মৌলভীবাজারে ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা নিহত
Published: 19th, January 2025 GMT
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ছুরিকাঘাতে নোমান আহমদ (৩৮) নামের এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। নোমান সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বাড্ডা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, “শনিবার সন্ধ্যা রাতে নোমান বাড্ডা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় হঠাৎ দুই যুবক এসে নোমানের বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে নোমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।”
শহীদ আরো বলেন, “ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই যুবক পালিয়ে গেছে। তবে তাদের নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। তারা হলেন- সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের সবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ ও কালাইউরা গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে রেহান আহমদ।”
সুজানগর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সাবুল আহমদ বলেন, “সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতা নোমান আহমদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে মারজান আহমদরা। নোমান দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তাঁর এমন মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নোমানকে অভিযুক্তরা ছুরিকাঘাত করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করি হচ্ছে। এছাড়া হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেটি নিয়েও তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।”
ঢাকা/আজিজ/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বদল র ন আহমদ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব