পাথরঘাটায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। গত মঙ্গলবার কাকচিড়া বাজারে মানববন্ধন করে এ দাবি জানান তারা। তবে পুলিশ বলছে, মামলা না করায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না তারা। মামলা না করে আসামি গ্রেপ্তারের দাবি তুলে বরং পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি ও হয়রানি করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে কাকচিড়া বাজারে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির শিকদার। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো.

ফারুক।

অভিযোগ রয়েছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে শত্রুতার জেরে কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন ফুয়াদকে কুপিয়ে হাতের তিনটি আঙুল কেটে নেওয়া হয়। কাকচিড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক গোলাম মাওলার নেতৃত্বে ৭-৮ জন এই হামলা চালায়। এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।

মানববন্ধনে চৌধুরী মো. ফারুক বলেন, ছাত্রলীগ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হয়েছে। তার পরও তারা দিন-দুপুরে বিএনপি নেতা আবুল হোসেন ফুয়াদকে কুপিয়ে জখম করেছে। তার হাতের তিনটি আঙুল কেটে নিয়েছে। এর পরও ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মী রাস্তাঘাটে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। 

এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপি নেতা ফারুক বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার না করা হলে পাথরঘাটায় রক্তের হলিখেলা শুরু হবে। তখন আইনশৃঙ্খলার অবনতির দায় নিতে হবে প্রশাসনের।’

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন আবুল হোসেন আবু পহলান, কাকচিড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি স্বাধীন পহলান, যুবদলের সভাপতি মিরাজ পহলান, মোর্শেদ সিকদার, মোসাম্মাদ শাহানা বেগম, সেলিম পহলান ও ডা. মেহেদী হাসান।

অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করার কারণ জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনার তিন দিন পার হলেও এখনও আহত ফুয়াদের পক্ষ থেকে কেউ মামলা দিতে থানায় আসেননি। মামলা না হওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত কাউকে আমরা ধরতে পারিনি।’ তাঁর অভিযোগ, বিএনপি নেতারা মামলা না দিয়ে মানববন্ধন করে শুধু পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন, যা আহত ব্যক্তিকে সহযোগিতা না করে প্রশাসনকে হয়রানি করছেন। তার পরও ফুয়াদের ওপর যারা হামলা করেছেন, তাদের আটকের ব্যাপারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলা না করে কর্মসূচি দিয়ে পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক বলেন, ‘ভিকটিম এখনও আইসিইউতে, এ জন্য আমাদের মামলা করতে দেরি হচ্ছে। তাঁর জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি। দু-একদিনের মধ্যেই মামলা হবে।’

হামলার অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য জানতে কাকচিড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক গোলাম মাওলার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক তারা। এ বিষয়ে তাঁর ফুফু তাসলিমা বেগম বলেন, ‘মাওলার বাবা ইউসুফ জমাদ্দার ও বিএনপি নেতা ফুয়াদ জমাদ্দারের মধ্যে টাকা ও জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার কয়েক দিন আগে ইউসুফ ও তাঁর ছোট ছেলেকে ফুয়াদ মারধর করেছিলেন। ওই ঘটনার জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প থরঘ ট ব এনপ র ত কর ম র ওপর ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল এবং পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ২১ দফা দাবিতে শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদের সভাপতিত্বে এবং একেএম মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিউ নেশন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এ আর ফররুখ আহমেদ খসরু, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো: মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক মনির হোসেন, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম হানিফ, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার সাংবাদিক উজ্জল হোসেন মাসুম, দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মেহবুব মিয়া, দৈনিক পূর্বাভাস পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, দৈনিক দেশ পত্রিকার সাংবাদিক মোখলেসুর রহমান তোতাসহ প্রমূখ।

এসময় বক্তারা বলেন, ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্য্যকর, সাংবাদিকদের বেতন সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রনয়ন, সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন নির্ধারণ, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, গনমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল, আইন অনুযায়ী সাংবাদিকদের ন্যায্যা পাওনা আদায়ের জন্য পৃথক শ্রম আদালত স্থাপন সহ ২১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা মানববন্ধন করছি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান অনতিবিলম্ভে আমাদের এসব দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।  

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি এম আর কালাম, নাহিদ আজাদ, বাংলাদেশ নিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ইমতিয়াজ আহমেদ, নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি শরিফ সুমন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মোশতাক আহমেদ, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি আল আমিন, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাব্বির হোসেন, মানব জমিনের ফতুল্লা প্রতিনিধি আবু সাঈদ পাটুয়ারী রাসেল, মুসলিম টাইমসের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি সাইফুল্লাহ খালিদ রাসেল, চ্যানেল এস এর সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন মুল্লা, দৈনিক সংগ্রামের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ইখতিয়ার রাহয়ান, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম আরজু, এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ, সম্রাট প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও ৩৩ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
  • সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারসহ ৫ দফা দাবি
  • সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
  • চারঘাটে পদ্মার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
  • আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি, সালমান শাহ ভক্তদের মানববন্ধন
  • পদ্মার চরে জোড়া খুনের ঘটনায় ‘কাকন বাহিনীর’ সদস্যদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন