ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসার দখল ও ঝুট ভর্তি ট্রাক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় কাপ্তান মিয়া (১৬) নামে এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার জামগড়া চৌরাস্তা সংলগ্ন জামগড়া-বাগবাড়ি আঞ্চলিক সড়কে ঘটনাটি ঘটে।

আহত কাপ্তান মিয়া হবিগঞ্জ জেলার মো.

ডালিমের ছেলে। স্থানীয় একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসাবে কর্মরত সে। এছাড়া, সংঘর্ষের সময় ছুড়া ইটের  আঘাতে শেখ আবু জাফর নামে আরো একজন আহত হন।

আরো পড়ুন:

দুই দফা সংঘর্ষ শেষে শান্ত আইডিয়াল ও সিটি কলেজ

বগুড়ায় বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৩

আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক এইচ এম আসাফ উদ্দৌলা রিজভী বলেন, “আমাদের হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কাপ্তান নামে এক কিশোরকে আনা হয়েছে। তার পিঠে গুলি লেগেছে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন।”

যে কারণে সংঘাত
এলাকাবাসী জানান, আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার প্রীতি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান প্রীতি কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ঝুট দীর্ঘদিন ধরেই নিয়ে যাচ্ছেন আশুলিয়া থানা তাঁতী দলের সহ-সভাপতি বকুল ভুইয়া। সম্প্রতি যুবদলের সাবেক নেতা শরীফ চৌধুরী কারখানাটির ঝুটের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করতে শুরু করেন। শরীফ চৌধুরী ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন বাবুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

আজ রবিবার বকুল ভুইয়ার লোকজন কারখানা থেকে ঝুট নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় শরীফ চৌধুরীর লোকজন ঝুটের ট্রাক লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পাশাপাশি ট্রাকটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ এবং গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বকুল ভুইয়ার সঙ্গে কারখানার চুক্তি থাকলেও এই ঝুটের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো তার ছেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতা রনি ভুইয়া। সংঘর্ষ চলাকালে রনি ভুইয়ার লোকজনই সেখানে উপস্থিত ছিল।

আশুলিয়া থানার তাঁতী দলের সহ-সভাপতি বকুল ভুইয়া বলেন, “কারখানার সঙ্গে আমার যাবতীয় চুক্তি রয়েছে। আজ সকালে শুনি শরীফ চৌধুরীর লোকজন কারখানার সামনে ঝামেলা করছে। পুলিশকে জানালে তাদের সহযোগিতায় আমার লোকজন কারখানা থেকে ঝুট নিয়ে বেরিয়ে যায়। ঝুটের ট্রাক শরীফ চৌধুরীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে বাড়ির ছাদ থেকেই তারা গুলি করা শুরু করে। এক পর্যায়ে ট্রাকে আগুন দেয়। তাদের ছুড়া গুলিতে মঞ্জু নামে এক লেবারসহ আমাদের দুইজন লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।”

এ সময় রনি ভুইয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রনি তো গত তিন মাস ধরে এলাকাতেই নেই।”

প্রীতি কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাকিবুল বলেন, “আমাদের কারখানা প্রাঙ্গণে কোনো ঝামেলা হয়নি। শুনেছি, কারখানার বাইরে ঝামেলা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে বকুল ভুইয়া নামে একজনের ঝুটের চুক্তি রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী তিনিই ঝুট নেন।”

ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিনুর কবীর বলেন, “যতটুকু জানতে পেরেছি, আজ রনি ভুইয়ারা ঝুট নিয়ে যাওয়ার সময় শরীফ চৌধুরীর লোকজনের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলির ঘটনা ঘটে। একজন গুলিবিদ্ধও আছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত র ল কজন স ঘর ষ আম দ র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা

ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী লক্ষ্মী মাঞ্চু। তার পরবর্তী সিনেমা ‘ঢাকসা’। এ সিনেমার মুক্তি উপলক্ষে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৪৭ বছরের এই অভিনেত্রী। কয়েক দিন আগে গ্রেট অন্ধ্রকে সাক্ষাৎকার দেন লক্ষ্মী। এ আলাপচারিতার পোশাক নিয়ে প্রশ্ন করায় লক্ষ্মী বলেন— “আপনার এত সাহস হয় কী করে!” 

মুম্বাইয়ে যাওয়ার ফলে কি আপনার পোশাকের স্টাইলে কোনো প্রভাব পড়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে লক্ষ্মী বলেন, “আমি আমেরিকাতে থেকেছি। সেখান থেকে হায়দরাবাদে, এখন মুম্বাইয়ে আছি। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি নিজেকে এইভাবে উপস্থাপন করার জন্য। এই পরিশ্রম আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে, যা আমাকে আমার মতো পোশাক পরতে উৎসাহ দেয়।” 

এরপর সাংবাদিক সরাসরি লক্ষ্মীর পোশাক নিয়ে প্রশ্ন করেন, জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আপনি কি একজন পুরুষকে একই প্রশ্ন করতেন? আপনার এত সাহস হয় কী করে! আপনি কি মহেশ বাবুকে বলতেন—‘আপনার তো এখন ৫০ বছর বয়স, তাহলে আপনি কেন জামা খুলে ছবি তুলছেন?’ তাহলে একজন নারীকে কেন এই প্রশ্ন? মানুষ আপনার এই প্রশ্ন থেকে কী শিখবে? একজন সাংবাদিক হিসেবে আপনার দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।” 

পরে সাংবাদিক স্বীকার করেন যে, এই ধরনের প্রশ্ন একজন অভিনেতাকে করতেন না। প্রশ্নটি করার কারণ ব্যাখ্যা করে সাংবাদিক জানান, তার পোশাক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের চর্চা চলছে, যার কারণে এই প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসা। 

লক্ষ্মী মাঞ্চুর অন্য পরিচয় তিনি তেলেগু সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা মোহন বাবুর কন্যা। ৫০ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন মোহন বাবু। ব্যক্তিগত জীবনে বিদ্যা দেবীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন তিনি। এ সংসারে রয়েছে কন্যা লক্ষ্মী ও পুত্র বিষ্ণু মাঞ্চু। তারা দুজনেই অভিনয়শিল্পী।

তথ্যসূত্র: দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভোররাতে রণক্ষেত্র: নরসিংদীতে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৫
  • গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
  • গ্রাহকের কাছে পেয়ারা খেতে চায় জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা
  • গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • রাশিয়ায় এক বাঙালি বিপ্লবীর খোঁজে
  • আপনার এত সাহস হয় কী করে, সাংবাদিককে নায়িকা
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩
  • টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২