গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার চিকিৎসায় অবদান নিয়ে সেমিনার
Published: 20th, October 2025 GMT
ক্যান্সার চিকিৎসা ও গবেষণায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) অবদান, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৪১৭ নম্বর মিলনায়তনে ‘ক্যান্সার চিকিৎসায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান’ শিরোনামে সেমিনারটি আয়োজিত হয়।
আরো পড়ুন:
গবি রেজিস্ট্রারের ফেরা নিয়ে দুই গ্রুপে উত্তেজনা
গকসুর নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ
এতে দেশের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। আলোচকরা ক্যান্সার চিকিৎসায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, গবেষণার ক্ষেত্র এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ডিএটি থিওরি, ন্যানোটিউবস ফর লাং ক্যান্সার, আইআর স্পেকট্রাম অ্যানালাইসিস, বায়োসেন্সরসহ প্রযুক্তিগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের প্রধান মেডিকেল ফিজিসিস্ট ডা.
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. শ্যামলী মোস্তফা।
অধ্যাপক ডা. মো. রেজাউল করিম বলেন, “ক্যান্সার প্রতিরোধে আমাদের সচেতনতামূলক সেমিনারগুলো আরো বেশি বেশি করা দরকার। জনসচেতনতা ও খাদ্যাভ্যাসই পারে ক্যান্সারে আক্রান্তের হার কমাতে।”
অধ্যাপক ড. মো. কবির উদ্দীন সিকদার বলেন, “বাংলাদেশে মেডিফিজিক্স বলতেই গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে বোঝায়। আমাদের শিক্ষার্থীদের যদি গবেষণার আরো সুযোগ দেওয়া হয় তারা বহিঃর্বিশ্বে ভালো করবে।”
বাংলাদেশের ক্যান্সার চিকিৎসায় মেডিফিজিক্সদের অবদান ও সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ডা. এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “চিকিৎসক বোঝেন রোগীর কথা আর একজন মেডিফিজিসিস্ট বোঝেন মেশিনের কথা। আধুনিক চিকিৎসা সেক্টরে তালমিলিয়ে চলতে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন যুগোপযোগী একাডেমিক শিক্ষা ও গবেষণার।”
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘সুলতানার স্বপ্ন’ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে দৃশ্যশিল্প প্রদর্শনী
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের উপন্যাস ‘সুলতানার স্বপ্ন’ নিয়ে বিশেষ দৃশ্যশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এ সময়ের ১৯ জন শিল্পী নিজেদের মতো করে সেই স্বপ্নময় ভাবনাকে নতুন করে ব্যাখ্যা করেছেন। ‘সুলতানার স্বপ্ন’–এর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর ‘বিশ্বস্মৃতি’ বা ‘ওয়ার্ল্ড মেমোরি’র স্বীকৃতি উদ্যাপন করতে এ আয়োজন করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও কলাকেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আজ শনিবার বিকেলে ‘পুনর্কল্পনায় সুলতানার স্বপ্ন’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এ উদ্যোগে সহযোগিতা করেছে লাইব্রেরি উইদাউট বর্ডারস এবং অ্যালিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনেসকো বাংলাদেশের হেড অব অফিস সুজান ভাইজ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলাকেন্দ্রের শিল্পী ওয়াকিলুর রহমান জানান, শিল্পীদের সঙ্গে আলাপের পর তাদের সামনে উন্মুক্তভাবে বিষয়গুলো রাখা হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল ‘সুলতানার স্বপ্ন’কে আজকের সময়ের চোখে দেখা। তিনি বলেন, ‘শিল্পীদের নিজেদের ভাবনার জায়গা ছিল পুরোপুরি উন্মুক্ত। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে ধন্যবাদ এই অসাধারণ জায়গাটির জন্য।’
প্রদর্শনীর কিউরেটর শার্মিলী রহমান বলেন, ‘শিল্পীদের প্রথমে “সুলতানার স্বপ্ন” বইটি পড়তে দেওয়া হয়েছিল, এরপর তাঁরা নিজেদের ভাবনা ও ব্যাখ্যাকে কাজে প্রকাশ করেছেন, এবং এই শিল্পীরা এই কাজে তাঁদের শতভাগ দিয়েছেন।’
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইউনেসকো বাংলাদেশের হেড অব অফিস সুজান ভাইজ। ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর