রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে কেটে রাখা গাছ
Published: 9th, February 2025 GMT
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সড়ক সম্প্রসারণের জন্য সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে রোদ-বৃষ্টিতে দুই বছর ধরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে কয়েক লাখ টাকার গাছ।
পত্তাশী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর কেওড়ার মোড় থেকে খেজুরতলা বাজার পর্যন্ত এলজিইডির এক কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের মার্চ মাসে। সে সময় ঠিকাদার ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটার সময় সড়কের দুই পাশে থাকা সামাজিক বনায়নের মেহগনি, বেল, শিশুসহ নানা প্রজাতির বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে যায়। এলজিইডি ও বন বিভাগের সমন্বয়হীনতার কারণে গাছগুলো বিক্রি বা সরিয়ে ফেলতে কোনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। এভাবে ছয় মাস গাছ পড়ে থাকার পর গোড়া থেকে চার থেকে পাঁচ হাত রেখে বাকি গাছ স্থানীয়রা কেটে নিয়ে যায়। অভিযোগ উঠলে বন বিভাগের দায়িত্বে প্রায় ১০০টির মতো গাছ কেটে খেজুরতলা বাজার ও কেওড়ার মোড় এলাকায় জমা করে রাখা হয়। গাছের মূল্য নির্ধারণ করে বন বিভাগ এক মাসের মধ্যে দরপত্র আহ্বান করার কথা ছিল। এর পর দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। দরপত্র আহ্বানের নাম-গন্ধও নেই। ফলে গাছগুলো রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
পত্তাশী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জোবায়ের হোসেন তালুকদার জানান, দুই বছর আগে রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি কাটার সময় দুই পাশের গাছ উপড়ে পড়ে যায়। গাছগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বন কর্মকর্তা মহসীন হাওলাদার জানান, খেজুরতলা সড়কের নির্মাণকাজের সময় সামাজিক বনায়নের গাছগুলো পড়ে যায়। এলজিইডি সড়কের মাটি কাটার আগে আমাদের চিঠি দিয়ে জানালে গাছ কাটার ব্যবস্থা করতে পারতাম। শিগগিরই গাছ বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন। তাঁর দাবি, রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরুর আগে গাছ সরানোর বিষয়ে বন বিভাগকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তারা তখন ব্যবস্থা নেয়নি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।