতাধিক রিকশা জব্দ ও একাধিক চার্জিং পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরপর থেকে নগরে ব্যাটারি রিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। 
 

ঢাকা/নুর/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে খুন, এরপর...
  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২