চাঁদাবাজি দখলদারিত্ব রোধে যুবদলের হুঁশিয়ারি
Published: 30th, January 2025 GMT
সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা কেউ চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বসহ কোনো অপকর্মে জড়িত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপজেলা যুবদলের এক নেতা।
গতকাল বুধবার সকালে উদ্ভবগঞ্জ এলাকায় যুবদলের আনন্দ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে ইয়াসিন নোবেল।
তিনি বলেন, সম্প্রতি সোনারগাঁ যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ ভূঁইয়া তাঁর অনুসারী নেতাকর্মীকে নিয়ে ২৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে একটি নির্মাণাধীন কোম্পানিতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট করে। ওই ঘটনায় কেন্দ্রীয় যুবদল তাঁকে বহিষ্কার করে।
সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে ইয়াসিন নোবেলকে ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়ায় যুবদলের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করেন।
সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহীদুর রহমান স্বপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সোনারগাঁ পৌরসভা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ তপন, সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মোল্লা, পৌরসভা বিএনপি নেতা পনির হোসেন প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ য বদল র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শুধু ঘোষণা নয়, বাস্তবে প্রতিফলিত হোক
রাজধানী শহরসহ দেশের বড় শহরগুলোয় শব্দদূষণের অসহনীয় মাত্রার বিষয়টি কারও অজানা নয়। এটি এখন শুধু শব্দদূষণ নয়, শব্দসন্ত্রাস বলেও অভিহিত হচ্ছে। অতীতে ও বর্তমানে সরকারগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও কার্যকর হচ্ছে না। অতীতের ধারাবাহিকতায় রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতনকে ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। এখন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।
শহরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নীরব এলাকা ঘোষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি অবশ্যই সরকারের সদিচ্ছার প্রকাশ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ঘোষণা বাস্তবে কার্যকর হবে, নাকি এটিও অতীতের মতো কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে? এর আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং এর আশপাশের এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু তার ফল তেমন একটা ভালো পাওয়া
যায়নি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘোষণার পর কিছু এলাকায় শব্দ কিছুটা কমলেও সার্বিকভাবে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এই অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, শুধু ঘোষণা যথেষ্ট নয়, বরং এর কঠোর বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
শব্দদূষণের ক্ষেত্রে আগের তুলনায় সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলতেই হয়। যার কারণে সাউন্ডবক্স বা মাইক বাজানোর বিষয়গুলো তুলনামূলকভাবে কমে এসেছে। তবে গাড়ির হর্ন এতটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করছে, যা অকল্পনীয়। এটিই এখন রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর শব্দদূষণের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অতিরিক্ত শব্দ হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এটিতে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়, মেজাজ খিটখিটে হয়, মানুষ অনিদ্রায় ভোগে এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটায়। তাই শুধু অভিজাত এলাকা নয়, পুরো শহরে ধাপে ধাপে কীভাবে নীরব এলাকা ঘোষণা করা যায়, সেই লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে।
তবে এ উদ্যোগ সফল করতে হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর হতে হবে। হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধে আইন আছে। তা যদি আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে প্রয়োগ না করা হয়, এ ঘোষণা কখনোই সফল হবে না। কেবল প্রশাসনের ওপর নির্ভর না করে নীরব এলাকা–ঘোষিত এলাকাগুলোর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, যেমন মসজিদ, মন্দির এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও এখানে গণসচেতনতার কাজে যুক্ত করতে হবে।
গাড়ির হর্ন বাজানো সীমিত করতে পরিবহনের বিভিন্ন ধরনের সমিতি–সংগঠনগুলোর যুক্ততাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। গাড়ির চালকদের অভ্যাসগত পরিবর্তনের জন্য শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিকটি নিয়মিতভাবে তাঁদের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। হাইড্রোলিক হর্নসহ উচ্চমাত্রার যেকোনো হর্ন উৎপাদন, আমদানি ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। এ ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।