উত্তপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি। সম্মেলন সফল করতে লাঠি মিছিল হয়েছে। আবার সম্মেলনের বিরোধিতা করে মশাল, ঝাড়ু ও জুতা মিছিলও হয়েছে। সম্মেলনের তারিখ পিছিয়েছে দুই দফা। তৃতীয় তারিখেও সম্মেলন হবে কি না এ নিয়ে সংশয়।

অবশেষে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপিতে। তারেক রহমানের নির্দেশ পেয়ে বিরোধীতাকারী পক্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে কেটে গেছে সংশয়।

দুই দফা পিছিয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। প্রায় এক দশক পর হতে যাওয়া সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা করা হয়েছে বলে বিরোধীতাকারী পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। কেন্দ্রের কাছে বিষয়টি জানানো হয়। পরে তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনার পর অবশ্য সম্মেলনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ভোট ছাড়া নেতৃত্ব নির্ধারণের দায়িত্ব নিয়েছেন তারেক রহমান। বিষয়টি নিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও জেলার এক নেতার সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টার মতো লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এ নির্দেশনা দেন। 

জানা যায়, জেলা বিএনপি মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান ও সিরাজুল ইসলামের পক্ষে থেকে পেছন থেকে সমন্বয় করছেন কবির আহমেদ। অন্যদিকে সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বে থাকা কমিটির পেছনে রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। 

কেন্দ্রীয় বিএনপি ঢাকায় দুই পক্ষকে ডেকে নিয়ে সুরাহার চেষ্টা করলেও এতে সফল হননি। শেষ পর্যন্ত তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে দুই পক্ষের মধ্যে এখন ঐক্যের সুবাতাস দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো.

হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, “তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন হবে। দ্বিতীয় অধিবেশনের বিষয়টি তিনি বিবেচনায় রাখবেন বলে জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল সম্মেলনের আশা করা হচ্ছে। তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা সম্মেলনে যোগ দেব।”

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মান্নান জানান, পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। সম্মেলন সফলে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/মাইনুদ্দীন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন র ব র হ মণব ড় য় ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বকাপে জায়গা করতে বিশ্বকাপজয়ীকে কোচের দায়িত্ব দিল ইতালি

দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা যে কতটা গৌরবের আর আনন্দের, সেটা একজন বিশ্বকাপ জয়ের-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়ের চেয়ে আর কে ভালো বোঝাতে পারবেন?

আর এমন ভাবনা থেকেই এবার গানারো গাত্তুসোকে জাতীয় ফুটবল দলের কোচ নিয়োগ দিয়েছে ইতালি। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করা নিয়ে শঙ্কায় আছে। এর আগে খেলতে পারেনি ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে। টানা তৃতীয় আসর যাতে দর্শক হয়ে না থাকতে হয়, সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী গাত্তুসোকে দায়িত্ব দিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এফআইজিসি।

২০২৬ বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান বাছাইয়ে ইতালি খেলছে ‘আই’ গ্রুপে। পাঁচ দলের গ্রুপ থেকে শুধু শীর্ষ স্থানধারী দলই বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করতে পারবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাবে। এই মুহূর্তে ‘আই’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নরওয়ে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইসরায়েল। ইতালির অবস্থান তিনে, ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহে নরওয়ের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারার পরই এফআইজিসি কোচ লুসিয়া স্পালেত্তিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিদায় নিশ্চিতের পরও সোমবার মল দোবার বিপক্ষে ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়ান স্পালেত্তি, ম্যাচটি ইতালি ২-০ ব্যবধানে জেতে।

নরওয়ে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জেতায় ইতালি এখন চাপে আছে। হাতে এখনো ৬টি ম্যাচ বাকি। তবে শীর্ষস্থানে থাকতে হলে নিজেদের বাকি সব ম্যাচ তো জিততেই হবে, নরওয়েকেও পয়েন্ট হারাতে হবে। আর এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই ইতালি দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন গাত্তুসো।

৪৭ বছর বয়সী গাত্তুসো ২০০০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ইতালির জাতীয় দলে খেলেছেন। এর মধ্যে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সেরা পারফরমারদের একজন ছিলেন। সব ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন, পরে জায়গা করে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপের অলস্টার একাদশেও। ২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ক্লাব সিওনে খেলোয়াড় কাম কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তখন থেকে গত ১২ বছরে মোট ৯টি ক্লাবের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন গাত্তুসো। যার মধ্যে আছে নিজের সাবেক ক্লাব এসি মিলান এবং ভ্যালেন্সিয়া ও মার্শেই। সর্বশেষ ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব হাইদুক স্প্লিটের দায়িত্বে ছিলেন, যা গত মাসে পারস্পরিক সমঝোতায় ছেড়ে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোচ হিসেবে মোট ৩৭৬টি ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে গাত্তুসোর জয়ের হার ৪২.৮২ শতাংশ। জিতেছেন ১৬১টিতে, ড্র ১০৮ আর হার ১০৭-এ।
এখন দেখার বিষয়, ইতালি দলে তার সাফল্যের হার কতটা হয়, বিশেষ করে যখন দলের দরকার শতভাগ জয়। ইতালি জাতীয় দল তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ৫ সেপ্টেম্বর এস্তোনিয়ার বিপক্ষে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ