ঢাকার ধামরাইয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার সঙ্গে একই মঞ্চে আওয়ামী লীগ নেতাকে দেখা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা সমালোচনা করতে শুরু করেছেন। 

গতকাল রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের পাল্লী এলাকার একটি অনুষ্ঠানে দুই নেতাকে একসঙ্গে দেখা যায়। 

আরো পড়ুন: ধামরাইয়ে হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২

আরো পড়ুন:

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে তারেক রহমানকে খোলা চিঠি

নাটোরে বিএনপির ৩ নেতাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

একই মঞ্চে দেখা যাওয়া দুই নেতা হলেন- ধামরাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সুজন মাহমুদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান। তিনি কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান।

এলাকাবাসী জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর গা ঢাকা দেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফর রহমান ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে প্রকাশ্যে এলেন। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করেন এলাকায়। তার বিরুদ্ধে গত বছরের মার্চ মাসে নিজের বাড়িতে তুলে নিয়ে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। ধামরাইয়ে শিক্ষার্থী সাদ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হয়ে গত ২৩ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন লুৎফর রহমান। তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকেও অপসারণ করা হয়। সম্প্রতি জামিনে এসে প্রকাশ্যে কর্মসূচি পরিচালনা করছেন তিনি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাল্লী এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “লুৎফর চেয়ারম্যান আমাদের নানাভাবে হয়রানি করেছেন। সরকার পতনের পর গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। এখন আবারো তিনি ফিরেছেন। বিএনপি নেতারাই তাকে প্রকাশ্যে আনছেন।”

এ বিষয়ে জানতে লুৎফর রহমানকে ফোন করা হয়। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি কল কেটে দেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের ধামরাই উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব সুজন মাহমুদ বলেন, “আমি বিষয়টি জানতাম না। তাকে দেখার পর প্রতিবাদ করি। অনুষ্ঠান থেকে বের হয়েও আসতে চেয়েছিলাম।”

ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। অনেকে নিজের মতো অনেক কিছু করে ফেলেন। খোঁজ নিয়ে দেখব।”

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আওয় ম ল গ ব এনপ আওয় ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়। 

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ