খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন হাসান হাফিজ
Published: 23rd, January 2025 GMT
বাংলা কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর নেত্রকোনার খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন বরেণ্য কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজ।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সভাপতি ম. কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম ও সাধারণ সম্পাদক কবি তানভীর জাহান চৌধুরী।
তারা জানান, আগামী পয়লা ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) জেলা শহরের বকুলতলায় দিনব্যাপী বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবে আনুষ্ঠানিকভাবে কবি হাসান হাফিজের হাতে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন:
সংবাদকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
‘ভোরের কাগজ খুলে দিন’
টিসিজেএ ইনডোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
এ সময় জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুখলেছুর রহমান খান ও সূফি কবি এনামূল হক পলাশসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজ ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতি বছর পয়লা ফাগুনে একজন বরেণ্য লেখক, কবি, সাহিত্যিককে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার দিয়ে আসছে। নেত্রকোনা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কবি সাহিত্যকরা এ উৎসবে যোগ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর আগামী পয়লা ফাল্গুন ২৮তম বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এবার খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি ও প্রবীণ সাংবাদিক হাসান হাফিজকে মনোনীত করা হয়েছে।
কবি হাসান হাফিজ বর্তমানে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কবি হাসান হাফিজের জন্ম ১৯৫৫ সালের ১৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে আলাদা আলাদাভাবে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। কবি হাসান হাফিজ সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি সাংবাদিকতাকে প্রধান পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তিনি প্রায় চার দশক ধরে বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিক ও সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’