সারা দেশে চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’কে সরকারের ‘ডিলেইড ডেভিল হান্ট ইনিশিয়েটিভ’ বলেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তাঁর মতে, এই অপারেশনের ফলে খুব বেশি ফল আসবে না।

এর কারণ ব্যাখ্যায় মজিবুর রহমান বলেন, ‘সরকারের উচিত ছিল শুরুতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া। প্রথম দিকে এ ব্যবস্থা নিলে বহু ডেভিল পালাতে পারত না, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যেত।’ তিনি সব বাহিনীর সমন্বয়ে একটি সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার গঠনের বিষয়টিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস: ডেভিল হান্ট, সেন্ট্রাল কমান্ড ও নাগরিক প্রত্যাশার হিসাব-নিকাশ’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেছেন।

রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের গত ছয় মাস ছিল প্রতিকূলতাময়। ১৮০ দিনে ১৫০টির মতো আন্দোলন ও অবরোধ গণতান্ত্রিকভাবে তারা মোকাবিলা করেছে।’ কিন্তু সরকারের কাছে এবি পার্টির প্রত্যাশা এসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বলেন জানান তিনি।

সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে শক্তিগুলোর মধ্যে মতানৈক্য নিয়ে এদিন হতাশা প্রকাশ করেন মঞ্জু। তিনি বলেন, ‘যে দলগুলো জুলাই-আগস্টে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম করেছে, তারা আজ একে অপরকে হেয় করে কথা বলছে। অযথা বাক্‌যুদ্ধে জড়িয়ে বিভেদ বাড়াচ্ছে; এর দায় সরকার এড়াতে পারে না।’

রমজান মাসে বাজারে নিত্যপণ্য নিয়ে মানুষের হাহাকার এবং লোডশেডিং পরিস্থিতি যেন মানুষকে বিক্ষুব্ধ না করে, সে বিষয়ে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে এবি পার্টি।

আরও পড়ুনএবি পার্টির নতুন চেয়ারম্যান মজিবুর, জেনারেল সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান১১ জানুয়ারি ২০২৫

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান লে.

কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র র

এছাড়াও পড়ুন:

নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।

এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।

শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।

এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ