নারী ভক্তের ঠোঁটে চুমু খেয়ে দারুণ সমালোচনার মুখে পড়েছেন বলিউডের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী উদিত নারায়ণ। এ মুহূর্তের একটি ভিডিও এখন অন্তর্জালে ভাইরাল। সমালোচনার মুখে ঊনসত্তরের এ গায়ক দাবি করেছেন— কেউ তাকে কলঙ্কিত করতে ভিডিওটি ছড়িয়ে দিয়েছে। চুমু খাওয়াতে কোনো পাপ দেখছেন না এই গায়ক।

নারী ভক্তের ঠোঁটে চুম্বন করার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামনে এসেছে উদিত নারায়ণের চুমু খাওয়ার কয়েকটি পুরোনো ভিডিও। এসব ভিডিওকে কেন্দ্র করে উদিত নারায়ণের একাধিক চুমু কাণ্ড আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তবে এ তালিকায় অনুরাগীরা নন বরং প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী অলকা ইয়াগনিক, শ্রেয়া ঘোষালকে পাওয়া গেছে।

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে গান গাইছেন অলকা ইয়াগনিক। হঠাৎ উদিত নারায়ণ তার গালে চুমু খান। আকস্মিক এমন ঘটনায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন অলকা। দ্রুত সরে যান এই গায়িকা। আরেকটি ভিডিওতে অলকাকে আচমকা চুমু খান উদিত নারায়ণ। এ মঞ্চেও যে গায়িকা এমনটা আশা করেননি, তা তার চোখ-মুখের অভিব্যক্তিতে স্পষ্ট।

আরো পড়ুন:

অর্ধ-নগ্ন ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সন্ন্যাসিনী মমতা

ছয় বছর পর অক্ষয়ের সেঞ্চুরি

বেশ কয়েক বছর আগে ‘জাব তাক হ্যায় জান’ সিনেমার গান গাওয়ার জন্য সেরা সংগীতশিল্পী (নারী) বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন শ্রেয়া ঘোষাল। নাম ঘোষণার পর তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন মালাইকা অরোরা। সেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উদিত নারায়ণও। শ্রেয়া মঞ্চে উঠার পরই উদিত নারায়ণ আচমকা তাকে জড়িয়ে ধরে গালে চুমু খান। প্রবীণ গায়কের এমন আচরণে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন শ্রেয়া। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেন এই শিল্পী।

অলকা ও শ্রেয়াকে চুম্বন করার ভিডিও নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার পর উদিত নারায়ণকে নিয়ে কড়া সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) হেনা নামে একজন লেখেন, “উদিত নারায়ণ, এটা খুবই বাজে ব্যবহার।” আরেকজন লেখেন, “এই ঘটনায় উনি (শ্রেয়া) স্পষ্টতই অস্বস্তি বোধ করেছিলেন। তবে সেটা হেসে উড়িয়ে দেন।” আরো একজন লেখেন, “যে আচরণ দেখানো হয়েছে, সত্যি তা গ্রহণযোগ্য নয়।” অন্যজন লেখেন, “অলকাকে বেশ অসন্তুষ্টই মনে হলো। এ ধরেন হেনস্তা বন্ধ করুন উদিত। অসুস্থ!” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন

‘“এ সকল নষ্ট মাইয়াদের জন্য বাসের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। যা যা বাস থেকে নেমে যা নষ্ট মাইয়াছেলে”—বাস কন্ডাক্টরের এই মন্তব্য শোনার পর নিজের ওপর আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন বাসে হেনস্তার শিকার ওই তরুণী। আজ প্রথম আলোর সঙ্গে মুঠোফোনে দীর্ঘ আলাপে তিনি সেদিনের ঘটনার আদ্যোপান্ত জানান। বললেন, ঘটনার সময় বাসে একজন মানুষও প্রতিবাদ না করায় কষ্ট পেয়েছেন। যিনি এ ঘটনার ভিডিও করেছিলেন, তাঁর কাছ থেকেও কটু কথা শুনতে হয়েছিল। এমনকি তিনি বাস থেকে নামতে গিয়েও পারছিলেন না। যতবার নামার চেষ্টা করেন, চালক বাস টান দিচ্ছিলেন।

তবে দৃঢ়তার সঙ্গে এই তরুণী জানিয়েছেন, এই হেনস্তার ঘটনা তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি প্রতিবাদ করে যাবেন।

জুতা হাতে বাস কন্ডাক্টরের আচরণের প্রতিবাদ জানানোর ওই ঘটনা ঘটে গত ২৭ অক্টোবর। বাসের এক ব্যক্তি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করলে তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার রমজান পরিবহন নামের বাসের হেনস্তাকারী কন্ডাক্টর নিজাম উদ্দিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তরুণীর এজাহারের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্র বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার মামলা করে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় (যৌন নিপীড়নের অভিযোগ) মামলাটি করা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল, বাসের সামনের আসনে বসা এক ব্যক্তির কোনো একটি মন্তব্য নিয়ে এক তরুণী তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। তিনি তেড়ে যান লোকটির দিকে। ওই সময় লোকটি আসন ছেড়ে উঠে তরুণীকে চড় মারেন। একপর্যায়ে দুজন জুতা খুলে দুজনের দিকে তুলে ধরেন। সে সময় ওই ব্যক্তি তরুণীকে আঘাত করেন এবং ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। ওই ব্যক্তি এরপর বারবার তরুণীর গায়ে ধাক্কা মারেন ও আঘাত করার চেষ্টা করেন। তরুণী চিৎকার করে বলছিলেন, ‘তুই আমার পোশাক তুলে কেন কথা বলবি?’ এ সময় সামনের দিকে থাকা দুই নারী ও একজন পুরুষ যাত্রী ছাড়া আর কেউ আঘাত করা ব্যক্তিটিকে থামানোর চেষ্টা করেননি, প্রতিবাদ করেননি।

ওই তরুণী প্রথম আলোকে জানান, তাঁর মা–বাবা ও ভাই–বোনরা চাঁদপুরে থাকেন। বাবার দোকান রয়েছে। ভাই–বোনদের মধ্যে তিনি সবার বড়। চাঁদপুর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর এখন ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়ছেন। পড়াশোনার খরচ চালানোর পাশাপাশি বাবাকে সহায়তা করতে নিজেও টুকটাক কাজ করেন। হাতের কাজ, ছবি আঁকার কাজ করেন, টেলিভিশন চ্যানেলে মাঝেমধ্যে কিছু অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করেন। রাজধানীর বছিলা এলাকায় কয়েকজন মিলে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকেন।

‘শুরুতে আমি উত্তেজিত হইনি’

সেদিনের ঘটনা বলতে গিয়ে তরুণী বলেন, তিনি মুঠোফোন ঠিক করতে হাতিরপুলে মোতালিব প্লাজায় গিয়েছিলেন। বাসায় ফেরার জন্য সেখান থেকে ধানমন্ডি–১৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে আসেন এবং রমজান পরিবহনের ওই বাসটিতে ওঠেন। তখন বেলা দুইটা কি আড়াইটা। তিনি বাসে উঠে মাঝামাঝি জায়গায় একটি আসনে বসেন। বাস কন্ডাক্টর তাঁর কাছে এসে ভাড়া চাইলে ‘স্টুডেন্ট’ (শিক্ষার্থী) জানিয়ে তিনি অর্ধেক ভাড়া দেন। তরুণী দাবি করেন, বাস কন্ডাক্টর তখন বলে ওঠেন, ‘চেহারা আর পোশাক দেখলে তো মনে হয় না স্টুডেন্ট!’ তখন তিনি রাগ হলেও কন্ডাক্টরকে ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করে বলেন, ‘স্টুডেন্টের সঙ্গে পোশাকের কী সম্পর্ক? আপনি এসব কী ধরনের কথা বলছেন? ওই সময় কিছুটা কথা-কাটাকাটি হয়। শুরুতে আমি উত্তেজিত হইনি।’

রাজধানীর বছিলায় বাসের মধ্যে পোশাক নিয়ে কটূক্তির সাহসী প্রতিবাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীর প্রশংসা করে এমন চিত্র ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় যাত্রীকে তুলতে অস্বীকৃতি উবার চালকের
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • কেউ কটুক্তি করলে কী করবেন?
  • বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ‌্যে ‘ভুয়া-ভুয়া’ স্লোগান পছন্দ হয়নি স‌্যামির
  • মোহাম্মদপুরে বাসে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীকে হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল, হেনস্তাকারী গ্রেপ্তার