রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) বিএনপিপন্থি কৃষিবিদদের সংগঠন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কৃষিবিদদের দুই গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মাসিক আয়ের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এ্যাবের আহ্বায়ক রাশিদুল হাসান হারুন ও বিএনপির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম গ্রুপের অনুসারীদের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। হারুন গ্রুপের নেতৃত্ব দেন কৃষিবিদ নুরুন্নবী শ্যামল আর শামীম গ্রুপের নেতৃত্ব দেন কৃষিবিদ শফিক, কৃষিবিদ ইয়ার মাহমুদ প্রমুখ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ্যাবের কয়েকজন নেতা জানান, রাত পৌনে দশটা পর্যন্ত এই সংঘর্ষে মারাত্মকভাবে আহত হন কৃষিবিদ শ্যামল, শরীফ, ইকবাল, কৃষিবিদ শফিক, ইয়ার মাহমুদ, রবিউল ইসলাম রবি ও আদনান প্রমুখ। 

এ বিষয়ে নুরুন্নবী শ্যামল বলেন, একটা ঘটনা ঘটেছে। তেমন বড় ঘটনা না। 

কৃষিবিদ শফিক বলেন, একটা বড় দরবার নিয়ে ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টা মীমাংসা করা হচ্ছে। 

৩৫ হাজার সদস্যের কৃষিবিদদের জাতীয় সংগঠন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) এক যুগেরও বেশি সময় চলেছে লুটপাটের মহোৎসব। নানা খাত দেখিয়ে ভুয়া ভাউচার বানিয়ে টাকা আত্মসাৎ ছিল নিত্যদিনের ব্যাপার। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রাজধানীর খামারবাড়ির কেআইবি কার্যালয়টি ব্যবহার করতেন তাদের দলীয় কার্যালয়ের মতোই। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর প্রতিষ্ঠানটি দখলে নেন বিএনপিপন্থি কৃষিবিদরা। কিন্তু ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েক মাস ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কেআইবির সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। এখনও কমিটিবিহীন চলছে কেআইবি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকয়েকজন কৃষিবিদদ বলেন, 'কৃষিবিদরা এ দেশের কৃষির প্রাণভোমরা। অথচ তাদের মধ্যে চলছে বিভাজন। প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা চলে। অনৈক্যের কারণে কৃষিবিদদের দাবি-দাওয়াও পূরণ হচ্ছে না। সবাইকে এক ছাতার নিচে আনতে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া দরকার।'

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ স ঘর ষ আহত স ঘর ষ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।

এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।

প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”

আরো পড়ুন:

জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!

অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?

ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”

‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”

গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ