অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার একটি স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যা। এ সমস্যার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ স্থাপনে বাধা, আশপাশের মানুষজনের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদানে সমস্যা এবং একই ধরনের আচরণের পুনরাবৃত্তি করা। অটিজম রয়েছে এমন শিশুর ভাষা শিখতে সমস্যা হয়, শব্দ বা স্পর্শের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা বা সংবেদনহীনতা থাকতে পারে, পাশাপাশি কখনও কখনও আচরণের সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় ছেলে বাচ্চাদের অস্থিরতা বেড়ে যায়।
অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর বয়ঃসন্ধিকাল কীভাবে সামলাতে হবে, সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠার উপায় কী হতে পারে– এ বিষয়ে মা-বাবার কাউন্সেলিং সাপোর্ট নেওয়া দরকার হতে পারে। যাতে তারা বাচ্চাদের নতুন জীবনচর্চার সঙ্গে অভ্যস্ত করতে পারেন। কারণ বিষয়টা জটিল। বাচ্চাদের কখনও শারীরিক কোনো শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে মা-বাবাকে শক্তি ও সাহস জোগানো দরকার। মেয়েশিশুর ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা ছাড়াও নতুন অভ্যাসে অভ্যস্ত করার জন্য সময়-ধৈর্য নিয়ে শেখাতে হবে। নিরাপত্তার বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সেটি ছেলে বা মেয়ে উভয়ের জন্যই জরুরি। নিকটাত্মীয় দ্বারা এ ধরনের বাচ্চারা নির্যাতনের শিকার বেশি হয়ে থাকে। কারণ তাদের এ ধরনের বাচ্চার কাছে যাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। এমনকি কেয়ারগিভার যিনি থাকেন তাঁর মাধ্যমেও এ ধরনের বাচ্চারা নির্যাতিত হতে পারে। মা-বাবাকে এ বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ, এ ধরনের বাচ্চারা বলতে পারে না। মা-বাবা বাইরে কাজ করলে ঘরে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।’ v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এ ধরন র ব চ চ র সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
মাওলানা রঈস উদ্দিন হত্যার বিচার দাবি ১০৪ নাগরিকের
মাওলানা রইজ উদ্দিন হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ১০৪ নাগরিক। গত রোববার গাজীপুর নগরীর হায়দারাবাদ এলাকার আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা রঈস উদ্দিনকে ২ মাস আগের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে অকথ্য নির্যাতন করা হয়। পরে কারাগারে মৃত্যু হয় তার।
বুধবার রাতে মোহাম্মদ আবু সাঈদ, রাফসান আহমেদ ও এএইচএম শাহীনের পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মাওলানা রঈস উদ্দিনের এই মৃত্যুতে সরাসরি দুটি বিষয় জড়িত- মব ভায়োলেন্সে অকথ্য নির্যাতন আর পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষের নির্মম আচরণ। স্বৈরাচার পতনের ৮ মাস পরও এমন মব ভায়োলেন্স, পুলিশের নির্মম ও অমানবিক আচরণ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। কেন আমরা পুলিশি ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন চাই তার একটি দৃষ্টান্ত এই ঘটনা। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
বিবৃতি আরও বলা হয়, স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে একজন নাগরিকের এমন নির্মম মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত মব ভায়োলেন্সের উদ্যোক্তা এবং অংশগ্রহণকারী, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা থানা পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ—প্রত্যেককে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
সুপ্রিম কোর্টের অধীনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিতের জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, এই মামলার তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে মব ভায়োলেন্স নামে রাহাজানি এবং নির্মম পুলিশী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আর রাজী, শিল্পী ও লেখক দেবাশিস চক্রবর্তী, অনুবাদক ও শিক্ষক জিএইচ হাবীব, জার্মানির কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পুন্নি কবীর, কবি ও সংগঠক মোহাম্মদ রোমেল, চিন্তক ও শিল্পী অরূপ রাহী, অধিকারকর্মী শোয়েব আব্দুল্লাহ, লেখক ও আর্কাইভিস্ট মোহাম্মদ আবু সাঈদ, অ্যাক্টিভিস্ট তাশরিক হাসান, সাংবাদিক ইয়াসির আরাফাতসহ ১০৪ জন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।