৬৭ কার্তুজসহ ২ গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার
Published: 12th, February 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভিযান চালিয়ে শর্টগানের ৬৭টি কার্তুজসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দুই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে শহরের কাউতলী এলাকার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে তাদের আদালতের মাধ্যম জেলা কারাগার পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, শাখাওয়াত হোসেন (২৯) ও সোহরাব হাসান (৩০)। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ডিবি পুলিশে কর্মরত। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল আহমদ বাদী হয় সদর মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন।
আরো পড়ুন:
সাবেক পৌর মেয়রের বাড়িতে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ
চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ২৮
পুলিশ জানায়, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের দল জেলাশহরের কাউতলী এলাকার কাজী মো.
বুধবার বিকেলে তাদের আদালতে হাজির না করেই কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বিস্তারিত তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে ডিবির ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। আপনারা পরে সব জানতে পারবেন।
কার্তুজ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন। তিনি জানান, নিয়ম অনুসারে দুই কনস্টেবল চাকরিচ্যুত হবেন এবং ঘটনার তদন্ত হবে। তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা/রুবেল/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।