Samakal:
2025-06-15@12:42:50 GMT

পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই

Published: 2nd, February 2025 GMT

পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই

ছোটবেলা থেকেই চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করার ইচ্ছা ছিল সুশোভনের। সন্তানকে ভবিষ্যতে একজন ভালো মানুষ আর সৎ চিকিৎসক হিসেবে দেখার স্বপ্ন বুনতেন বাবা-মাও। স্বপ্নপূরণের প্রাথমিক ধাপ যে স্বপ্নের মতো হবে, তা কখনও কল্পনাতে ছিল না। 
সহপাঠীদের তাক লাগিয়ে দিয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা হয়েছেন খুলনার ছেলে সুশোভন বাছাড়। সবাইকে ছাড়িয়ে ৯০ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।

সুশোভনদের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে। থাকেন খুলনা নগরীর বড় বয়রা এলাকায়। তাঁর বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় খুলনার টিঅ্যান্ডটি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। মা বন্দনা সেন একসময় শিক্ষক ছিলেন। ১৪ বছর আগে একমাত্র সন্তানের দেখভালের জন্য চাকরি ছেড়ে দেন। সুভাস চন্দ্র ও বন্দনা সেন দম্পতির একমাত্র সন্তান সুশোভন।
সুশোভন বলেন, কখনও প্রাইভেট ব্যাচ বা বাইরের শিক্ষকদের কাছে পড়িনি। শিক্ষক বাবাই পড়াতেন, বাকিটা মা দেখিয়ে দিতেন। বাবা-মার চেষ্টাতেই স্কুলে-কলেজে প্রতিবছর ভালো ফল করেছেন। তিনি বলেন, আমি কখনও সময় ধরে বা রাত জেগে পড়াশোনা করিনি। পড়ার বাইরে খেলাধুলা করতাম। আমি বই পড়া খুব পছন্দ করি, প্রচুর বই পড়ি। 
ভবিষ্যতে এমন একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন রয়েছে সুশোভনের সেখানে গরিব-অসহায় মানুষেরা বিনা পয়সায় চিকিৎসা পাবে। নিজের সাফল্যে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতার পাশপাশি কৃতিত্ব দেন বাবা-মা, বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনকে। 

ছেলেকে নিয়ে স্বপ্নটা এখন আরও বড় বাবা-মায়ের। চিকিৎসক হয়ে দেশের গবিব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে, এমনটাই প্রত্যাশা তাদের। তার এমন সাফল্যে বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার বইছে এলাকাতে। মিষ্টিমুখের পাশাপাশি ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়েছে তাঁকে।


সুশোভনের মা বলেন, শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। পরে আনন্দে কেঁদে ফেলেছি। আমার সন্তান যেন মানুষের ডাক্তার হয়- সেই প্রার্থনা আমাদের। তিনি বলেন, জীবনে কখনও প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েনি সুশোভন। নিজে পড়া তৈরি করেছে, আমরা সহযোগিতা করেছি। 
বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় বলেন, আমি তাকে বই কিনে দিতে কখনও কার্পণ্য করিনি। তার মা তাকে সব সময় অনুপ্রেরণা দিয়েছে। ছোটবেলা থেকেই ছেলের স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হবে, মানুষের সেবা করবে। বাবা-মা হিসেবে আমরা খুবই গর্বিত।

ভবিষ্যতে মেডিকেল ভর্তিচ্ছুদের উদ্দেশে সুশোভন বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার পর সময় নষ্ট করা যাবে না। কোথায় নিজের দুর্বলতা রয়েছে খুঁজে বের করে সেখানে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, মূল বই ফোকাস দিতে হবে। মূল বই শেষ করে কনসেপ্ট ক্লিয়ার করতে হবে। মূল বই শেষ করতে না পারলে যতই কোচিং বা সহায়ক বই পড়া হোক না কেন কোনো কাজে লাগবে না। 
২০২২ সালে যশোর বোর্ডের টিঅ্যান্ডটি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ২০২৪ সালে সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন সুশোভন। দুই পরীক্ষাতেই জিপিএ৫ পেয়েছেন তিনি। এর আগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা হয়েছিলেন খুলনার মেয়ে সুমাইয়া মোসলেম মীম।
আগামী দিনের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে সুশোভন বলেন, বুঝে পড়াশোনা করতে হবে। সবাই ভাবে মুখস্থ করতে হবে। কিন্তু না; যা পড়ছ সেই বিষয়টা পরিষ্কার বুঝতে হবে। মুখস্থ করলে পরদিন ভুলে যেতে পার। কিন্তু বুঝে পড়লে সেটা কাটিয়ে ওঠা যায়।  কিছু বিশেষ টপিক, অধ্যায়, ছক থেকে প্রতিবার প্রশ্ন এসে থাকে। সেসব  গুরুত্ব সহকারে পড়তে হবে। মনে রাখতে হবে, কেউ মেধাবী হয়ে জন্মায় না। সবার ভেতরেই মেধা সুপ্ত ও ঘুমন্ত থাকে। জীবনের লক্ষ্য স্থির করে নিজের সুপ্ত মেধাকে জাগানোর জন্য সাধনা করতে হবে। স্বপ্ন ছোঁয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সময়ের কাজ সময়েই করতে হবে। আর পাঠ্যবইয়ের বাইরেও পৃথিবীকে জানতে হবে। তাহলেই সাফল্য মিলবে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। তাই মূল বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। পরীক্ষার পূর্বমুহূর্তে মডেল টেস্টের মাধ্যমে নিজেকে যাচাই করে নিতে হবে। প্রতিটি বই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তে হবে। জীববিজ্ঞানে ভালো করার জন্য একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই ভালো করে পড়া উচিত। রসায়ন বিষয়ও যথেষ্ট আয়ত্তে রাখতে হবে। তাই ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নব্যাংকসহ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের অধ্যায়ে দেওয়া প্রশ্নগুলো চর্চা করতে হবে । আগের বছরের প্রশ্নগুলোতে যা এসেছে, সেগুলো তো বারবার পড়বেই, অন্য বিষয়গুলোও পড়তে হবে। v
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক হ পর ক ষ র ম ল বই র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল

ইরানে আজ শুক্রবার ভোররাতে বিমান হামলা করেছে ইসরায়েল। তেহরানের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওমানে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈঠকের একদিন আগেই এ হামলা চালাল ইসরায়েল।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে কয়েকবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। তেহরানে ইসরায়েলের আজকের এই হামলার ফলে দুই দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে। খবর রয়টার্সের

ইসরায়েল ও ইরানের শত্রুতা নতুন নয়। দীর্ঘ দিন ধরে দুই দেশ স্থল, সমুদ্র, আকাশ এবং সাইবার হামলাসহ একে অপরের বিরুদ্ধে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে আসছে। এসব সংঘাত তাদের সম্পর্ককে বৈরিতার দিকে ঠেলে দিয়েছে, যা এখন ধীরে ধীরে প্রকাশ্য যুদ্ধে রূপ নিচ্ছে।

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে গত কয়েক দশকে হওয়া প্রধান কিছু ঘটনা এখানে তুলে ধরা হলো—

১৯৭৯: ইরানের বিপ্লব

ইরানের পশ্চিমাপন্থি নেতা মোহাম্মদ রেজা শাহ ইসরায়েলকে মিত্র দেশ হিসেবে বিবেচনা করতেন। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের ফলে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। এই বিপ্লবের ফলে ইরানে শিয়াপন্থি ধর্মতন্ত্রভিত্তিক একটি নতুন শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই শাসনব্যবস্থার আদর্শগত নীতির অন্যতম ভিত্তি ছিল ইসরায়েলবিরোধিতা।

১৯৮২: হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠা

ইসরায়েল ১৯৮২ সালে লেবাননে আক্রমণ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির শিয়া মুসলিম নেতারা সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ গড়ে তোলেন। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। পরবর্তী সময়ে এই আধাসামরিক সংগঠনটি সীমান্তে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়ংকর শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয়।

১৯৮৩: লেবাননে ইসরায়েলি সেনাঘাঁটিতে হামলা

লেবানন থেকে পশ্চিমা ও ইসরায়েলি বাহিনীকে বিতাড়িত করতে ইরানসমর্থিত হিজবুল্লাহ আত্মঘাতী বোমা হামলার কৌশল গ্রহণ করে। এ বছরের নভেম্বর মাসে বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক সদরদপ্তরে ঢুকে হামলা চালায়। এরপর ইসরায়েল লেবাননের বেশির ভাগ এলাকা থেকে সরে আসে।

১৯৯২-৯৪: আর্জেন্টিনায় হামলা

আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে ১৯৯২ সালে ইসরায়েলি দূতাবাস এবং একটি জুইশ সেন্টারে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বহু মানুষ নিহত হন। আর্জেন্টিনা ও ইসরায়েল এ হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে ইরান ও হিজবুল্লাহকে দায়ী করে। তবে ইরান ও হিজবুল্লাহ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

২০০২: ইরানোর পরমাণু কর্মসূচি

ইরানের গোপন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি ফাঁস হওয়ার ফলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয় যে, তারা পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারে। আর এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে তা হবে দেশটির আন্তর্জাতিক চুক্তির পরিপন্থি। যদিও ইরান এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। অন্যদিকে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।

২০০৬: ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধ

লেবাননে ২০০৬ সালে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ মাসব্যাপী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ইসরায়েল ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হিজবুল্লাহকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হয়। অবশেষে কার্যকরী একটি সমঝোতার মধ্য দিয়ে ওই যুদ্ধের অবসান ঘটে।

২০০৯: ‘ইসরায়েল হচ্ছে ক্যানসার’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক বক্তৃতায় ইসরায়েলকে ‘একটি বিপজ্জনক ও প্রাণঘাতী ক্যানসার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

২০১০: পরমাণু স্থাপনায় সাইবার হামলা

ওই বছর তেহরানের নাতাজ এলাকায় একটি পারমাণবিক কেন্দ্রে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় সাইবার হামলা চালানো হয়। এ হামলায় স্টাক্সনেট নামের একটি কম্পিউটার ভাইরাস ব্যবহার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই ভাইরাস তৈরি করেছে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়। ওই হামলাকে শিল্প যন্ত্রপাতির ওপর প্রথম কোনো প্রকাশ্য সাইবার হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

২০১২: ইরানি বিজ্ঞানী নিহত

নিজ গাড়িতে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী মোস্তফা আহমাদি রোশন নিহত হন। তেহরানে একটি মোটরসাইকেল আরোহী তার গাড়িতে বোমাটি স্থাপন করে। এক স্থানীয় কর্মকর্তার অভিযোগ, ওই হামলার পেছনে ইসরায়েলের হাত ছিল।

২০১৮: সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা

ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেন তিনি। এর আগে বছরের পর বছর ধরে ট্রাম্প প্রশাসন ওই চুক্তির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছিল।

মে মাসে ইসরায়েল জানায়, তারা সিরিয়ায় ইরানের একটি সামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে। এর আগে দেশটির ইসরায়েল–নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমিতে রকেট ছুড়েছিল ইরানি সামরিক বাহিনী। ওই সময় গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল তেহরান।

২০২০: কাসেম সুলাইমানিকে হত্যা

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের বিদেশি শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডকে স্বাগত জানায় ইসরায়েল। ইরাকের বাগদাদে একটি মার্কিন ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হয়েছিলেন। এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরাকে বিভিন্ন মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এসব হামলায় প্রায় ১০০ মার্কিন সামরিক সদস্য আহত হন।

২০২১: ইরানের পরমাণু কর্মসূচির পরিকল্পনাকারীকে হত্যা

মোহসেন ফখরিজাদেহের হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে ইরান। মোহসেনকে ইরানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিবেচনা করত পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তবে ইরান লম্বা সময় ধরে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে আসছে।

২০২২: যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল চুক্তি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ এক যৌথ প্রতিশ্রুতিনামায় স্বাক্ষর করেন। এতে তারা একসঙ্গে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র গ্রহণে বাধা দিতে সম্মত হন। দীর্ঘদিন ধরে তেহরান ইস্যুতে কূটনৈতিকভাবে বিভক্ত মিত্রদেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রতীক হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

এই প্রতিশ্রুতি মূলত ‘জেরুজালেম ঘোষণার’ একটি অংশ। এটি প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের ইসরায়েলে প্রথম সফরের সেরা অর্জন। এর ঠিক একদিন আগে বাইডেন স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেন, প্রয়োজনে ইরানের বিরুদ্ধে শেষমেশ ‘শক্তি প্রয়োগ’ করতেও প্রস্তুত তিনি।

এপ্রিল ২০২৪: ইরানি দূতাবাসে হামলা

সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের দূতাবাস প্রাঙ্গণে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি বিমান হামলায় রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত কর্মকর্তা নিহত হন। এর মধ্যে দুজন সিনিয়র কমান্ডারও ছিলেন। যদিও ইসরায়েল এ হামলার দায় স্বীকার বা অস্বীকার করেনি।

২০২৪: পাল্টাপাল্টি হামলা

১৩ এপ্রিল ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো সরাসরি আঘাত করে। ১৯ এপ্রিল ইসরায়েল ইরানের ভূখণ্ডে পাল্টা হামলা চালায় বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।

অক্টোবর ২০২৪

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের বৈরুতের দক্ষিণ উপশহরে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং এর আগে ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানীতে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়। এর প্রতিশোধ নিতে গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েলে ১৮০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।

জবাবে ওই মাসের শেষ দিকে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। তবে এসব হামলা খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করে ইরান।

জুন ২০২৫

ইসরায়েল ইরানে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইসরায়েল বলেছে, তেহরানের পারমাণবিক অবকাঠামো এবং পারমাণবিক বোমার জন্য কাজ করা বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাইজিং লায়ন’। এ হামলায় ইরানের কমান্ডার ও ক্ষেপণাস্ত্র কারখানাগুলোও নিশানা করা হয়। ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, এ হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী ফারেদুন আব্বাসি এবং মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি নিহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তারা এই অভিযানে কোনো সহায়তা করেনি। এ হামলার একদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন কর্মীদের সরানো হচ্ছে। কারণ, ‘অঞ্চলটি বিপজ্জনক হতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ভালোবাসার আসল রূপটাই যেন ছিলেন আব্বা’
  • বর্ষার শুরুতেই সপ্তাহব্যাপী বৃষ্টির বার্তা
  • টানা সাত দিন সারাদেশে বৃষ্টি ঝরবে
  • সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি
  • এ সপ্তাহের রাশিফল (১৪-২০ জুন)
  • অর্ধশত বছরের চামড়ার মোকাম রাজারহাট
  • সিদ্ধিরগঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সোর্স ইকবালের ডাকাতি
  • কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল
  • চুইঝাল চাষে সাফল্য পেয়ে প্রবাসফেরত শাহ আলম বললেন, ‘আর বিদেশে যাব না’
  • সুশাসনের আকাঙ্ক্ষা কতখানি প্রতিফলিত হলো?