অনুষ্ঠিত হলো জিপিএইচের মহারাজ দরবার
Published: 2nd, February 2025 GMT
জিপিএইচ ইস্পাত আয়োজিত গ্র্যান্ড ইভেন্ট জিপিএইচ মহারাজ দরবার-২০২৪-এর মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্টের মাধ্যমে জিপিএইচ তাদের চ্যানেল পার্টনারদের বার্ষিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বিশেষ সম্মাননা দিয়ে থাকে। সম্প্রতি ২০২৪ সালের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এই বিশেষ আয়োজন করে জিপিএইচ ইস্পাত।
গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মহারাজ দরবারে বিশ্বসেরা কোয়ান্টাম স্টিলের বাজারজাতকরণ, জিপিএইচ কোয়ান্টাম বি৬০০ সিআর ও বি৬০০ ডিআরের বাজার সম্প্রসারণ, বছরব্যাপী বিক্রয়ের ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রাখাসহ বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে ২০২৪ সালের সেরা পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে চ্যানেল পার্টনারদের সম্মাননা দেওয়া হয়। জিপিএইচের ১৮৫ জন চ্যানেল পার্টনার এই ইভেন্টে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। তাদের মধ্যে থেকে সেরা ১০ জনকে মহারাজ সম্মাননা এবং পরবর্তী সেরা ১০ জনকে মহাবীর সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো বিভাগীয় পর্যায়ে ১৮ জন চ্যানেল পার্টনারকে ‘বীরপ্রতাপ’ উপাধিতে সম্মানিত করা হয়।
এবারের সেরা ১০ জন মহারাজ হলেন– টেকনাফের মাহাবুব ব্রাদার্সের মাহাবুবুর রহমান, চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর আল আমিন ট্রেডার্সের সিরাজুর রহমান, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের রহমান প্রপার্টিজ অ্যান্ড ট্রেডিং করপোরেশনের জাকির হোসেন, ঢাকার আশুলিয়ার হক ট্রেডার্সের জাকারুল হক, ঢাকার ভাটারার কে এ স্টিল হাউসের আশারফ আলী, চট্টগ্রামের রাজাখালীর রাকিব আহমেদ চৌধুরী, ঢাকার কেরানীগঞ্জের সৌরভ এন্টারপ্রাইজের সম্ভু দাস, উত্তরার তুরাগের আল-হাবিব স্টিল করপোরেশনের কামাল হোসেন, চট্টগ্রামের ঈসা খান নেভি গেটের ফয়সাল অ্যান্ড ব্রাদার্সের আজিজুল হক ফয়সাল এবং সাভারের ঢাকা ট্রেড লিঙ্কের মিজানুর রহমান মিলন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অনুষ্ঠানের এ চ্যানেল পার্টনারদের সন্তানদের জিপিএ ৫ সম্মাননা এবং তাদের মায়েদের ‘কৃতী মা’ সম্মাননা দেওয়া হয়। দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে চ্যানেল পার্টনারদের পরিবার নিয়ে ‘জিপিএইচ ফ্যামিলি নাইট’ অনুষ্ঠিত হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ য ন ল প র টন র র রহম ন জ প এইচ
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ