ঢাকার ধামরাইয়ে চুরির অপবাদে আব্দুর রহিম (৩২) নামে এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আবির হোসেন নামে আরেক শ্রমিক আহত হন।

গতকাল বুধবার পৌরসভার ইসলামপুর এলাকার সিফাত বেকারিতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বেকারি মালিক রায়হানসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকালই তাদের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাসির আহমেদ এসব তথ্য জানান। পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, ইসলামপুরে সিফাত বেকারিতে কাজ করতেন আব্দুর রহিম, আবির হোসেনসহ ১০ থেকে ১২ জন। মঙ্গলবার রাতে তেল চুরির অপবাদ দিয়ে আব্দুর রহিম ও আবির হোসেনকে বেকারি মালিক রায়হান ও অন্য শ্রমিকরা মারধর করে। এক ঘণ্টা পর এক শ্রমিক টয়লেটে গিয়ে আব্দুর রহিমের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে নিহতের স্ত্রী হালিমা আক্তার পুলিশকে জানান। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার ও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হলেন– বেকারির মালিক রায়হান, শ্রমিক হবিল ওরফে সোহাগ, নয়ন মিয়া, আতিকুল ইসলাম রিপন, সিয়াম ওরফে সাইম, চুন্নু মিয়া ও মুন্নু মিয়া। 
আহত আবির জানান, চুরির অপবাদে তাঁকে ও তাঁর ওস্তাদ আব্দুর রহিমকে মারধর করা হয়। তিনি চলে গেলে জানতে পারেন, টয়লেটে আব্দুর রহিমের লাশ পাওয়া গেছে। 
নিহতের স্ত্রী হালিমা আক্তার জানান, তাঁর স্বামী তেল চুরি করলে সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ার কথা। চুরির অপবাদে তাঁর স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর দুই সন্তান এতিম হয়ে গেল। তিনি স্বামী হত্যার বিচার চান।

আব্দুর রহিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের মৃত শাহ আলমের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে ধামরাই পৌরসভার লাকুরিয়াপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

ধামরাই থানার এসআই নাসির আহমেদ বলেন, নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ র র অপব দ

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩

যশোরে বাঁশ বোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কায় পুলিশের এসআইসহ তিনজন মারা গেছেন।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

আরো পড়ুন:

বরিশালে দুই বাসের সংঘর্ষে আহত ৬

বরিশালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু

নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মুজিদ হাওলাদারের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাফর আলী, বসুন্দিয়া আহমেদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন, বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা এলাকার নিশিকান্ত অঢ্যের ছেলে এসআই নিক্কন অঢ্য।

তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নড়াইল-যশোর মহাসড়কের ভাঙুড়া বাজার এলাকায় একটি বাঁশ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে যশোরগামী ‘নড়াইল এক্সপ্রেসের’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসযাত্রী আক্তার হোসেন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবু জাফর ও পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী। হাসপাতালে নেওয়ার পর আবু জাফরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চিকিৎসক নিক্কনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, এসআই নিক্কন আঢ্য ৩৭ ব্যাচে আউটসাইড ক্যাডেট হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্তে কেন্দ্রে যোগ দেন। এর আগে তিনি র‍্যাবে কর্মরত ছিলেন।

তুলারামপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা জাফর ও আক্তারের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ নড়াইল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বরিশালে বাবুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৭
  • জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড
  • চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের মিছিলে ধাওয়া দিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার
  • যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩