মাদারীপুরে বসতবাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে শহরের বাগেরপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ তিনজন হলেন জুয়েল হাওলাদার (৩৫), তাঁর স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩০) ও তাঁদের মেয়ে সোহাগী আক্তার (৮)। তাঁরা বাগেরপাড় এলাকার ওই বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন।

ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে মশা নিধনের কয়েল ধরাতে গ্যাসের চুলায় আগুন জ্বালাতে যান জুয়েলের স্ত্রী তানিয়া। এ সময় আকস্মিকভাবে সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়ে রান্নাঘরে আগুন ধরে যায়। কয়েক মিনিটের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের কক্ষেও। এতে দগ্ধ হন তানিয়ার সঙ্গে থাকা জুয়েল ও তাঁদের মেয়ে সোহাগী। খবর পেয়ে তাঁদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দগ্ধ সবাইকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে তানিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

দগ্ধ জুয়েল হাওলাদার বলেন, ‘আমি ও মেয়ে ঘরের ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠি। রান্নাঘরে আমার স্ত্রীর গায়ে আগুন দেখে নেভাতে গিয়ে আমিও দগ্ধ হই। ফায়ার সার্ভিস ও প্রতিবেশীরা তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে না এলে আমরা কেউ বাঁচতাম না।’

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা রিয়াদ মাহামুদ বলেন, আহত তিনজনের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জুয়েল ও তানিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তানিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, গ্যাসের পাইপ ফেটে (লিক) যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় বিস্ফোরণ বড় আকারে হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানান মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, যাঁদের বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার আছে, তাঁদের সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। না হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএইচএস মোটরস দেশে আনল চীনের ‘জিএসি’ ব্র্যান্ডের গাড়ি

ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড তার পোর্টফোলিওতে যুক্ত করেছে আরেকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড চীনের ‘জিএসি’। জিএসি চীনের পঞ্চম বৃহত্তম অটোমোবাইল নির্মাতা। নিজস্ব গাড়ির পাশাপাশি জিএসি চীনে হোন্ডা এবং টয়োটা গাড়ির যৌথ উদ্যোগ অংশীদার।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ঢাকা মোটর শোতে এ খ্যাতনামা ব্র্যান্ড উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশে জিএসির যে মডেলগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে, সেগুলো হলো— কমপ্যাক্ট এসইউভি জিএসি EMKOO, ছোট ও স্পোর্টি এসইউভি জিএসি EMZOOM এবং বিলাসবহুল এমপিভি জিএসি E9।

বাংলাদেশের বাজারে জিএসি উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের অটোমোবাইল শিল্পকে আরো শক্তিশালী করল ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভবিষ্যতে ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড জিএসির ইভি মডেল যুক্ত করে তাদের মডেল লাইনআপ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এছাড়া, ডিএইচএস খুব শিগগিরই দেশে জিএসি গাড়ির অ্যাসেম্বলি শুরু করার পরিকল্পনা করছে।

অনুষ্ঠানে ডিএইচএস মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান জামান খান, জেনারেল ম্যানেজার আরমান রশীদ ও ফারহান সামাদ, জিএসির কান্ট্রি ম্যানেজার ড্যানিয়েল ঝাউ, রেমন ওয়াং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ