মঞ্চে হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের গল্পের নাটক
Published: 14th, February 2025 GMT
দিলনাওয়াজ প্রাসাদে আসার পর অসুস্থ রাজপুত্র সুস্থ হয়ে ওঠেন। রানীর চোখে সৌভাগ্যের প্রতীক হয়ে ওঠে ছোট্ট দিলনাওয়াজ। রাজাপ্রাসাদেই শিশু থেকে তরুণী হয়ে ওঠে সে, তারপর একদিন হয়ে ওঠে শাহজাদা শমসেরের চোখের মনি!
কিন্তু তাদের প্রেম পরিণতি পায় না। বরং রাজপুত্রের জন্য মালা গাঁথতে গাঁথতে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয় রূপবতী বাঁদি দিলনাওয়াজ। এমনই এক গল্পে মঞ্চে আসছে আনকোরা এক নৃত্যনাট্য ‘দিলনাওয়াজ’।
রাজপুত্রের সঙ্গে বাঁদির প্রেমের এ কাহিনী লেখা হয়েছে প্রায় শত বছর আগে। উর্দু ভাষায় গল্পটি লিখেছিলেন রাহাত আরা বেগম। তার এই গল্পকে উপজীব্য করে প্রস্তুত করা হয়েছে নৃত্যনাট্য ‘দিলনাওয়াজ’।
ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে নৃত্যনাট্যটি। এতে দিলনাওয়াজের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তরুণ নৃত্যশিল্পী মুবাশশিরা কামাল ইরা। শাহজাদা শমসেরের ভূমিকায় নৃত্যাভিনয় করেছেন শিল্পী আবু নাঈম ও রাজবধূর ভূমিকায় উম্মে হাবিবা শোভা। তারা ছাড়াও এ নৃত্যনাট্যে অংশ নেবেন ঢাকার একঝাঁক নৃত্যশিল্পী।
নৃত্যশিল্পী আবু নাঈম বলেন, এত বছর আগের গল্পে নৃত্যাভিনয় করতে পারা আমার জন্য অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার। এত বড় একজন লেখক এত বছর আগে এ রকম হৃদয়ছোঁয়া একটা গল্প লিখেছেন, তা ভাবা যায় না। আমরা তরুণ প্রজন্মের কাছে নৃত্যের আবহে গল্পটা তুলে ধরতে পারছি এটা আমাদের জন্য আনন্দের।
দিলনাওয়াজের প্রধান চরিত্রে নৃত্যাভিনয় প্রসঙ্গে মুবাশশিরা কামাল ইরা বলেন, এই নৃত্যনাট্যটি আমার সংক্ষিপ্ত পারফর্মার জীবনের একটি মাইলফলক হতে যাচ্ছে। জীবনের প্রথম নৃত্যনাট্যে কাজ করছি, সেটাও প্রধান চরিত্রে, এ এমন এক অনুভূতি যা বলে বোঝানো যাবে না। আমি এই অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যেতে চাই।
‘দিলনাওয়াজ’ নৃত্যনাট্যের নৃত্য পরিচালনা করেছেন সাব্বির আহমেদ খান, সংগীত পরিচালনা করেছেন রাতুল শংকর ঘোষ, শিল্পনির্দেশনা দিয়েছেন লুবনা মারিয়াম।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমরি জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে ‘দিলনাওয়াজ’ মঞ্চস্থ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে। এটি প্রযোজনা করেছে সাংস্কৃতিক সংস্থা সাধনা। প্রদর্শনীর আগে বনানীর যাত্রা বিরতি ও শিল্পকলা একাডেমিতে পাওয়া যাবে টিকিট।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক