কক্সবাজারের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো আকিজবশির গ্লাসের দুই দিনব্যাপী ‘টপ ডিলার্স মিট ২০২৫’। গত শুক্র ও শনিবার আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল ‘পাওয়ার অব পার্টনারশিপ: প্রমিজ অব প্রগ্রেস’।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আকিজবশির গ্রুপের সিওও মোহাম্মাদ খোরশেদ আলম ও সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবদুহু সুফিসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শীর্ষ ডিলাররা।

এই আয়োজনে ‘আকিজবশির গ্লাস’ গ্লাসশিল্পে অংশীদারদের অবদান, আস্থা ও একসঙ্গে এগিয়ে চলার শক্তিকে সম্মান জানিয়ে শীর্ষ ডিলারদের অসাধারণ অর্জনের জন্য পুরস্কৃত করেছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সাফল্যের শিখরে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলাই ছিল এই অনুষ্ঠানের মূল বিষয়বস্তু।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদেরকে কখনো হয়রানি করবেন না

দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হয়রানি না করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, “আমার কাছে অনেক খবর আসে। দয়া করে এই সম্প্রদায়ের মানুষদেরকে কখনো হয়রানি করবেন না। তারা আমাদের সদস্য, আমাদের ভাই, আমরা তাদের পাশে আছি এবং সমস্ত শক্তি নিয়ে থাকব।”

আরো পড়ুন:

রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলেছেন: ফখরুল

সাংবাদিক হেনস্থায় মির্জা ফখরুলের দুঃখ প্রকাশ

সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সনাতন ধর্মাবলম্বী মতুয়া সম্প্রদায়ের ৫০ জন সদস্যের বিএনপিতে যোগদান উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “পরিষ্কার করে সরকার উদ্দেশে বলতে চাই, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমরা দেখতে চাই না যে আপনারা আমাদের এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের কোনো রকম বিপদের মধ্যে ফেলেছেন বা কোনো রকম সমস্যা তৈরি করছেন। এটা আমি খুব স্পষ্টভাবে আপনাদের উদ্দেশে আজকে বলতে চাই।”

বিএনপিতে যোগদানকারী মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, “আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন এখন থেকে। আপনারা আমাদের বন্ধু। আমরা আপনাদের পাশে আছি।”

জুলাই অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে সবাইকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “বাইরের কিছু কিছু মানুষ, কিছু দেশ, কিছু মিডিয়া (গণমাধ্যম), তারা বাংলাদেশের ব্যাপারে একটা মিথ্যা প্রচারণা করার চেষ্টা করছে। আমরা এ ধারণা পাল্টে দিতে চাই।”

অতীত স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “অনেক রকম ভুল হয়েছে। অনেক রক্ত ঝরেছে বাংলাদেশে। অনেক বিভাজন হয়েছে। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।”

“আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ২০১৬ সালে তিনি একটা কর্মসূচি দিয়েছিলেন, অর্থাৎ ২০৩০ সালে বাংলাদেশকে আমরা কেমন দেখতে চাই, তার ওপর তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন অনেকগুলো। তার মধ্যে একটা প্রস্তাব ছিল যে বাংলাদেশকে তিনি একটা রেইনবো স্টেট হিসেবে দেখতে চান। অর্থাৎ রংধনু একটা রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান। রংধনু যেখানে অনেক রং থাকে একসাথে মিলে যায়,” যোগ করেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা সোমনাথ দে, কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল, সোমেন সাহা, গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রমেন সরকার প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ