এ সময়ের মডেল-অভিনয়শিল্পী প্রিয়া অনন্যা ও সাজ্জাদ চৌধুরী। একসঙ্গে বেশকিছু মিউজিক ভিডিওতে তাদের দেখা গেছে। অন্যদিকে, আইটেম গানে আবেদনময়ী লুকে ধরা দিয়েছেন প্রিয়া। বর্তমানে মিউজিক ভিডিওতে সমানতালে কাজ করছেন তারা।
সম্প্রতি এই জুটি গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক রাজা কাশেফ ও লন্ডন প্রবাসী আলোচিত কণ্ঠশিল্পী রুবাইয়েত জাহানের গানের ভিডিওতে মডেল হয়েছেন। গানের শিরোনাম ‘তু হ্যায় জানে মেহবুবা’। গানের কথা লিখেছেন রুবাইয়েত জাহান, সংগীতায়োজন করেছেন রাজা কাশেফ।
এফডিসিতে বড় আয়োজনে এ গানের দৃশ্যধারণের কাজ হয়েছে। মিউজিক ভিডিওর কোরিওগ্রাফি করেছেন চলচ্চিত্রের নৃত্য পরিচালক হাবিবুর রহমান। কয়েক দিন আগে মিউজিক ভিডিওটি ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে।
আরো পড়ুন:
স্টেশন থেকে হতাশ হয়ে ফিরলেন রংপুরের যাত্রীরা
অভিবাসীদের নিয়ে ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান: কাঁদলেন সেলেনা
প্রিয়া অনন্যা বলেন, “গানের কথাগুলো সুন্দর। গানটিতে আমাকে আফগানিস্তানের নারীদের লুকে দেখা যাবে। এ গানে খল অভিনেতা ডন ভাই মুছা মাফিয়া চরিত্রে রয়েছেন। আর আমি ও সাজ্জাদ ইন্ডিয়ান পুলিশ চরিত্রে অভিনয় করেছি। ছদ্মবেশ আইটেম গার্ল হয়ে পুরো কাজটা খুব উপভোগ করেছি।”
গানটি নিয়ে আশা ব্যক্ত করে প্রিয়া অনন্যা বলেন, “কাজটি নিয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আশা করছি, নাচ নির্ভর মিউজিক ভিডিওটি সবার পছন্দ হবে।”
বর্তমানে ওয়েব ফিল্ম, টিভিসি, ওভিসির কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানিয়েছেন প্রিয়া।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।