উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সার্ভার স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে ২৪ জেলার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে ভূমি বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।

ইসির গবেষণা ও প্রকাশনা শাখার উপ-প্রধান (উপ-সচিব) মুহাম্মদ মোস্তফা হাসানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

‘দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪’

বিএনপির নেতৃত্বে চাঁদাবাজি, জামায়াতের নেতৃত্বে ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ চলছে: নাসীরুদ্দীন

চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী ডাটাবেজের জন্য উপজেলা/থানা, জেলা ও আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন নির্মাণ এবং জেলা সার্ভার স্টেশন ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের খসড়া (ডিপিপি) পর্যালোচনায় পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় সিদ্ধান্ত হয়—প্রকল্পটির অনুমোদনের আগে ভূমি বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।

ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ভোট, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সেবাগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আধুনিক ভবন ও সার্ভার স্টেশন নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

এই প্রেক্ষিতে একটি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, দুটি জেলা নির্বাচন অফিস এবং ৩২টি উপজেলা নির্বাচন অফিস ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

ওই ২৪ জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঢাকা, গাজীপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, বরগুনা, মেহেরপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ।

এর মধ্যে, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের জন্য ন্যূনতম ২৫ শতাংশ জমি, গাজীপুর ও মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিসের জন্য ন্যূনতম ২০ শতাংশ জমি, ৩২টি উপজেলার জন্য প্রতিটির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ শতাংশ জমি চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া ৩২ উপজেলায় ভূমি বরাদ্দের অনুরোধ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- লৌহজং, গাজীপুর সদর, সালথা, ডাসার, কালুখালী, শাহজাহানপুর, নলডাঙ্গা, চৌহালী, বিরল, তালতলী, মুজিবনগর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই, তিতাস, আশুগঞ্জ, বিজয়নগর, হাইমচর, মতলব উত্তর, কমলনগর, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, সুবর্ণচর, কর্ণফুলী, সন্দ্বীপ, কক্সবাজার ঈদগাঁও, গুইমারা, দক্ষিণ সুরমা, শায়েস্তাগঞ্জ, জুড়ী, শান্তিগঞ্জ, দিরাই ও মধ্যনগর।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ভূমি বরাদ্দের প্রস্তাব দ্রুত সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানোর জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদনের পরপরই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করা যায়।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইস ইস ইস ইস বর দ দ র প রকল প র জন য উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ