চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে যুবদল কর্মী মো. মুন্না (২২) হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার গভীর রাতে উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার চারজন হলেন মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান (৩৭), মো. শাহ আলম (৪৭), মো. আরমান (২৬) ও নাজমুস সাকিব (২২)। এর আগে মুন্না হত্যার ঘটনায় সোমবার রাত ১২টায় মুন্নার ভগ্নিপতি আরাফাত হোসেন মিরসরাই থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোমবার রাতে মিরসরাই সদরে বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির রেশ ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মুন্না নামের এক যুবক নিহত হন। ঘটনার পর রাতেই মুন্নার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’

গ্রেপ্তার যুবদল নেতা কামরুল হাসান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী

নোয়াখালীর হাতিয়ায় হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপির পাঁচ কর্মী। তাদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তমরদ্দি বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ জন্য একই দলের অন্য নেতার অনুসারীদের দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা। 

আহত ব্যক্তিরা হলেন– সোহেল উদ্দিন (৩০), রুবেল (২৫), মো. রনি (২৬), এরশাদ (৩৫) ও পায়েল (২৫)। তাদের বাড়ি তমরদ্দি ইউনিয়নের আঠারোবেকী গ্রামে। আহত সবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের কর্মী-সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তমরদ্দি বাজারের একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিহাব উদ্দিনের ভাষ্য, সবার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কিছু আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ জন্য চারজনকে রাতেই হাতিয়ার বাইরে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। 

ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের ভাষ্য, মঙ্গলবার ইউনিয়ন বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আসার পথে হামলায় তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দুটি মামলা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ওই আসামিরাই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের লোক।

তবে আলমগীর কবিরের দাবি, হামলায় তাঁর কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না। এমন অভিযোগ সত্য নয়। 

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, বিএনপি নেতা তানভীর হায়দার ও আলমগীর কবিরের লোকজনের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের বিরোধ অনেক পুরোনো। আগের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
  • দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী