বেইস তৈরির উপকরণ

একটি কেক প্যান (যার তলা আলাদা করা যায়), ১ প্যাকেট বা ১২ পিস ডাইজেস্টিভ বা নাটি বিস্কুট, মাখন সিকি কাপ (গলানো), কফি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি

বিস্কুটগুলো গুঁড়া করে নিতে হবে। এখন বিস্কুটের গুঁড়ার সঙ্গে গলানো মাখন ও কফি মিশিয়ে নিতে হবে। মোল্ডে বসিয়ে চেপে চেপে চিজ কেক বেইস তৈরি করে নিন। এটি ফ্রিজে রেখে দিন।

আরও পড়ুনখাসির চাপের রেসিপি৩১ অক্টোবর ২০২৫হুইপড ক্রিম তৈরির উপকরণ

হুইপড ক্রিম পাউডার ২ প্যাকেট, ভারী বা হেভি ক্রিম ২ কাপ, চিনি আধা কাপ।

হেভি ক্রিমের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ভালোমতো বিট করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত ‘স্টিফ পিক’ হয়। চূড়ার মতো হয়ে আসলে কম স্পিডে বিট করুন। ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।

অথবা ১ কাপ থেকে একটু কম খুব ঠান্ডা দুধ নিয়ে হুইপড ক্রিম পাউডার এর সঙ্গে মিশিয়ে ভালোমতো বিট করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত ‘স্টিফ পিক’ হয়।

চূড়ার মতো হয়ে আসলে কম স্পিডে বিট করে ফ্রিজে রেখে দিতে। চাইলে ক্রিমের প্যাকেটের নির্দেশ অনুযায়ীও বানাতে পারেন।

চিজ ফিলিং তৈরি

ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা-চামচ, জেলাটিন পাউডার ৩ চা-চামচ, ক্রিম চিজ ১ কাপ, আইসিং সুগার আধা কাপ।

প্রণালি

একটি পাত্রে ক্রিম চিজ, আইসিং সুগার ও ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে ১ মিনিট বিট করতে হবে। সিকি কাপ গরম পানিতে জেলাটিন গুলে নিন। অনবরত নাড়তে হবে।

ক্রিম চিজের সঙ্গে মিশিয়ে বিট করুন। এর সঙ্গে হুইপড ক্রিম মিশিয়ে নিতে হবে। এই ফিলিং মিশ্রণ কেক প্যানের বেইসের ওপর ঢেলে সমান করে দিতে হবে।

কেকের ওপর পছন্দমতো সাজিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে ৮ ঘণ্টা। কেক প্যানের চারপাশ সাবধানে খুলে নিতে হবে। কেটে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে।

আরও পড়ুনগার্লিক বিফ স্প্যাগেটির রেসিপি৩ মিনিট আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ইপড ক র ম ব ট কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ