প্রকৃতির সান্নিধ্যে খুদে শিল্পীদের আর্ট ক্যাম্প
Published: 7th, February 2025 GMT
গাছের ছায়ায় বসেছে কয়েকজন। কেউ বসেছে পুকুর পাড়ে, দোচালা ঘরের সামনে। বাদ যায়নি রাস্তার ধার কৃষিজমিও। আঁকাআঁকির রসদ নিয়ে চারদিকে সবুজে ঘেরা প্রকৃতি আর গ্রাম-বাংলার অপার সৌন্দর্যকে তুলির আঁচড়ে জীবন্ত করে তুলতে ব্যস্ত খুদে আঁকিয়েরা। এ চিত্র দেখা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের উলচাপাড়া গ্রামের মালেকা ছাহেব আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের তিনশ খুদে চিত্রশিল্পীকে নিয়ে তিন দিনের এ আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ক্যাম্প উদ্বোধন করেন ইউনিসেফের সাবেক কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর ভূইয়া। আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত এ ক্যাম্প চলবে।
শিশু নাট্যমের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু জানান, এখনকার শিশুরা চার দেয়ালের গণ্ডির মধ্যে থাকে। সেই শিশুরা প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে ছবি আঁকছে। এ উদ্যোগ তাদের মানবিক করে তুলবে।
এদিকে শিশুরাও এ আয়োজনে অংশ নিতে পেরে খুব খুশি। তারা জানিয়েছে, ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছে তারা। প্রতি বছর এ ধরনের আয়োজন চায় তারা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় আর ট
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫