রাজশাহীর পবায় ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হাট ইজারার টেন্ডার (দরপত্র) বাক্স লুট করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার উপজেলা পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এক যুবদল নেতার দাবি, লুটকারীরা ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান দিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। তার লোকজন নিয়ে দরপত্র দাখিল করতে গেলে তারা বাধা দেয়। স্থানীয় শিবির নেতার দাবি, মূলত বিএনপি ও যুবদলের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।     

পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১২টি হাট ইজারা দিতে গত ১৫ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গতকাল ছিল দরপত্র দাখিলের শেষ দিন। টেন্ডার বাক্স রাখা ছিল ইউএনও কার্যালয়ের নিচতলায়। সেখানে একপক্ষ আরেকপক্ষকে দরপত্র দাখিলে বাধা দেয়। এরপর গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টেন্ডার বাক্স লুট করা হয়। এ সময় শাকিলুর রহমান রন নামে সাবেক এক যুবদল নেতা ছুরিকাঘাতে আহত হন। তিনি রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। শাকিলুর জেলা যুবদলের একজন যুগ্ম আহ্বায়কের সঙ্গে দরপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন।  
ওই যুবদল নেতা বলেন, ‘মূলত খড়খড়ি হাট ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব। আমরা দরপত্র জমা দিতে এলেই প্রথমে গেটের কাছে কয়েকজন বাধা দেন। এরপরও ব্যাংক ড্রাফট করে বাক্সে দরপত্র ফেলতে যাই। তখন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা হয়। একপর্যায়ে বাধাদানকারীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টেন্ডার বাক্স লুট করে। ওই যুবদল নেতার দাবি, হামলাকারীদের নেতৃত্ব দেন স্থানীয়

এক জামায়াত নেতা। 
যোগাযোগ করা হলে সাবেক ওই শিবির নেতাও নাম প্রকাশ করতে চাননি। তাঁর দাবি, ‘দরপত্র জমা দিতে গিয়েছিলাম এ কথা ঠিক। দরপত্র লুটে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা যুবদল ও বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব।’
রাজশাহীর শাহমখদুম থানার ওসি মাসুমা মোস্তারিন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
ইউএনও আরাফাত আমান আজিজ বলেন, ‘দরপত্র জমাদানের সময় ছিল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। পুলিশ আলামত সংগ্রহ করেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আইনি ব্যবস্থা নেব। তিনি জানান, সাধারণত দরপত্র জমাদানের একাধিক সময় নির্ধারণ করা থাকে। আগামী তারিখ আছে ৬ ও ৭ এপ্রিল। ইজারা প্রক্রিয়া বাতিল হবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য বদল ন ত হ ট ইজ র ককট ল উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। এসময় তারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন। 

রবিাবর (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২টার দিকে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। একপর্যায়ে তারা ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সারোয়ার তৌহিদকে অবরুদ্ধ করেন। বিকেল ৫টার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্রের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন কৃষকরা।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে হরতাল কর্মসূচিতে পরিবর্তন

ফরিদপুরে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ভোগান্তি চরমে

আন্দোলনরত কৃষকরা জানান, তীব্র সার সংকট দেখা দিয়েছে। রোপা আমন ধানে সার দিতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। 

ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ জানান, কৃষকরা বিকেল ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইউএনও দীপ জন মিত্র জানান, কৃষকরা কেন সার পাচ্ছেন না, সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় পুলিশ দেখে পালালেন শিকারিরা, উদ্ধার ৪৫টি ঘুঘু অবমুক্ত
  • শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা
  • কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ