প্রত্যেক মানুষের জীবনে প্রেম থাকা জরুরি: মন্দিরা
Published: 29th, August 2025 GMT
মডেল-অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী মন্দিরা চক্রবর্তী। আরিফিন শুভর সঙ্গে ‘নীলচক্র’ সিনেমায় জুটি বেঁধে মন্দিরা এখন পুরোদস্তুর চিত্রনায়িকা। ‘নীলচক্র’ মুক্তির পর নতুন কাজ শুরু করেননি। তবে কথাবার্তা চলছে।
মন্দিরা তার ক্যারিয়ারে দুটো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এগুলো হলো—‘কাজলরেখা’, ‘নীলচক্র’। এ দুটো সিনেমায় শরিফুল রাজ ও আরিফিন শুভর সঙ্গে রোমান্টিক চরিত্রে দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে। বাস্তব জীবনেও চুটিয়ে প্রেম করছেন মন্দিরা?
আরো পড়ুন:
দেবের মন্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ শুভশ্রী
ভাঙা প্রেমকে ‘মুছে ফেলা অধ্যায়’ বললেন শমিতা শেঠি
একটি সাক্ষাৎকারে মন্দিরার কাছে এই ফ্রশ্ন রাখা হয়। জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “পৃথিবীতে কোনো মানুষ কী আছে, যার মধ্যে প্রেম নেই। মানুষকে বাঁচতে হলে তার মধ্যে প্রেম থাকা লাগবেই লাগবে। জীবনে এগিয়ে যেতে হলে, ভালো থাকতে হলে প্রেমেও থাকতে হবে। আমি মনে করি, মানুষের জীবনের সঙ্গে প্রেমও হাত ধরাধরি করে চলে। তাই প্রত্যেক মানুষের জীবনে প্রেম থাকা জরুরি।”
তবে খুব শিগগির বিয়ের পরিকল্পনাও আছে? জবাবে মন্দিরা চক্রবর্তী বলেন, “না না, শিগগিরই বিয়ের পরিকল্পনা নেই। পরিবার থেকেও বিয়ের কোনো চাপ নেই। আপাতত আমার সব মনোযোগ কাজে। কাজ ছাড়া আপাতত অন্য কিছুই ভাবছি না।”
২০১২ সালে টিভি রিয়েলিটি শো ‘সেরা নাচিয়ে’-তে অংশ নিয়ে রানার-আপ নির্বাচিত হন মন্দিরা। শোবিজ অঙ্গনে এটি তার পথচলার সূচনা। এরপর বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাটকে অভিনয় শুরু করেন। তবে ছোটবেলা থেকেই নাচে প্রশিক্ষণ নেন। কত্থক নাচে তার ঢের দখল রয়েছে।
মন্দিরা অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ‘প্রতিযোগিতা’। এটি পরিচালনা করেন ওয়াহিদ আনাম। এরপর বিভিন্ন পরিচালকের নির্দেশনায় ছোট পর্দায় কাজ করেছেন। মোশাররফ করিম, তাহসান, আফরান নিশোর মতো তারকাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন।
ছোট পর্দায় কাজ করলেও মন্দিরার সিনেমার বাইরে আপাতত তেমন ভাবনা নেই। তার মতে—“এখন সব আলাপই সিনেমাকেন্দ্রিক হয়। ওটিটিতে যদি তেমন গল্প পাই, নির্মাতা ও টিম তেমন ভালো পাই, তাহলে সেটি নিয়ে ভাবতে অসুবিধা কী।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র মন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’