বাংলা কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর নেত্রকোনার খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন বরেণ্য কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজ।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সভাপতি ম. কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম ও সাধারণ সম্পাদক কবি তানভীর জাহান চৌধুরী।

তারা জানান, আগামী পয়লা ফাল্গুন (১৪ ফেব্রুয়ারি) জেলা শহরের বকুলতলায় দিনব্যাপী বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবে আনুষ্ঠানিকভাবে কবি হাসান হাফিজের হাতে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন:

সংবাদকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
‘ভোরের কাগজ খুলে দিন’

টিসিজেএ ইনডোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ 

এ সময় জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুখলেছুর রহমান খান ও সূফি কবি এনামূল হক পলাশসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজ ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতি বছর পয়লা ফাগুনে একজন বরেণ্য লেখক, কবি, সাহিত্যিককে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার দিয়ে আসছে। নেত্রকোনা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কবি সাহিত্যকরা এ উৎসবে যোগ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর আগামী পয়লা ফাল্গুন ২৮তম বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এবার খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি ও প্রবীণ সাংবাদিক হাসান হাফিজকে মনোনীত করা হয়েছে।

কবি হাসান হাফিজ বর্তমানে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কবি হাসান হাফিজের জন্ম ১৯৫৫ সালের ১৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে আলাদা আলাদাভাবে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। কবি হাসান হাফিজ সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি সাংবাদিকতাকে প্রধান পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তিনি প্রায় চার দশক ধরে বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিক ও সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’

‘উৎসব’ দেখে মন ভরে গেছে। বাংলাদেশের সিনেমা দেখতে যাওয়া, বয়স হওয়ার পর, একটা বিড়ম্বনা। একটা কারণ, সিনেমা হলের বের হওয়ার দরজার মুখে ক্যামেরা দাঁড়িয়ে থাকে। বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করে, ‘কেমন দেখলেন।’ কী বলবেন? সিনেমা যাঁরা বানান, তাঁরা আমাদের ভাইবেরাদার, বোন-দুলাভাই, মামা-চাচা, ভাইপো-ভাইঝি, না হলে আমার আরেকটা নাটকের প্রডুসার, একটা চ্যানেলের মালিক, সত্য কথা বলে এই বয়সে বন্ধুহারা, ভাইহারা হতে কে চায়।

বেশির ভাগ সিনেমা শেষ পর্যন্ত দেখলে একটা উপকার হয়, নিজের ধৈর্যশক্তি বাড়ে, সহ্যক্ষমতা পোক্ত হয়! সম্পূর্ণ ভালো লেগেছে, এমন ছবি আমার তালিকায় খুব কম। একটা দুটোর নাম করি, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘মুক্তির গান’। ‘নিরন্তর’ ভালো লেগেছিল, ‘শঙ্খনাদ’ পছন্দ করেছিলাম, ‘টেলিভিশন’ কিংবা ‘স্বপ্নজাল’ দেখেও প্রশংসা করেছিলাম...এই রকম হাতে গোনা কয়েকটা ছবি। হাতে গোনা ব্যাপারটা হলো, আপনি হাতের আঙুল দিয়ে গুনতে পারবেন, অঙ্গুলিমেয়, আঙুলের দাগ ধরে ধরে গুনবেন, বিশটার বেশি হবে না। আমার মনে হয়, দুই হাতের দশটা আঙুলের চেয়ে বেশি বাংলাদেশি সিনেমার নাম আমি বলতে পারব না, যা আমার বেশ ভালো লেগেছে।

তানিম নূর পরিচালিত এবারের ঈদের ছবি ‘উৎসব’ দেখলাম ১৩ জুন ২০২৫। অপরাহ্ণ শো। দুদিন আগেই টিকিট কাটা ছিল। আমরা আটজনের একটা দল, বন্ধুবান্ধব, ছেলেমেয়েসমেত স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়ে হাজির। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। এত বড় লাইন, সবার হাতে টিকিট, সবাই একটা সিনেমা দেখতে দাঁড়িয়ে আছেন হাসিমুখে, কী সুন্দর একটা দৃশ্য।

উৎসব সিনেমার পোস্টার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফল উৎসব 
  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’