রাবির ১০ সাংবাদিক পেলেন বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড
Published: 10th, February 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন সাংবাদিক ‘রাবিসাস অ্যালামনাই বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৩-২৪’ পেয়েছেন। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস্ কমপ্লেক্স ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এক অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের হাতে সম্মাননা স্মারক, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি অ্যালামনাই- এর আয়োজনে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
পুরষ্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন দৈনিক দেশ রূপান্তরের রাবি প্রতিনিধি নোমান ইমতিয়াজ, যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছেন প্রথম আলো’র সাজিদ হোসেন ও খবরের কাগজের সিরাজুল ইসলাম সুমন এবং যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছেন আজকের পত্রিকা’র রিপন চন্দ্র রায় এবং সমকালের অর্পণ ধর।
এছাড়া ৫ জনকে বিশেষ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। তারা হলেন- দৈনিক বাংলা’র আসিফ আজাদ সিয়াম, কালবেলা’র সাজ্জাদ হোসেন, কালের কণ্ঠ’র মাহবুব হাসান, প্রতিদিনের বাংলাদেশের শাকিবুল হাসান এবং সাম্প্রতিক দেশকালের জাহিদুল ইসলাম।
অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাবিসাস অ্যালামনাই- এর সভাপতি কে এম শহীদুল হক। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, রাবিসাসের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বুলবুল এবং প্রতিষ্ঠাতা সহ-সাধারণ সম্পাদক আহমদ সফিউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদা নাসরিন কনকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাবিসাস অ্যালামনাই- এর সাধারণ সম্পাদক রব মজুমদার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল ও রাবিসাসের সভাপতি নোমান ইমতিয়াজ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অ য ল মন ই
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।