মাইকেল বিশ্বের সাথে বাংলার পরিচয় ঘটিয়েছেন: আব্দুল হাই শিকদার
Published: 25th, January 2025 GMT
অধ্যাপক, কবি ও সাংবাদিক আব্দুল হাই শিকদার বলেছেন, “বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনা করে বিশ্বের সাথে বাংলার পরিচয় ঘটিয়েছেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি বিশ্ব ইতিহাসে আপন মহিমায় উজ্জ্বল নক্ষত্র। ক্ষণজন্মা পুরুষ হিসেবে তার আবির্ভাব ছিল বাংলা সাহিত্যে ঊষার অঙ্গনে দেবদূতের মত। তার মেধা ও মননশীল সৃষ্টি চেতনায় সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য।”
কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার দ্বিতীয়দিন শনিবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মধুমঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজন সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর তানভির দুলাল, কবি ও সাহিত্যিক সাঈদ আবু বক্কার, যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড কমার্স ইন্ড্রাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান খান, যশোর সরকারি সিটি কলেজের অধ্যাপক খন্দকার কামরুল ইসলাম, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার আহসান কবির, কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, কেশবপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওজিয়ার রহমান, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি তৌহিদ মনি, কেশবপুরের পাঁজিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সোহানুর রহমান সোহাগ ও বিমল কুমার কুন্ডু। দক্ষিণ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ এ মেলায় সার্কাস, মৃত্যুকূপ, শিশু মেলা, যাদু প্রদর্শনী, কুটির শিল্প ও বিভিন্ন পসরার প্রায় পাঁচ শতাধিক স্টল রয়েছে। এছাড়াও মধুমঞ্চে প্রতিদিন দেশবরেণ্য কবি, সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি