মহাকাশ নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহের শেষ নেই। আর তাই তো দীর্ঘদিন ধরেই আরেকটি পৃথিবীর খোঁজ পেতে মহাকাশে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এবার চিলির লা সিলা অবজারভেটরিতে হাই অ্যাকুরেসি রেডিয়াল ভেলোসিটি প্ল্যানেট সার্চার (এইচএআরপিএস) নামের স্পেকট্রোগ্রাফের পুরোনো তথ্য বিশ্লেষণ করে পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য নতুন এক গ্রহের খোঁজ মিলেছে।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ‘আকারে বড় হলেও নতুন গ্রহটি অনেকটাই আমাদের পৃথিবীর মতো। গ্রহটি আমাদের পৃথিবী থেকে মাত্র ২০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। গ্রহটির নামকরণ করা হয়েছে এইচডি ২০৭৯৪ডি। নতুন এই গ্রহ পৃথিবীর ভরের ছয় গুণ।’ সেই গ্রহের পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুনপৃথিবীর গভীরে কী রয়েছে০২ নভেম্বর ২০২৩

অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকস সাময়িকীতে নতুন এই গ্রহের তথ্য প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ‘আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত এই সুপার আর্থে বহির্জাগতিক কোনো প্রাণের সম্ভাবনা থাকতে পারে।’ এ বিষয়ে বিজ্ঞানী মাইকেল ক্রেটগনিয়ার বলেন, ‘আমরা বেশ উচ্ছ্বসিত। কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ার কারণে গ্রহটিতে ভবিষ্যতে কোনো অভিযান পরিচালনার সুযোগ আছে। পৃথিবী বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরছে, সেখানে নতুন এই গ্রহ উপবৃত্তাকার পথ অনুসরণ করছে।’

আরও পড়ুনএক সেকেন্ডের জন্য পৃথিবীর ঘূর্ণন বন্ধ হলে কী হতে পারে০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

প্রথম এই গ্রহের সন্ধান মেলে ২০২২ সালে। দুই দশকের পুরোনো তথ্য পরীক্ষা করে এই গ্রহের অস্তিত্ব নিশ্চিত করা গেছে। বিজ্ঞানী ক্রেটগনিয়ার বলেন, ‘আমার জন্য এটি একটি বিশাল আনন্দ। আমরা শেষ পর্যন্ত গ্রহটিকে নিশ্চিত করতে পেরেছি। মূল সংকেতটি স্পেকট্রোগ্রাফের শনাক্তকরণ সীমার একেবারে শেষ প্রান্তে ছিল বলে নিশ্চিত হওয়া কিছুটা কঠিন ছিল।’ তিনি আরও বলেন, এই গ্রহে ভবিষ্যতে কোনো অভিযান পরিচালনা করা যাবে। তখন প্রাণের সন্ধান করা যেতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জ্বালানি উপদেষ্টা বললেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক কমানোর আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আজ শুক্রবার এক পোস্টে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যমূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনায় তিনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন, সমালোচকদের হতাশ করে।’

যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে, সেসব দেশের ওপর গত ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক বা রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি পাল্টা শুল্ক বসানো হয়। তখন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক ছিল ৩৭ শতাংশ। তিন মাসের জন্য এ সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ জুলাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক হবে ৩৫ শতাংশ, যা কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক কমাতে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। একই আদেশে দেশে আরও কয়েক ডজন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক বসান তিনি।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ