সম্প্রতি ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ম্যারিকো বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ ক্যাম্পাসভিত্তিক প্রতিযোগিতা ওভার দ্য ওয়ালের তৃতীয় সিজনের গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উদ্ভাবনমুখী এ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত দল টিম পাওয়ারপাফ গার্লস।  

গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত রাউন্ডে ৬টি দল তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করে। এসব আইডিয়ার মধ্যে টেকসই পণ্যের নকশা ও উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ থেকে শুরু করে সৃজনশীল ব্যবসায়িক কৌশলও ছিল। প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্সআপ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর টিম কওডন ব্লু এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম এক্লিপ্স। প্রাইজমানির পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন দল ম্যারিকোর বৈশ্বিক দপ্তরগুলোতে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছে। এ ছাড়া প্রথম রানার্সআপ ও দ্বিতীয় রানার্সআপ ম্যারিকো বাংলাদেশে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ