ফলের বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার না হলে সরবরাহ বন্ধ
Published: 3rd, February 2025 GMT
তাজা ফল আমদানিতে বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহর করা না হলে আজ মঙ্গলবার থেকে দেশের সব স্থল ও নৌবন্দর দিয়ে আসা ফল খালাস ও সরবরাহ বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছেন আমদানিকারকরা।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন তারা। আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখন ফল হয়ে গেছে বড়লোকের খাদ্য। গরিব মানুষ ফল খেতে পারছে না। আগে ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ ছিল। গত ৯ জানুয়ারি এক আদেশে এই হার বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে আপেল, আঙুর, মালটাসহ আমদানি করা সব ধরনের ফলের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। ফলকে বিলাসী পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নিত্যপণ্যের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আপেল, কমলা, মেন্ডারিন, আঙুর, নাসপাতি ও আনার মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কারণ বর্তমানে ফল আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ, ভ্যাট ১০ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ২০ শতাংশসহ মোট ১৩৬ দশমিক ২ শতাংশ শুল্ককর দিতে হচ্ছে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১০০ টাকায় ফল আমদানি করলে এর সঙ্গে সরকারকে ১৫০ টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হয়। এতে আমদানি খরচ দাঁড়ায় ২৫০ টাকা। তাহলে বাজারে বিক্রি করতে হবে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। ফলের দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমে গেছে। তাতে ফল পচে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। মানববন্ধন শেষে সংগঠনটির নেতারা এনবিআরের চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে নড়াইলে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নড়াইল আদালত চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন নড়াইল আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট এস এম আব্দুল হক। বক্তব্য রাখেন- নড়াইল আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান লিটু, যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবি অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন সিকদার, অ্যাডভোকেট মাহবুব মোশেদ জাপল ও অ্যাডভোকেট রাজীব।
আরো পড়ুন:
বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি
নারায়ণগঞ্জে ৭ খুন: মামলার রায় দ্রুত কার্যকর চান স্বজনরা
বক্তারা বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারকে আজীবন ক্ষমতা রাখার জন্য জুডিসিয়াল যত কাজ তার সবই সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক করেছেন। তিনি জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছেন। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানান বক্তারা।
ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ