দিলনাওয়াজ প্রাসাদে আসার পর অসুস্থ রাজপুত্র সুস্থ হয়ে ওঠেন। রানীর চোখে সৌভাগ্যের প্রতীক হয়ে ওঠে ছোট্ট দিলনাওয়াজ। রাজাপ্রাসাদেই শিশু থেকে তরুণী হয়ে ওঠে সে, তারপর একদিন হয়ে ওঠে শাহজাদা শমসেরের চোখের মনি!

কিন্তু তাদের প্রেম পরিণতি পায় না। বরং রাজপুত্রের জন্য মালা গাঁথতে গাঁথতে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয় রূপবতী বাঁদি দিলনাওয়াজ। এমনই এক গল্পে মঞ্চে আসছে আনকোরা এক নৃত্যনাট্য ‘দিলনাওয়াজ’।

রাজপুত্রের সঙ্গে বাঁদির প্রেমের এ কাহিনী লেখা হয়েছে প্রায় শত বছর আগে। উর্দু ভাষায় গল্পটি লিখেছিলেন রাহাত আরা বেগম। তার এই গল্পকে উপজীব্য করে প্রস্তুত করা হয়েছে নৃত্যনাট্য ‘দিলনাওয়াজ’।

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে নৃত্যনাট্যটি। এতে দিলনাওয়াজের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তরুণ নৃত্যশিল্পী মুবাশশিরা কামাল ইরা। শাহজাদা শমসেরের ভূমিকায় নৃত্যাভিনয় করেছেন শিল্পী আবু নাঈম ও রাজবধূর ভূমিকায় উম্মে হাবিবা শোভা। তারা ছাড়াও এ নৃত্যনাট্যে অংশ নেবেন ঢাকার একঝাঁক নৃত্যশিল্পী।

নৃত্যশিল্পী আবু নাঈম বলেন, এত বছর আগের গল্পে নৃত্যাভিনয় করতে পারা আমার জন্য অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার। এত বড় একজন লেখক এত বছর আগে এ রকম হৃদয়ছোঁয়া একটা গল্প লিখেছেন, তা ভাবা যায় না। আমরা তরুণ প্রজন্মের কাছে নৃত্যের আবহে গল্পটা তুলে ধরতে পারছি এটা আমাদের জন্য আনন্দের।

দিলনাওয়াজের প্রধান চরিত্রে নৃত্যাভিনয় প্রসঙ্গে মুবাশশিরা কামাল ইরা বলেন, এই নৃত্যনাট্যটি আমার সংক্ষিপ্ত পারফর্মার জীবনের একটি মাইলফলক হতে যাচ্ছে। জীবনের প্রথম নৃত্যনাট্যে কাজ করছি, সেটাও প্রধান চরিত্রে, এ এমন এক অনুভূতি যা বলে বোঝানো যাবে না। আমি এই অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যেতে চাই।

‘দিলনাওয়াজ’ নৃত্যনাট্যের নৃত্য পরিচালনা করেছেন সাব্বির আহমেদ খান, সংগীত পরিচালনা করেছেন রাতুল শংকর ঘোষ, শিল্পনির্দেশনা দিয়েছেন লুবনা মারিয়াম।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমরি জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে ‘দিলনাওয়াজ’ মঞ্চস্থ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে। এটি প্রযোজনা করেছে সাংস্কৃতিক সংস্থা সাধনা। প্রদর্শনীর আগে বনানীর যাত্রা বিরতি ও শিল্পকলা একাডেমিতে পাওয়া যাবে টিকিট।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ