চাঁদা আদায় বন্ধে হরতাল পালন ব্যবসায়ীদের
Published: 22nd, January 2025 GMT
রাজধানীর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে ইজারার নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যুবদল নেতার চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে হরতাল পালন করেছেন কাচাঁবাজারের শতশত ব্যবসায়ী। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রেখে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
ইজারার নামে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন।
জানা গেছে, ডিএসসিসির সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসের আমলে দেওয়া ‘অবৈধ’ ইজারা বর্তমান সরকার বাতিল করলেও স্থানীয় যুবদল নেতা ‘লাকী বাহিনী’ তা চালু রেখেছেন। লাকীর এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মৌলভীবাজার কাঁচাবাজারের সামনে হরতালের সমর্থনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ চলে সারাদিন।
মৌলভীবাজার কাচঁবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বশির আহমেদ গতকাল কাচঁবাজারের সামনে সমাবেশে বলেন, মৌলভীবাজার কাঁচাবাজারে ৫শ‘র অধিক ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায়ী ইজারাদার নামধারী চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি। চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে হরতাল অনির্দিষ্ট কালের জন্য চলবে।
কাচঁবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাশেম মোল্লা বলেন, দেশের বৃহৎ এই কাচাঁবাজারে দলীয় নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি চলছে। আমরা চাঁদাবাজমুক্ত বাজারের দাবিতে এই হরতাল পালন করছি।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রের সামনে পাহাড় রক্ষা পরিবেশ, উন্নয়ন সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মৌলভীবাজার জেলা পাহাড় রক্ষা পরিবেশ ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ময়নুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সেলিম আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক হামিদা খাতুন, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, নিছসা সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাসান বক্ত, পরিবেশকর্মী সাজু আহমেদ, শাহারা ইসলাম রুহিন, শ্রমিক নেতা দুলাল মিয়া, ছাত্রনেতা লিটন গাজী, মিনহাজুল ইসলাম মুন্না, আব্দুল মতিন, মিসবাউর রহমান, আদিবাসী নেতা সুচিনগুল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এখনও বাংলাদেশ সেই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় হলেও দেশের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনকারীরা সরব রয়েছেন। ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের ক্ষতিপূরণ আদায়ে সচেতন হয়নি সরকার। বিষয়টি আমলে নেয়নি কোম্পানি।